![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
যে কোন হত্যাকাণ্ডই ঘৃণিত। হত্যাকান্ড নিয়ে রাজনীতি করা তার চাইতেও ঘৃণিত কাজ। কিন্তু এদেশে সচরাচর তাই হচ্ছে । বিশেষ করে ব্লগার হত্যাকান্ড নিয়ে চলছে নোংরা রাজনীতি। রহস্যময়ভাবে এক একজন ব্লগার খুন হয়; মিডিয়ায় তোলপাড় হয়, নাস্তিকদের রাজপথ দখল আর ধর্মপ্রাণ মানুষদের পাল্টা প্রতিবাদের মাঝে হারিয়ে যায় হত্যাকান্ডের মুল হোতারা। ফলে এ পর্যন্ত সংঘটিত একটি হত্যাকান্ডেরও সুরাহা হয়নি।
তবে সম্প্রতি কিছু আশার আলো দৃশ্যমান হয়েছে সরকারপ্রধানের বক্তব্যে।
ধারাবাহিকভাবে নাস্তিক ব্লগারদের হত্যাকান্ড নিয়ে এতদিন যে সত্যটি সবাই চাপিয়ে রেখেছিল, তা ব্লগার নিলয় খুন হওয়ার পর উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। সত্যটি হলো, খুন করাটা যেমন অপরাধ, ফেসবুক বা ব্লগের মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানি সৃষ্টি করাটাও খুনের ন্যায় একটি বড় অপরাধ। অতএব, ভবিষ্যতের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে উভয় পক্ষেরই বিচার হতে হবে।
ব্লগার প্রসঙ্গে কিছু কথা না বললেই নয়-
অনলাইন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক ও ব্লগ। ভালো মন্দ সব লেখা, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষিত শ্রেণী বিশেষ করে ছাত্রদের অংশগ্রহণ এ জগতে অনেক বেশি। এখানে সবাই স্বাধীন, ভাল-খারাপ সবধরনের লেখকদের আনাগোনায় সরগরম থাকে এ জগত। ব্লগ মানেই খারাপ নয়, এখানে সৃজনশীল লেখক রয়েছে প্রচুর, যারা নিরবে দেশ ও জাতির কল্যাণে লিখে চলেছেন। কিন্তু বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে অনলাইনের সুযোগ সুবিধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর নাস্তিক ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করে আসছে দীর্ঘ দিন যাবত। আর এসব প্রচারণায় তারা দ্রুত সমর্থন পেয়ে যায় তথাকথিত কিছু নাস্তিক বুদ্ধিজীবীর, ফলে তাদের মিশন গতি পায়। এগুলো এতদিন অন্তরালে থাকলেও ব্লগার রাজিব হত্যার পর মিডিয়ার প্রচারের সুবাদে জনগণ সব বিষয় জানতে পারে।
সম্প্রতি খুন হওয়া সব ব্লগারদের ফেসবুক পেজ এবং ব্লগ দেখলে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিতও হয়েছে। একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এসব দেখার পর কোন সুরুচিসম্পন্ন মানুষই তাদের সমর্থন করতে পারবে না।
তারা ইসলামের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আল্লাহ ও রাসূলের (স) উলঙ্গ কার্টুন সহ অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছে। তাদের লেখায় রয়েছে সমকামিতা সহ বিভিন্ন ধরনের বিকৃত যৌনতা নিয়ে অযৌক্তিক আলোচনা। অনেকের পেজে নিজের বিভিন্ন পোজের উলঙ্গ ছবি পোস্ট করা ..... নারী পুরুষের আপত্তিকর অবস্থার ছবি ......। নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে আস্তিকদেরকে অশ্লীলভাবে আক্রমণ করা, বিশেষ করে ইসলামকে হেয় করার যতো নোংরা পদ্ধতি আছে সবগুলো প্রয়োগ করা যেন তাদের নিয়মিত ব্লগিংয়ের একটি অংশ। ধর্মহীনতা আর অশ্লীলতা ছাড়া যেন ব্লগিং বা ফেসবুকিংয়ের আর কোন বিষয়ই নেই!
এসব নাস্তিক ব্লগাররা যদি সত্যিকার অর্থেই দেশ ও জনগণের ভাল কামনা করতো- তাহলে দেশ, জাতির অগ্রগতির জন্য সুপরামর্শ দিয়ে ব্লগ লিখতে পারতো। কিন্তু শুধু ধর্ম ও নারীরাই কেন তাদের লক্ষবস্তু? এর কারণ হলো, তারা দেশ ও জনগণের ভালো চায় না, নিজেকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে স্বার্থোদ্ধার করতে চায়। তাদের পূর্বসূরী দাউদ হায়দার ও তসলিমা নাসরিনদের পথে হাটতে হলে ধর্মকে আঘাত করা আর নারীকে অবগুণ্ঠনমুক্ত করে ঘরত্যাগী করার মন্ত্র দেয়ার ন্যায় উত্তম পথতো আর হয় না!
সুতরাং এদের ভন্ডামি জাতির সামনে প্রকাশ না হলে নতুন প্রজন্ম ক্রমেই বিভ্রান্ত হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের আবারও অভিনন্দন, নাস্তিকদের সাথে তাল না মিলিয়ে সঠিক বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। আশা করি আপনারা অন্তত নাস্তিক ব্লগারদের বিষয়ে সঠিক আইনী পদক্ষেপ নিয়ে ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশবাসীকে অধঃপতনের হাত থেকে উদ্ধার করবেন। তবে মনে রাখবেন, সঠিক পথে না হেটে নাস্তিকদের পক্ষে কাজ করলে জাতি আপনাদের কোনদিন ক্ষমা করবে না।
©somewhere in net ltd.