নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

সত্যের পথে আরিফ

সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)

সত্যের পথে আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ও ফ্যাসনের সংঘাত(সব পর্ব একত্রে)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

ইসলাম ও ফ্যাসনের সংঘাত - ১

হাদিস ভান্ডারে প্রিয়তম নবী (সাঃ)- এর এমন অনেক বাণীর সন্ধান পাই,যাতে স্পষ্ট করে বলা আছে,মানব জীবনের সফলতা ও স্বার্থকতার জন্য রাসূল (সাঃ)- এর আনুগত্য একান্তভাবে জরুরি l পক্ষান্তরে সুন্নতে রাসূলের পরিপন্থী পথ ও কর্মে রয়েছে মানব জীবনের ধ্বংস ও পতন l আমরা এখানে এ সম্পর্কিত কয়েকটি বাণী উল্লেখ করছি -

হযরত রাসূল (সাঃ)- ইরশাদ করেছেন -

১. যে ব্যাক্তি আমার সুন্নতের উপর আমল করে না,সে আমার দলভূক্ত নয় l
২. যারা অন্যদের পথে চলে,তারা আমার দলভূক্ত নয় l
৩. যে আমার পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে,সে আমার দলভূক্ত নয় l
৪. যে ব্যাক্তি আমার সূন্নতকে ধ্বংস করবে,তার জন্য আমার শাফায়াত হারাম l

[ ফাতাওয়া রাহীমিয়া : ২য় খন্ড,৪০৪-৪০৫ পৃ ]

ফ্যাশনপূজারী আত্মভোলা মুসলমানদের উচিত প্রিয়তম নবী (সাঃ)- এর বাণীগুলো বার বার পাঠ করা এবং গভীরভাবে চিন্তা করা l
আমরা কি আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী (সাঃ)- এর অনুসরণ করবো,নাকি ইউরোপ-আমেরিকার অনুসরন করবো


ইসলাম ও ফ্যাসনের সংঘাত - ২

ফ্যাশনের অবাঞ্ছিত প্রভাব মানুষের মন-মস্তিষ্ককে এমনভাবে বিকৃত করে ফেলেছে,যে মানুষ অবলীলায় সূন্নত নিয়ে হাসি তামাশা করে l কেউ যদি সাহস করে দাড়ি রেখেই ফেলে,তখন প্রথম প্রতারোধের শিকার হয় নিজ পরিবারের লোকদের কাছে l অতঃপর পাড়া,অফিস,দোকান,বাজার,বন্ধু মহল,আত্মীয় স্বজন সকলেই তার বিরুদ্ধে আদা-জল খেয়ে 'প্রতিরোধ বিপ্লবে' অবর্তীর্ণ হয় l

কেউ করে মশকরা তো কারো কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত প্রশ্নবানে বিদ্ধ হতে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান . . . l

সরাসরি সূন্নতের বিরোধীতা -

বিষ্ময়কর বিষয় হল,আজকের মুসলমানগণ সরাসরি দাড়ি মুন্ডন করে আবার এই অন্যায় কর্মের প্রচার করে বেড়ায় l তারা এই অন্যায় কর্মকে প্রসংস্যা করে আর দাড়ি রাখাকে নিন্দা ও তিরষ্কার করে l

যুবক তো যুবক,অনেক বৃদ্ধ পর্যন্ত দাড়ি কামিয়ে খোলামেলা রাসূল (সাঃ)- এর সূন্নতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বেড়ায় l

অথচ দাড়ি শুধু সূন্নতই নয়,দাড়ি ইসলামের একটি অন্যতম প্রতীক বা শি'আর l ইসলামে দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্য বলে বিবেচিত l

ফেরেস্তাদের একটি শ্রেণী এই বলে তসবীহ পর্যন্ত পাঠ করে -

পূতঃপবিত্র সেই সত্তা,যিনি পুরুষকে দাড়ি আর নারীদের জন্য সৌন্দর্যের বিষয় দীর্ঘ কেশ ও খোপা দ্বারা অলংকৃত করেছেন l [ হাদীস-ফাতাওয়া রহিমিয়াহ : ১ম খন্ড,৩৯৮ পৃ ]

এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়,পুরুষের জন্য সৌন্দর্যের বিষয় দাড়ি নারীদের জন্য্ দীর্ঘ কেশ ও খোপা l এজন্যই নবীজি (সাঃ) নিজে দাড়ি রেখেছেন এবং উম্মতকে দাড়ি রাখতে উৎসাহীত করেছেন l . . . (চলবে)


ইসলাম ও ফ্যাসনের সংঘাত - ৩

নবীজির প্রতি নিঃসর্ত আনুগত্য ইমানের প্রধান শর্ত -

রাসূল (সাঃ)- এর আদর্শের আনুগত্য করা,তার আমল ও সীরাতের অনুকরণ করা,তার সকল নির্দেশ ও সিদ্ধান্তকে নিঃসঙ্ক চিত্তে মেনে নেয়া ইমানদার হওয়ার প্রধান শর্ত l কারন,শরীয়তের পরিভাষায় ইসলাম বলা হয়,নবীর নির্দেশিত পথে আল্লাহ তায়ালার বিধানাবলীর অনুসরণ করাকে l নিজের বিবেক ও মন মতো আল্লাহ তায়ালার অনুগত্য করাকে ইসলাম বলা হয় না l

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কূরআনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন -

' কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ ! তারা মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষণ না তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার তোমার উপর অর্পণ না করে,অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের মনে কোন দ্বিধা সংকোচ না থাকে এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেয় ! [ সূরা নিসা : ৬৫ ] '

এই আয়াতে কারীমার ব্যাখ্যায় হযরত জা'ফার সাদেক (রহঃ) বলেন,যদি কোন জাতী ও সম্প্রদায় আল্লাহ আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করে,নামায রোজা হজ যাকাত সবই করে,কিন্তু হযরত রাসূলে কারীম (সাঃ)- এর কোন আমল সম্পর্কে এই জাতীয় অভিযোগ করে বসে যে,তিনি এমনটি কেন বললেন ? অথবা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর কোন আমল সম্পর্কে মনে দ্বিধাা ও অসন্তোষ পোষণ করে,তাহলে তার নাময,রোজা,হজ,যাকাত সব কিছু আদায় করা স্বত্তেও সে কাফের ! [ রুহুল মা'আনী : ৫ম খন্ড,৬৫ পৃ ] . . . (চলবে)

ইসলাম ও ফ্যাসনের সংঘাত - ৪


এক ইহুদীর ঘটনাঃ

এক ইহুদী ও এক মুসলমানের মাঝে দ্বন্দ বাধে l মকদ্দমা পেশ করা হয় রাসূলে করীম (সাঃ)- এর আদালতে l পূর্ণ তদন্তের পর রাসূল (সাঃ) ইহুদীর পক্ষে রায় দেন l এতে মুসলমান ব্যাক্তিটি সন্তুষ্ট হতে পারেনি l তখন সে মকদ্দমাটি পুনরায় হযরত উমর (রাঃ) এর সামনে পেশ করে l হযরত উমর (রাঃ) বিষয়টির বিবরণ শোনার পর ঘরে যান l ঘর থেকে তলোয়ার এনে সোজা সেই বাদীর গর্দান উড়িয়ে দেন এবং ঘোষণা করেন,হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এর ফয়সালায় যে সন্তুষ্ট হতে পারেনা,তার জন্য এটাই যথার্থ ফয়সালা l

এ ছিল একটি মৌলিক নীতি ও আইনের কথা l

সকলের জন্য আদর্শঃ

যে রাসূলে করীম (সাঃ) এর বিচার ফয়সালাকে মানেনা,যে আল্লাহ'র রাসূলের চাইতে অন্য কাউকে অধিক ন্যায়পরায়ণ মনে করে,সে ধর্মত্যাগী মুরতাদ l

এমন ব্যাক্তির মুখে ইসলামের নাম উচ্চারণ করা মুনাফেকী ভন্ডামী l সূতরাং তার শাস্তি মৃত্যদন্ড l হযরত উমর (রাঃ) তাই করেছেন l

তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) কে সকল গুন ও পূর্ণতার অনুপম নন্দিত সত্তা হিসেবে এই মাটির পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন l তিনি ইরশাদ করেন -

নিশ্চয়ই আল্লাহ'র রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ l [আহযাব : ৩৩]

সূতরাং জীবনের পূর্ণতা,সৌন্দর্য ও সফলতা রাসূল (সাঃ) এর পূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের মধ্যেই নিহীত l

এই সত্য ও সুন্দর তত্ত্বটি যথাযথ ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ! তাই তারা সুধু ইবাদত-বন্দেগীই নয় বরং প্রতিটি সূন্নতের হরফে হরফে অনুসরণ করতেন l তারা নিজেদের প্রতিটি কর্ম,চিন্তা ও আচরণকে নবীজির আদর্শের রঙে রাঙিয়ে তুলেছিলেন এবং একেই জীবনের সর্বোচ্চ সফলতা বলে বিশ্বাস করতেন l . . . (চলবে ইনশা-আল্লাহ)


ইসলাম ও ফ্যাসনের সংঘাত - ৫

দাড়ি পৌরুষের প্রতীক : দাড়ি মুন্ডন করা শয়তানের কাজ -

আজ যুবক বুড়ো নির্বিশেষে আমরা সকলেই চরম দুঃসাহসী হয়ে পড়েছি l যুবক থেকে বৃদ্ধ অনেকেই দাড়ি মুন্ডন করে নির্ভিকভাবে l অথচ ভেবে দেখুন স্বয়ং রাসূল (সাঃ) সর্বদা দাড়ি রেখেছেন,সকল মুসলমানকে দাড়ি রাখার তাকিদ করেছেন l

আর আজ চলছে দাড়ি না রাখার প্রতিযোগীতা l এর চেয়ে বড় বেয়াদবী আর দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে l

তাছাড়া শুধু সকল নবী-রাসূলের সুন্নতই নয়,দাড়ি পৌরুষের প্রতীক,মুসলমানের ঐত্যিহ্যময় স্মারক l দাড়ি মর্যাদার সাক্ষী,সম্মান ও বুযুর্গির নিদর্শন l দাড়িই পৌরুষের দীপ্ত প্রমাণ l

দাড়ি মুন্ডন করার অর্থ হলো,আল্লাহ প্রদত্ত আকৃতিকে বিকৃত করে ফেলা l এটা নিতান্তই শয়তানের কাজ l দাড়ি মুন্ডনকে ভাল বলা বা প্রসংসা করার অর্থ সুন্নতে রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা,যা কোন মুমীন মুসলমানের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব l

আমরা সকলেই দাবি করি,আমরা নবীকে ভালবাসী l কিন্তু সত্যিই যদি ভালবাসী,তাহলে এর দাবী তো ছিলো,রাসূল (সাঃ)- এর অনুসরণ করা l কারণ,কারও কর্ম,চরিত্র ও রূপকে ঘৃণা করে মুখে তার ভালবাসার দাবি কি নিতান্তই ভন্ডামী নয় ?

কবি বলেছেন -

''রাসূলের অবাধ্য তুমি,মুখে বলো ভালবাসী,
প্রাণের শপথ,এ কেমন আজগুবি দাবি !

সত্যি যদি প্রেমীক হতে,হতে অনুগত তার
কর্মই বলে - কার হৃদয়ে ভালবাসা কার ৷৷ ''

[ ফতোয়ায়ে রাহীমিয়াহ,২য় খন্ড,৪০২-৪০৩ ]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.