![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী দেখে হয়তো সব প্রগতিশীল মানুষই আতকে উঠেছেন। তারা অবধারিত ভাবেই একটি তালেবান রাষ্ট্রের ছবি দেখতে পেয়েছেন। এই ১৩ দফা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একটি তালেবান স্টাইলের রাষ্ট হবে অথবা ইরান স্টাইলের।
এখন রাষ্ট্রের যে অবস্থা তা ইরানের শাহ আমলের শেষ দিকের অবস্থার মতো। শাহ পহলবী ভাবতেও পারেননি তাকে মতা হারাতে হবে। তিনি ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলেন, মার্কিন-ইউরোপ তার প।ে কিন্তু তাকে মতা হারাতে হল এবং এক বছরের মধ্যে মরেও গেলেন।
দেশে আমরাই দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে দরিদ্র মানুষদের ঠেলে দিয়েছি মাদ্রাসা শিার দিকে। রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। আজ তারা শক্তিশালী হয়েছে। তাদের অবহেলা করা হচ্ছে বটে, তবে তারা যে শক্তি প্রদর্শন করেছে তাতে তাদের পে রাষ্ট্রমতা দখল করা অসম্ভব নয়। বিশ ল লোক ঢাকায় ৩দিন অবস্থান নিলেই বহু নেতাই বিমানে আমেরিকা/কানাডায় চলে যাবেন। ডা. ইমরানরাও ঢাকা ছেড়ে আরামে থাকবেন। সমস্যায় পড়বো আমরা, যারা দেশ ছেড়ে যাবো না। এদেশে সবচেয়ে তিগ্রস্থ হবে প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিকগণ। এখনই শুনি বহুনেতা কানাডা/আমেরিকায় ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
এদেশের বেশিরভাগ মানুষই তালেবান রাষ্ট্র চায় না। তারা বাংলাদেশকে আফগান বা ইরান হতে দিতে চায় না। কিন্তু যে শক্তি প্রদর্শিত হতে দেখলাম তাতে আতঙ্কিত হওয়ার বহু কারন রয়েছে। আমরা শাহবাগে তিন/চার শত লোক সমাবেশ করে। প্রথমআলো যতই লেখুক ল ল সেটা মানুষ বিশ্বাস করে না। মতি ভাইতো সময় মতো হাওয়া ভবনে গিয়ে গা বাঁচাতে পারেন। আবার ইসলামী ফাউন্ডেশনে গিয়ে হুজুরদের পায়ে হাত রাখতে পারেন। তার চরিত্র এরকমই। কিন্তু তিনি যে, দেশে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে দিলেন তার শেষ কোথায়? তিনিতো কয়েক ল টাকা বেতন পান। চাইলেই যেতে পারেন গাফফার চৌধুরীর মতো ইউরোপে। দেশের সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না। সবাই চায় কতটা চুষে নিতে পারে। শাহবাগে একদিন শুনলাম এক ভদ্রলোক নাসিরুদ্দিন ইউসুফকে গালি দিচ্ছেন, এই দালাল, চোর, বদমাশ. . এখানে কেন? আমি অবাক হয়েছিলাম, কেউ প্রতিবাদ করল না দেখে। হয়তো বাচ্চুদের অনেক ঘাপলা আছে। শাহরিয়ার কবিররা জানে কিভাবে সটকে পড়তো হয়। তিনি সেদিন ঠিকই সেলুনে ঢুকে মাথা বাঁচালেন।
আসুন আমরা চিৎকার করতে থাকি, পরিত্রাণের জন্য। মতায় থাকার জন্য যারা শাহবাগ সৃষ্টি করেছেন আর মতায় যাওয়ার জন্য যারা দেশকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সিপিবিকে দেখেছেন, তাদের একমাত্র দাবী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সরকারেরও মনে হয় একমাত্র দাবী। সিপিবির মানেই মনে হয়, আওয়ামীলীগের সি-টীম। শৈশব থেকেই দেখে আসলাম দালালী করতে। সিপিবির বিরুদ্ধের এই অভিযোগে ভাগ হয়ে গেল, বাসদ! ুদ্রাতিুদ্র!! যতই চিৎকার করি না কেন, আসলে আমাদের পরিত্রাণ নেই। সামনে কোন সুদিন দেখা যাচ্ছে না। একটাই ভরসা, দেশে সচেতন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তারা কি পারবে, দেশকে অপশক্তির হাত থেকে রা করতে? আমি বিশ্বাস করি, পারবে।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
আমি মনে করি বাংলাদেশে বর্তমানে যা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তা নিতান্তিই হাস্যকর। সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য দরকার মানবিক বিবেক বোধ। যাদের মধ্যে বিবেকবোধই নাই তাদের আবার ধর্ম কি??
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-১)
Click This Link
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: শিরোনামে সহমত।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
ইকবাল১৫০২ বলেছেন: সমস্যার যে কথাগুলো বলেছেন তার সাথে আশা করি সবাই একমত হবে। কিন্তু সমাধান হিসেবে যা আশাবাদ করেছেন সেট দুরাশাই রয়ে যাবে। আমরা কার নের্তৃত্বের প্রতি আস্থাশিল হবো? আমি কনফউজড।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
মুজিব রহমান বলেছেন: এখন পৃথিবীতে একক নেতৃত্ব বড় বিষয় নয়, সামগ্রিক নেতৃত্বেই দেশ আগায়। আমাদের সামগ্রিক নেতৃত্বেই দেশ আগাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১
রওনক বলেছেন: বাংলাদেশ আফগান ইরান হবে না
ঠিক কথা, কারন বাঙ্গালীদের বুকে আফগানদের মত সাহস নাই, আর বাঙ্গালীদের যে স্বভাব তাতে তাদের ইরান এর মত উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাও নাই।