নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গরু ঘাস খায়।

আমার বিষয়ে কিছুই বলার নেই।

মদন কািন্তর্

মদন কািন্তর্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষে টিএসসি এবং সুশীলের সুশীলতা

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৭

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টি এসসিতে নববর্ষের দিনের ঘটনাতে ধর্ষকরা যে মেইন অপরাধী এই ব্যাপারে তো অবশ্যই আমাদের কোন কনফিউশান থাকার কথা না?

কারন যেসব ছেলেরা সারাদিন পর্ণ ভিডিও নিয়ে থাকে, তারাও কিন্তু সবাই বাস্তবিক ক্ষেত্রে এতটা বিবেকহীন হতে পারবে না। এটা জাস্ট ফ্যান্টাসি।



আর যারা ছোট শিশুর সামনে মায়ের কাপড় টানে তারা কী সেটা নতুন করে বলারও দরকার হয় না। কুত্তা বললেও কুত্তার অপমান হবে।





কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে আমি কনফিউজড আমাদের মানসিকতা দেখে। যে মেয়েরা অপমানিত হয়েছে, তারা সবাই যে কিছুটা হলেও খোলামেলা ড্রেস পরেছিল এটা তো সত্য। আর এটাও যে তাদের এই পরিণতির জন্য পরোক্ষভাবে হলেও দায়ী এটাও সত্য।

অথচ সবাই যেন এই ব্যাপারটা সহ্যই করতে পারছে না।



এটা সত্যি যে, মেয়েগুলা অশ্লীল পোষাক পরলেও মেয়েদের পোশাক ধরে টানা কোন মানুষের কাজ না।

কিন্তু, আপনি একটা নেড়ীকুত্তার সামনে হাড্ডি নিয়া লোভ দেখাবেন, তারপর সেই নেড়িকুত্তা হাড্ডী নিয়া দৌড় লাগাবে এইটাই তো স্বাভাবিক?

নেড়ি কুত্তাদের ধর্মই এমন।



এইটা যখন আপনি জানেনই তাহলে তারপরও কেন নেড়িকুত্তার সামনে হাড্ডি নাচাইতে গেলেন ?

মানুষরূপী নেড়িকুত্তার বেলায়ও এটা প্রযোজ্য।

এছাড়াও…



আমার ফ্রেন্ডলিস্টেরই একটা মেয়ে স্ট্যাটাস দিসিলো, আমরা মেয়েরা রাস্তা দিয়ে ন্যাঙটা হয়ে চলবো, তোমরা রেপ করার কে ?

আচ্ছা এই টাইপের কথায় কী ধর্ষন কমবে না বাড়বে ?



আবার আরো ব্যাপার আছে



শাস্তি দাবি করার বদলে একটা বড় অংশ পুরাই উল্টা একটা টপিক নিয়া আসছে

তারা বলছে, বোরখা পরলে বা শালীনভাবে চললেও তো রেপ হয়।



এই ব্যাপারে তারা অনেক যুক্তিও নিয়ে আসছে।



আমি সিরিয়াসলি বুঝতেসি না, এই রেপে বোরখা কী করলো ? এই মেয়েদের একজনও তো বোরখা পরেও নাই।

তাই তারা যুক্তি হিসেবে আফগানিস্তান ইরাকে মেয়েদের ধর্ষনের উদাহরন দিতেসে ।



আমি কখনোই বলছি না, শালীন ড্রেস আপ একজন নারীকে ধর্ষন থেকে পুরোপুরি বাঁচাবে।

কিন্তু ব্যাপারটা ভেবে দেখুন…



আপনি বাসা খালি রেখে একমাসের জন্য বাইরে গেলেন। বাসার দরজায় তালা মেরে রেখে গেলেন।

একমাস পরে ফিরে দেখলেন , বাসার দরজা ভেংগে চোর সব নিয়ে গেছে

তারমানে কী এই যে, পরের বার বাসা থেকে বের হলে আপনি দরজায় আর তালা মারবেন না ? কারন তালা মারলেও তো চোর ঢুকে।



আসলে দরজায় তালা মারা সত্ত্বেও বাসায় যেমন চোর ঢুকতে পারে, তেমন শালীনভাবে চললেও হয়তোবা কেউ কেউ শ্লীলতাহানীর শিকার হয়। এগুলো খুবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা…



যদি, শালীনভাবে চললেও ধর্ষন ঘটে এই যুক্তিতে শালীন ড্রেস বা পর্দার বিরোধীতা করেন বা বাদ দেন ,

তাহলে দরজায় তালা মারলেও চুরি হয় এই যুক্তিতে দরজায় তালা মারাও বাদ দিতে হবে।



আমি এই বিচ্ছিন্ন ঘটনার ব্যাপারে আরও কিছু বলি…

ওরা অনেকেই পোস্ট দিচ্ছে , "আফগানিস্তানের নারীরা, ইরাকের নারীরাও তো ধর্ষিত হয় ? এটার ব্যাখ্যা কী ?"



আপনি পরিসংখ্যানে দেখুন, আমেরিকার সাথে যুদ্ধচলাকালীন পরিস্থিতির সময়টা বাদে, বিগত দশ বছরে আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান এইসব দেশে প্রতিদিন গড়ে কত নারী ধর্ষিত হয়, আর ভারত, আমেরিকাতে কত নারী ধর্ষিত হয়…

জাস্ট এর পরিসংখ্যানগত হিসাবটা দেখুন।



মেয়েরা শালীনভাবে চললেও রেপ ১০০% বন্ধ করতে পারবে না এটা সত্যি, কিন্তু অন্তত পক্ষে ৯৫% বন্ধ হবে ইন শা আল্লাহ



একটা ছেলে ফেসবুকে লিখে ছিল, "খোলামেলা ভাবে শাড়ি পরা স্বাধীনতা হলে, তোমাদের খোলামেলা পোশাক ধরে টানাটানি করাও আমাদের অধিকার।"

এর উত্তরে আরেক আপু লিখেছেন, "তুই যখন নুনু বের করে রাস্তায় মুতোস, তাইলে সেই নুনু ধরে টান দেয়াও আমাদের অধিকার ?"



সুন্দর উত্তর। কিন্তু, একজন নারীর মুখে এধরনের কথায় শুধুমাত্র কিছু তথাকথিত নারীস্বাধীনতায় বিশ্বাসী যৌন আবেদনে কাতর সুশীলরাই হাততালি দেয়…



মেয়েরা যদি এধরনের কমেন্ট করে ওপেনলী, তাহলে সেই আবাল পাবলিকগুলার সাথে তাদের পার্থক্য কী থাকলো ? আপনি হয়তো বলবেন, সেই ছেলেটার কথার উত্তর তো দেয়া দরকার ?

ছেলেটা বেহায়া বলে আপনাকেও বেহায়া হতে হবে ? আপনি আপনার রুচি বজায় রাখতে পারলেন না ?



আসলেও, আমরা নুনু বের করে মুতলেও আমরা কিন্তু নুনুটা ঢেকে রেখেই মুতি। কিন্তু তারা তো নাভি পুরা ওপেন রাখসিলো…

(আমি কোনমতেই ঐ বেহায়া ছেলের পক্ষ নিচ্ছি না। তাও মেয়েটার এমন কমেন্টের বিপক্ষেও কথা না বলে পারলাম না।এটার জন্য আমি আন্তরিকভাবেই ক্ষমাপ্রার্থী)

এটা সত্যি, যে প্রেক্ষিতে মেয়েটা কমেন্ট করসে, সেইটা হিসেব মত কিছুটা ঠিকও আছে। কারন পোলাডা নারীদের কাপড়টানা তার অধিকার হিসেবে দেখাইসে। কিন্তু মেয়েটা এইটাইপের কমেন্ট করে আরও অশ্লীলতাকেই উষ্কে দিল। আর কিছুই না।



আরও একটু বলি



অনেকে এর প্রতিকার হিসেবে মেয়েদের ব্যাগে পিপার স্প্রে রাখতে বলসে, ছুরি রাখতে বলসে । অথচ দেখুন…



আমেরিকাতে মেয়েদের প্রত্যেকেরই হ্যান্ডব্যাগে ছুরি থাকে, পিপার স্প্রে থাকে, ইলেকট্রিক শক দেয়ার যন্ত্র থাকে , এমনকি পুলিশি হেল্পের জন্য 911 ছাড়াও এমন অত্যাধুনিক ব্রা আছে যেগুলা জোর করে খুলতে গেলেও কাছের পুলিশ স্টেশনে ফোন চলে যাবে



এত কিছুর পরেও পরিসংখ্যান কী বলে জানেন ?



আমেরিকার মত উন্নত দেশেও প্রতি আট মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হয়

আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি, ইন্ডিয়াতে আর আমেরিকাতে এক দিনে যে ধর্ষন হয়, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে একমাসেও হয় কিনা সন্দেহ।



অথচ এতকিছুর পরেও বোদ্ধারা সমাধান হিসেবে শালীন হতে বলেন না। তারা হাজারটা নতুন সমাধান দিলেও শালীন হওয়ার কথা মুখেও আনেন না।



কারন এতে নাকি নারী স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়, আসলে সব শিয়ালরাই চায় মুরগীরা স্বাধীনতা পাক, কারন মুরগীরা স্বাধীন হলে তাদের ধরা সহজ…



আচ্ছা, আর এক মাস পরে আপনি একশ জন নারীকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন তো, তাদের কতজন ব্যাগে নাইফ রাখসে ? কতজন পিপার স্প্রে রাখসে ?



দেখবেন, একজনও রাখে নাই। কারন এত ঝামেলা কেউই করবে না। অথচ সামান্য একটা ওড়না মাথায় দিতে যদি নাও পারে, অন্তত বুকের উপরে দিয়েও তো পর্দা করা যায় ?

অথচ সেটুকুও তাদেরকে ধরিয়ে দিলে আপনি মৌলবাদী , ব্যাকডেটেড হয়ে যাবেন।



আরেক দল বলছে, পাঁচ বছরের বাচ্চারাও তো রেপ হয়…



সেই ব্যাপারে এবার একটু বলি ,



Corruption কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় আইন বিভাগে as far as i know



1. Need based corruption বা অভাবের তাড়নায় দূর্নীতি আর 2. Greed based corruption বা স্বভাবের তাড়নায় দূর্নীতি



একটা অভাবী কিন্তু honest মানুষের সামনে আপনি অনেক টাকা রাখলে সেও চুরি করতে পারে। কিন্তু যার স্বভাবই চুরি করা সে অভাব না থাকলেও চুরি করবে



রেপের ব্যাপারটাও এমন, যার স্বভাব খারাপ, সে পাঁচ বছরের বালিকা থেকে সত্তর বছরের বুড়িকেও রেপ করবে। এটাও খুবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা



কিন্তু আমরা greed based rape থেকে বাঁচতে যদি নাও পারি, at least need based rape থেকে তো বাঁচার ট্রাই করবো ?





note: ধর্ষনকারীদের বিপক্ষে কোন যুক্তি দেখালাম না। কারন তাদের ব্যাপারে যুক্তির কোন দরকার নেই। ফাঁসির দরকার ডাইরেক্ট…



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যারা কাপড় ধইরা টানাটানি করসে..তারা কাপড়ের শালীনতার মাত্রা দেইখা করে নাই...তারা মাইয়া দেইখাই টানসে...দয়া কইরা ফুটেজ গুলা ভালা কইরা দেইখা পোস্ট দেন

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

মদন কািন্তর্ বলেছেন: আমার কাছে ফুটেজ নাই। আপনার কাছে থাকলে লিংক দিয়েন। আর আমি তো বললামই , সবক্ষেত্রে আটকানো যাবে কিনা জানি না, তবে অন্ততপক্ষে সাধারন টিজ আর ধর্ষন কমানো যাবে। অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলে…

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

মদন কািন্তর্ বলেছেন: আর আমার মতে সবাই যদি এটা বজায় রাখতো আর বাংলাদেশেও মধ্যপ্রাচ্যের মত ধর্ষনের আইন রাখা হতো, তাহলে আর কোনদিনও হত না। অথচ আমরা আইন চেঞ্জ আর পর্দার কথা না বলে বাকি সব কথাই বলছি…

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.