![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নন্দিত কথা সাহিত্যিক, বাংলা সাহিত্যের গ্রান্ডমাস্টার, প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের ৬৬ তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা, আজকের পৃথিবীতে যত ফুল ফোটেছে সব ফুলের শুভেচ্ছা ………….
একজন হুমাযুন আহমেদ আমার চেতনার সাথে মিশে আছেন। জীবনের নানা রঙ আর রূপকে তিনি তাঁর নিজস্ব ঢংয়ে কত সহজে আমাদের বোধের ভেতরটায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। বাংলা সংস্কৃতির নিজস্ব জিনিসগুলোর ভেতরগত রঙ, রূপ আর রসকে তিনি আমাদের চিনিয়েছেনে আমাদের বোধগম্য করে। জীবন আর তার চারপাশে বিরাজমান সৌন্দর্য দেখতে এবং সেগুলো ধরতে ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে শিখেছি তার কাছে। সুন্দরকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতেও শিখেছি তাঁর কাছে। ভালবাসার সংজ্ঞাই বা কী আর সৌন্দর্যের স্বরূপটাই বা কেমন এ প্রশ্নের মুখোমুখি প্রথম হয়েছি তাঁর কাছেই।
নানান রকম মানুষের বৈচিত্রময় মনস্তত্বের রূপ দেখেছি তার লেখায়। মানসিকভাবে বেঁচে থাকার অনেক রসদ আমি তাঁর কাছে থেকে পেয়েছি। মানবিক সম্পর্ক্ গুলোর মাঝে কত রকম সৌন্দর্য়্ আছে সেটা উপলব্ধি করেছি তার লেখা থেকে। হাস্যকৌতুকবোধ শানিত করতেও আমার দরকার হয়েছে তার সাহায্যের।
কালের আবর্তণে হুমায়ুন আহমেদের স্থান কোথায় হবে সেটা কালই নির্ধারণ করবে। তবে কালের ধারাবাহিকতা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। আমি দেখতে পাচ্ছি হুমায়ুন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি স্থান করে নিতে যাচ্ছে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতমদের কাতারেই। তার যথেষ্ট লক্ষণ কিন্তু ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। কালের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে এবং হুমায়ুন আহমেদ ভালভোবেই জানান দিচ্ছেন তার উপস্থিতি। যারা কিছু না বুঝে হুমায়ুনের লেখার অবমূল্যায়ন করে আতেল ভাব ধরেন তাদের ব্যাপারে আমার কোনো কথা নেই। কিন্তু যারা নিজস্ব চিন্তা ও যুক্তির নিরিখেই মনে করেন তার লেখায় গভীরতা নেই তারাও ফিরে আসবেন তাদের চিন্তা থেকে। ইতোমধ্যে সেই সুরের পরিবর্তণও দৃশ্যমান।
তাঁর এই জন্মদিনে তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তাঁর মৃত্যতে আমি পিতৃবিয়োগের ব্যথায় দগ্ধ হয়ে কেঁদেছিলাম, আমাদের পরিবারে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। আসবেইতো! তিনি তো আমাদের নিজেদেরই লোক! পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থণা তিনি যেন ভাল রাখেন হুমায়ুন আহমেদকে।
©somewhere in net ltd.