![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আকাঙ্খিত টিকফা চুক্তি (ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপোরেশন ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট )। অনেক আলোচনা, সমালোচনা, প্রতিরোধ সত্ত্বেও দেশের জনগণের মতামত উপেক্ষা করে, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় প্রভু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আশির্বাদ নিতে এই চুক্তি অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। এই টিকফা চুক্তিতে কি আছে তাও সম্পূর্ণ রুপে জনগণের কাছে প্রকাশ করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র নিছক জিএসপি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু বাংলাদেশ কখনও জিএসপি সুবিধা পায়নি বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের দেশীয় দালালরা এই চুক্তি হলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। শুধু আজ নয় বাংলাদেশ নামক একটি নয়া ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এদেশে রুশ-মার্কিন (যে যখন নিয়ন্ত্রন করেছে) সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট হয়ে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মূল্যবান সম্পদ অসম চুক্তির মধ্য দিয়ে তুলে দিয়ে তাদেরই স্বার্থসিদ্ধি করেছে। আজকেও তার ব্যতিক্রম কিছু হচ্ছে না। উগ্র জাতীয়তাবাদ এর প্রেক্ষিতে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালগু জনগোষ্ঠীর উপর হামলা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্বস্ত দালালদের ক্ষমতায় বসানোকে কেন্দ্র করে দেশের ভিতরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রীতিমত জোর করে এই দেশ বিরোধী চুক্তি করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
অতি উৎপাদন সংটকটের ফলে বর্তমান পূঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব মন্দা থেকে মহামন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে বাজার দখল পূণ: দখলকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ধামামা বাঁজছে।
ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়ায় বাজার দখল, একক আধিপত্য এবং এশিয়ায় উদীয়মান পুঁজিবাদী চীনকে আগামী যুদ্ধে মোকাবেলা করার জন্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে চায়। এই পরিকল্পনা সরুপ তার মোট সামরিক শক্তির ৬০ভাগ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিপূর্বে অনেকবার চেষ্টা করেও জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রামের মুখে তা সম্পন্ন করতে পারেনি। কিন্তু আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় সকল দালাল গোষ্ঠীই মরিয়া। তাইতো বিরোধীদল সহ সমমনা দল গুলো একের পর এক হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াওসহ সহিংস কর্মসূচী দিয়ে মানুষ হত্যাসহ নেক্কারজনক কাজ করে যাচ্ছে। দেশের কথা, জনগণের কথা বললেও এসকল দালাল সংগঠন গুলো কিভাবে ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা যায় সেই ফন্দি আঁটছে। তাইতো দেখা যায় তারা এসকল দেশ বিরোধী চুক্তির বিরোধিতা না করে তা কিভাবে জনগণের কাছ থেকে আড়াল করা যায় সেই প্রচেষ্ঠায় লিপ্ত।
এদিকে রুশ সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদী চীনও এতদঅঞ্চলে তাদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চায়। ইতিমধ্যে চীন শ্রীলংকা, মায়ানমারে তার সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে সামরিক বাহিনী নিয়োজিত করার প্রশ্নেও হুংকার উচ্চারন করেছে। চীনও চায় বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান করে তার আধিপত্য সৃষ্টি করতে। এ হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলছে। আমাদের দালাল গোষ্ঠীও কোন প্রভূর নিকট যাবে, কে তাদের ক্ষমতায় বসাবে সে হিসাব কষছে।
তাই এসকল চুক্তি প্রতিহত করে সাম্রাজ্যবাদের দালাল সরকার নয়। জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে আগামীতে জনগণের সরকার ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.