![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
প্রতিযোগিতার ফাইনাল শো -যাকে তারা গ্রান্ড ফিনালে বলে থাকে। পতিতাবৃত্তি শব্দটি অবাক হওয়ার মতো যে, সংধারী প্রতিযোগিতায় সংধারী মেয়েরা আবার ‘পতিতা’ কিভাবে? গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যাবে এর সত্যতা। নিজের দেহকে বিক্রি করে যে কামাই বা কাজ পাওয়া তা-ই-ই পতিতাবৃত্তি। তা পতিতালয়ে হোক কিংবা যে কোনো স্থানে হোক কিংবা আপোসে হোক। মূলত, পতিতাবৃত্তির যে বিষাক্ত বীজ তা প্রতিযোগিতায় থাকাকালীন সময়েই বপন হয়। প্রতিযোগীদের মননে মগজে ঢুকিয়ে দেয়- আরে তুমি সুন্দর, তোমার যোগ্যতা আছে, তুমি এসব কাজে লাগাও। মডেল হও। অভিনেত্রী হও।
সংধারী মেয়েটি হয়ে যায় অলীক স্বপ্নে বিভোর- টাকা কামাইয়ের লোভে, পরিচিতি পাওয়ার লোভে, সমাজের কথিত উপরের লেবেলে উঠার লোভে। যার ফলশ্রুতিতে সংধারী মেয়েটি যে কোনো অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে জড়িয়ে পড়ে পতিতাবৃত্তিতে। দু’একটা উদাহরণ দিলে আরো পরিষ্কার বোঝা যাবে। যেমন প্রতিযোগিতা শেষে অনেক মডেলিং হাউস সংধারী মেয়ের ফোন নম্বরে কল করে জানায় অমুক দিন ফটোশুটিংয়ের কাজ আছে কিংবা বিজ্ঞাপনের কাজ আছে সে করবে কিনা?
স্বাভাবিকভাবে সংধারী মেয়েটি সেখানে যায় এবং অংশগ্রহণ করে। সম্পূর্ণ বিনে পয়সায়। কিন্তু যে করায় সে ঠিকই টাকা কামায়। দু’এক দিন পর ওই ফটোগ্রাফার কিংবা বিজ্ঞাপন পরিচালক জানায়, তোমাকে তো অনেক সুন্দর লেগেছে। আমি চাইলেই তোমাকে অনেক উপরে উঠিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু ব্যাপার হলো কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। অর্থাৎ অনৈতিক সম্পর্ক করার আহবান। ওই বেকুব, মূর্খ, নির্লজ্জা, বেহায়া সংধারী মেয়ে স্বপ্নে বিভোর থাকায় সাড়া দেয়। যারা সাড়া দেয় না, কাজ পায় না। কিন্তু যে পথে পা বাড়িয়েছে সেখান থেকে সে আর ফিরে আসতে পারে না। ফলে এক পর্যায়ে সেও পরিশেষে সাড়া দেয় অর্থাৎ কাজ পাওয়ার জন্য তার দেহকে বিক্রি করতে হয়।
প্রত্যেকটি মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ পেতে হলে দেহকে বিলিয়ে দিতেই হয়। আবার যেসব ভ- কামুক পুরুষ প্রতিযোগিতায় থাকাকালীন পরিচালক হিসেবে কিংবা প্রযোজক হিসেবে কিংবা অন্য কোনো বড় পদে নিয়োগ থাকে তারাও ওই সংধারী মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করার লোভ দেখিয়ে দেহ ভোগ করে। এভাবে এক এক করে সংধারীরা সাড়া দেয় বহু পুরুষের অনৈতিক আহবানে। বর্তমানে যে এতো ইয়াবা সুন্দরী, কলগার্ল, চিয়ার্স গার্ল, পার্টি গার্ল, সেলস গার্ল- এদের নাম শুনা যায়, এরা কারা? এরাই সংধারী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী। যে মিডিয়ায় নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলে এরাই যে নারীর ইজ্জতহরণকারী, এরা যে পতিতাবৃত্তির মূল আখড়া- তা নগ্নভাবে প্রকাশিত।
Channel_i_এর_গাড়ীতে_গাজা!!!
অস্বাভাবিক কিছুই নয়।
"হৃদয়ে বাংলাদেশ" স্লোগানের আড়ালে একটি মিডিয়া তাদের মাদক ব্যাবসা চালিয়ে এসেছে এতদিন। ব্যাপারটি ভাবতেই ঘৃণায় শরীর রি রি করে উঠছে।
পরক্ষনেই মনে হল, সাংবাদিক ও টিভি চ্যানেল মালিকদের এই অধঃপতিত অবস্থাতো নতুন কিছু নয়। এরাইতো প্রগতিশীলতার ধারক বাহক হয়ে অশালীন সংস্কৃতির পুরোধা হিসেবে সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে আমাদের মেয়েদেরকে পন্য বানানোর কাজে অগ্রদূতের ভুমিকা পালন করে এসেছে। লক্ষ নারী তার প্রতিবাদ জানিয়ে অনলাইনে লিখেছে। কিন্তু তারা শোনেন নি। সমাজের নৈতিক ও ধর্মীয় মুল্যবোধকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বহাল রেখেছেন তাদের অশালীন বানিজ্য। নারী ব্যবসা থেকে আজ মাদক ব্যাবসায়ী হয়েছেন।
কাল হয়ত উনারা প্রচার করবেন, উনাদের চ্যানেলের স্টিকার ব্যাবহার করে কেউ এই অসৎ কাজ করেছে। আমাদেরকি বিশ্বাস করা উচিৎ? যখন আমাদের মেয়েদেরকে জংগী সাজিয়ে প্রচার করা হয় সাধারণ কিছু ধর্মীয় বই পাবার ছুতোয় তখন উনাদের দেখেছি। সেটিকে বিশ্বাস যোগ্য করে তুলবার জন্য কি প্রাণ পন মরিয়া চেষ্টা করে থাকেন উনাদের সব রিপর্টারেরা। বাংলাদেশ মৌলবাদীতে ভরে যাচ্ছে, এর বিহিত এখনই করতে হবে, এ ধরণের একটি অ্যাটিচুড থাকে তাদের সব সময়। আর আওয়ামী তোষণ তো আছেই হরদম। গতবারের প্রহসন মার্কা নির্বাচনের সময় দেখেছি, এই চ্যানেলটি ইনিয়ে বিনিয়ে আমতা আমতা করে বলবার চেষ্টা করেছে, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। খালি ভোট কেন্দ্র গুলো আর সিল মারা, জাল ভোটের ব্যাপারটি এড়িয়ে গিয়েছেন উনারা অবলীলায়। এদের ভুমিকা অনেক ক্ষেত্রেই বিতর্কিত।
যখন দিগন্ত টিভি আর আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হল, তখন এই চ্যানেলটিকে কোনও প্রতিবাদ করতে দেখিনি। এরা চরম খুশি হয়েছিলো কারণ, দিগন্ত আর আমার দেশের জনপ্রিয়তা বাড়ছিলো দিনকে দিন। অন্যান্য দেশে এরকম মিডিয়া আর পত্র পত্রিকা বন্ধ করলে সবার আগে অন্য মিডিয়া গুলো সোচ্চার হয়। অথচ এরা সরকারের প্রশংসা করেছে বিভিন্নভাবে। ধিক্কার জানাই আপনাদের ওরকম প্রতিহিংসায়।
শাহবাগ মুভমেন্টের সময় এদের ভুমিকা ছিলো দেখার মত। রিপোর্টারেরা কাঁপা কাঁপা গলায় চেতনার তুমুল তোড়ে থুথু ছিটিয়ে ছিটিয়ে সেকি চরম সব আবেগিয় প্রতিবেদন! প্রতিবেদন শেষে, আমি অমুক বলছি শাহবাগ চত্বর থেকে বলতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে ফেলতেন একেকজন। মনে মনে ভাবতাম, জী আপনি কাশেম বলছেন গঞ্জিকা চত্বর থেকে। একটু দূর থেকে বলুন, আমার টিভি স্ক্রীনে থুথু ছিটে আসছে আপনার।
যাইহোক, উনারা উনাদের স্লোগানের পরিবর্তন করে নিলেই আপত্তি থাকবেনা আমাদের। গঞ্জিকাপুর থেকে আমি অমুক তমুক, চ্যানেল সিদ্ধি,
গাড়িতে ৫০ কেজি গাঁজা। হৃদয় কথাটি লাগিয়ে এদেশের মানুষদের সহজ সরল হৃদয় নিয়ে খেলবেন না দয়া করে। দেশের মানুষ যথেষ্ট সহ্য করেছে আপনাদের বেনিয়া বৃত্তি।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
"নিজের দেহকে বিক্রি করে যে কামাই বা কাজ পাওয়া তা-ই-ই পতিতাবৃত্তি"
তাইলে দুনিয়ার সবাই পতিতা বা পতিত।
কারণ সবাই দেহের পরিশ্রমের বিনিময়ে কামাই করে।
দুনিয়ায় খালি আপনারাই ভাল আর সবাই পতিতা। এরকম গান গাইতে থাকেন আমরা এগিয়ে যাই।
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
মিতক্ষরা বলেছেন: লাক্স চ্যানেল আই এর মত অশালীন একটি অনুষ্ঠান দেখলে বোঝা যায় বাংলাদেশে নৈতিকতা কোথায় গিয়ে পৌছেছে।
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভালো লিখছেন। সহমত জানাইয়া গেলাম।
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ফা হিম বলেছেন: ত্যানা পেচাইতে পেচাইতে একটু বেশিই পেচাইয়া লাইছেন।
লেখা হইয়া গেছে কোথায় আয়ুব খান আর কোথায় খিলি-পান।
কৃষ্ণ করলে লীলা আর আমরা করলে বিলা!
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: কাঁচা হাতের লেখা!
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
মেমননীয় বলেছেন: চামড়ার ব্যবসা করতে সবাই কিন্তু যায় না।
এই ব্যবসা করতে দালাল প্রয়োজন। চ্যানেল গুলো সেই দালাল।
এরা দালালি নিবে, মেয়েদের ব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক।
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: যাযাকাল্লাহ খাইর...................
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা একতরফা হয়ে গেল না ?!? সামগ্রিকভাবে বিচার করলে আপনার বক্তব্যের সত্যতা হয়তো মিলবে তবে সেটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিনির্ভর। কাজেই ঢালাওভাবে তকমা দেয়াটা মূর্খতা।