নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশতে পারি কাহারো সাথে,আমি একটু সরল,ধরতে পারি যে কোনো রূপ,ঠিক যেনো তরল।আমি স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন মুসলমান বাংলাদেশী।

এম কে মিশুক

আমি অতি সাধারণ নেই আমার তেমন গুণ।

এম কে মিশুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীরুতাই পুঁজি

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪২

★ভীরুতাই পুঁজি★
বর্তমান সময়ে ধর্মটা আসলে ব্যবসায়িক কাজেই বেশী পালন করা হয় খোদা ভীরু সহজ সরল মানুষের ভীরুতাকে পুঁজি করে।
ঘটনায় আসি..........
আমাদের এলাকায় মানে এলাকা থেকে আধা কিলো দূরে বহু আগে থেকেই একটা মাজার আছে যেখানে প্রতি বছর বাৎসরিক জলসা আর উরস করা হয় সেখানে উরসকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলাটা আগে অনেক বড় পরিসরে হতো কিন্তুু এখন আগের মতো নেই।
মেলায় যে মাজার আছে সেই মাজারে পাশে সামিয়ানা করে একদল লোককে দেখা যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে বসে থাকে গান গায়।
অনেক মহিলারও সমাগম হয় তবে অধিকাংশই হতদরীদ্র হয়তো মেলার উছিলায় ভালো খাবার পায় তাই।
তাদের বিছানো লাল কাপরে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাজার হাজার টাকা,আর দাড়ি ছাড়া একজন খাদেম আছে ওনার সামনে দেখা যায় অগণিত ফুল,ফল,মোমবাতি আর আগরবাতির বাহার।
দেখলাম এক পাশে মহিলারা নামায পড়ছে আরেক পাশে মাইকে উচ্চ আওয়াজে হচ্ছে গান..."যদি আমায় ভালোবাসো"....
আমরা একদল যাই মাজার কেন্দ্রিক মেলায় সুন্দর রমণী দেখতে আর আরেক দল কিছু কিনতে আর আরেক দল যাই পকেট কাটতে আর আরেক দল গাঁজা টানতে।
তবে উরস যে পীর আওলিয়া বা ওলীর উদ্দেশ্যে তার চরীত্র কি, উদ্দেশ্য তা কেউই জানি না।
বাচ্চা ছোট মেয়েকে দেখা যায় মাজারের পেছনে নাচতে আর আরেক পাশে পর্দা দিয়ে তরুণীর নাচের বাহার হিন্দি আর বাংলা গানে।
আসলে আমরা তো মাছি কোনো মিষ্টি কিছু দেখলেই উড়ে গিয়ে বসতে চাই
এটা অপরিবর্তনীয় একটা প্রেক্ষাপট আমাদের দেশের যা অনেক আগে থেকেই চলছে আর আমাদের অন্যের ব্যবসা বন্ধ করার কোনো অধিকার নাই কিন্তুু ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা জিনিসটা আমি মানিয়ে নিতে পারছি না।
আর এটাতো শুধু আমার এলাকার সামনে আর কত জনের এলাকায় যে এমনটা হয় তা তো অজানা।
বিঃদ্রঃআমি মেলায় গিয়েছিলাম আর নেতিবাচক দিক থেকে ইতিবাচক দিকের পরিমাণ দেখেছি খুবই নগণ্য।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫০

রাসেল সরকার বলেছেন: আমাদের মহান আওলিয়াকেরামের পবিত্র মাজার শরীফে যে সকল ভন্ড ও দালালরা মদ, গাজা ও জোয়ার আসড় বসিয়ে অকর্মের আখড়া তৈরি করছে, তাদেরকে উৎখাত করা প্রত্যেক ঈমানদারের ঈমানী দায়িত্ব । কোনভাবেই এই দায়িত্বের বরখেলাপ করা যাবে না । শুধু তাই নয়, অনেক ভন্ড, পীর ফকিরদের মাজারে ছেয়ে গেছে দেশ । যা দরুন কিছু ধর্ম ভীরু ও সরল মনা আওলিয়াকেরাম প্রেমেিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একদল ব্যবসায়ী সানন্দে ব্যবসা করে চলছে । এই জন্য প্রকৃত সুফি দার্শনিকদের সহচর্যে গিয়ে মহান আওলিয়াকেরামের প্রকৃত দিশা সর্ব স্তরের মানুষের নিকট পৌছিয়ে দেওয়া খুবই জরুরি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.