স্মৃতি এক মহা মুল্যবান সম্পদ

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

চাকুরী জীবনে কক্সবাজার ট্যুর। খুব মজার একটা গল্প আছে। মহেশখালী গেছিলাম। সবাই হইহই রই রই করে প্রায় ৪০ জন ছিলাম আমরা। যাবার সময় সবাই চলে গেছে স্পিড বোডে। আমি, এক ভাইস, রুমা আপা, আর আমাদের গাইড রয়ে গেছি। কোনো স্পিড বোড পাচ্ছিনা। কারন আমরা ছিলাম ৪ জন কিন্ত স্পিড বোডের চালকরা ৮ জন করে পেয়ে যাচ্ছিল, এ কারনে আমাদের নিচ্ছিল না। তো আমাদের ভাইস একটু রেগে গিয়ে বলে উঠলেন এবার যদি আমাদের না নাও তাহলে খবর আছে। এ কথায় এক স্পিড বোডের চালক তো রেগে টম হয়ে চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে, কি খবর করবা? পুরা গালাগালি, ভয়ে আমরা জড়সড়, শেষে রুমা আপা সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বললো স্যার আপনাদের খবরের কথা বলে নাই, আসলে আমাদের দলের সবাই চলে গেছে, তারা আমাদের খবর করে দেবে, এই কথা বলেছে। এই কথা শুনে তারা শান্ত হলো আর আমাদের নিয়ে গেলো। এবার আসার সময়............।

আসার সময় আমি, এমডি ভাইয়া, নাজিরা আপা, শিক্ষা অফিসার ফ্যামিলী, আর জোহুরা খালা এক স্পিড বোডে আসছি। তীরে পৌছে নামবো এমন সময় বোড গেল কাত হয়ে, সেই এক হাটু কাদার মাঝে ঝপাত করে পড়ে গেলো আমাদের এমডি ভাইয়া, নাজিরা আপা, জোহুরা খালা। নাজিরা আপা তো স্যান্ডেল খুজতে ব্যস্ত, জহুরা খালা কি করবে দিশা পাচ্ছে না। এমডি ভাইয়া খুব রসিক মানুষ, উনি তো এমন করতে লাগলেন যেন কিছু ই হয়নি, এম্নিতে ইচ্ছে করে লাফ দিয়েছেন, কক্সবাজারে এসে যদি কাদা ই না মাখবেন তো কিসের ট্যুর এমন একটা ভাব নিলেন। সে কি কাদা মাখামাখি। হাসতে হাসতে এখনো হাসি পাই স্মৃতির পাতার মেলে দিলে। তারপর তীরে উঠে এক কাধি কলা আমরা সবাই খেয়ে হোটেলে ফিরেছিলাম।
ভূলে যাওয়া কি যায় সেই স্মৃতি গুলো.........।

৪ টি +০/-০