![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুবাদঃ হামিদ আহসান
'এসব কুফা টুফা কিচ্ছু না বুঝলে? মনে আছে একবার টানা সাতাশি দিন কোনো মাছ পেলাম না। কিন্তু তারপর দেখা গেল পর পর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা প্রতিদিনই বড় বড় মাছ পেতে থাকলাম' - বলল বালকটি।
হুম, মনে আছে আমার । আর আমি এটাও জানি যে, তুই আমাকে কুফা মনে করে ছেড়ে যাস নি।'
'হ্যাঁ, এটা ঠিক। বাবার কথায় আমাকে যেতে হয়েছে। আমি ছোট মানুষ। বাবার কথা মানতে হয়।'
বুড়ো বলে, 'আমি সেটা জানি। আর এটাই স্বাভাবিক।'
'বাবার বিশ্বাস কম।'
বুড়ো স্বীকার করে নেয়, 'হুম, তার বিশ্বাস কম, তবে আমাদের তো বিশ্বাস আছে, না-কি?'
'হ্যাঁ', উত্তর দিল বালকটি। তারপর বলে, 'আমি চত্বরে বসে তোমাকে একটা বিয়ার খাওয়াতে চাই। তারপর না হয় মালপত্রগুলো আমরা বাড়ি নিয়ে যাবো? তুমি কী বল?'
'কেন খাবো না? দুই জেলের একজন আরেকজনকে তো খাওয়াতেই পারে।' বুড়ো উত্তর দিল।
তারা চত্বরে গিয়ে বসলো। কোনো কোনো জেলে বুড়োকে দেখে হাসি তামাশা করলো। কিন্তু বুড়ো সান্তিয়াগো মোটেও রাগ করলো না। কয়েকজন বয়স্ক জেলে অবশ্য তার প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টিতেই তাকালো। কিন্তু তারাও মুখে কিছুই বলল না। তারা নিচু স্বরে সমুদ্রের স্রোত নিয়ে কথা বলছিল। তাছাড়া কত গভীর সমুদ্রে তারা বড়শি ফেলেছে আর বর্তমান লাগাতার ভালো আবহাওয়া এবং আবহাওয়ার কত রূপ তারা দেখেছে সেসব নিয়েই তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। তাদের জীবনে দেখা নানা বিষয়ই তাদের কথায় উঠে আসছিল।
সেদিনের সফল জেলেরা ইতোমধ্যে এসে গেছে। সবাই ব্যস্ত। এরই মধ্যে তারা মারলিন মাছগুলো কেটে লম্বা করে তক্তার উপর রেখেছে। তক্তার দু' মাথায় দু'জন করে ধরে সেগুলো নিয়ে যাচ্ছে কাছেরই মাছের আড়তে। সেখান থেকে বরফের ট্রাকে করে মাছগুলো নিয়ে যাওয়া হবে হাভানার বাজারে। আর যারা হাঙর শিকার করেছে তারা সেগুলোকে উপকূলের অন্য দিকটায় হাঙর ফ্যাক্টরীতে নিয়ে গেছে। সেখানে হাঙরগুলি ঝুলিয় কলিজা বের করে ফেলা হয় এবং পাখনাগুলো কেটে ফেলে চামড়া খুলে ফেলা হয়। তারপর মাংস টুকরা টুকরা করা হয় লবন মাখানোর জন্য।
সাধারণত পূবালী বাতাসে পোতাশ্রয়ের অপর পার থেকে হাঙর কারখানার উৎকট গন্ধ ভেসে আসে। কিন্তু আজ কেবল মৃদু একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ আজ থেমে থেমে উত্তুরে বাতাস বইছে। চত্বরে আজ রৌদ্রোজ্জ্বল মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে।
চলবে..............................
View this link দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে - ১
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
হামিদ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
শুভেচ্ছা রইল.......................
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
ডি মুন বলেছেন: আমিও সেটাই বলতে চাচ্ছিলাম হামিদ ভাই ,
আরো বেশি লেখা দিন একেকটা পোস্টে। তা না হলে ঘটনার সূত্র হারিয়ে যায়।
আমি ইংরেজীটা পড়েছিলাম। কিন্তু খুব যে আনন্দ পেয়েছিলাম তা না। তবে আপনার অনুবাদ ভালো লাগছে। আশাকরি চালিয়ে যাবেন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
হামিদ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দেখি বেশি করে দিব..............
শুভেচ্ছা .....................
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
হাসান বৈদ্য বলেছেন: এক কিস্ততিে আরো বেশি লেখা দিন । অনুবাদ ভালো হয়েছে।