নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই গল্পটি এবং প্রথম আলোর বাঁচার পথ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

আমরা প্রতিক্রিয়াশীল ও মৌলবাদী বলতে ইসলামী বিধিবিধান তীব্রভাবে পালনকারীকেই বুঝি। হাসনাত আব্দুল হাই এর একটি গল্প সেই ধারণাকেই পাল্টে দিল। নাস্তিক ও প্রগতিশীলরাও যে মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল হতে পারে তা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেল। এতে যে কাজটি হয়েছে তা হল- গল্পটি প্রকৃতপে যারা পড়তো তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি মানুষ পড়েছে। পড়ার জন্য এখনও হন্যে হয়ে খুঁজছে আরো অনেক মানুষ। পড়ে মুগ্ধ হলাম, গল্প এবং গল্পের চমৎকার গাঁথুনি দেখে। যারা এটিকে শাহবাগের আলোচিত একটি মেয়ের গল্প বলে ভেবে নিয়ে চিল্লাচিল্লি, ধমকাধামকী, হুমকী ইত্যাদি দিচ্ছেন এটা তাদের বোধের সমস্যা। এখানে শাহবাগকে মিলানো যায়। শাহবাগ নামটি এসেছে পহেলা বৈশাখের উৎসবের কারণে। যদি শাহবাগকে না মিলাই তাতেও অসুবিধা নেই। গল্পটি পড়ে কিছু উগ্রপন্থী মানুষ যে প্রতিক্রিয়া দেখালেন তা হতাশাজনক। তারা হাসনাত আব্দুল হাইকে গালাগালি করলেন। ভুলে গেলেন, তিনি নভেরা, সুলতানের মতো কালজয়ী উপন্যাস লিখেছেন। জাফর ইকবালের তরল অপন্যাসগুলো গুলিয়ে কি একটি নভেরার সমান হবে? জাফর ইকবাল তো নিজেকে দেশের শ্রেষ্ঠ লেখক মনে করেন। অন্যরা বাংলা একাডেমির পুরষ্কার পেতে পারেন না। সব পুরষ্কার জাফর ইকবালের মতো অর্থহীন লেখককে দিয়ে আসতে হবে! আনিসুল হক আর জাফর ইকবালরা যে দেশের প্রধান লেখক হন, সে দেশের সাহিত্য বলতে কিছু থাকে না। এদেশে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, শামসুর রাহমানরা জন্মেছিলেন। তারাও এসব শুনে লজ্জা পাবেন। আমরা মুক্ত চিন্তা এবং অধিকারের কথা বলবো শুধু নিজেদের প্রয়োজনে।



কি আছে এই গল্পে? এতো দিনে অনেকেই জেনেছেন, পাবনা থেকে ঢাকা আসা এক ছাত্রীর বিপদগ্রস্থ হওয়ার কাহিনী। এধরণের কাহিনী আমি নিজেও অনেক জানি। আজ খুশি কবির চেল্লালেন। তার এনজিওতে কতগুলো সুন্দরী মেয়ের জীবনের সাথে গল্পের সীমার জীবন মিলে সে তথ্য তিনি জানেন। কারণ তিনি সুন্দরী নারীদের পুরুষদের সঙ্গী করে দেন ফাণ্ডের জন্য। আমি নিজেও ইউএসএইডের ফাণ্ডের তদারকী করতে গিয়ে টের পেয়েছি। এনজিওগুলো টাকা আত্মস্মাৎ করে বসে থাকে। মনিটরিং করতে গেলেই ধরিয়ে দেয় সুন্দরী কন্যাদের। হাসনাত আব্দুল হাই যে ঘটনা তুলে ধরেছেন, এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েরা এই ধরণের সমস্যায় অহরহ পরে। আজ যারা চিল্লাচ্ছেন তারাও অনেকে এই ধরণের ঘটনা ঘটান। অনেকের চরিত্রই খুলে ঝুলে যাবে। সিনেমা নাটক করতে গিয়ে কতজন মেয়ে যৌনহয়রানীর শিকার হন তা যারা জানেন তারা বলতে পারবেন। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা চূড়ান্ত রকমের দুর্বৃত্ত। তাদের লালসার শিকার হন তাদের নারী কর্মীরা। আপনারা সদ্য প্রয়াত একজন বড় নেতার দ্বিতীয় বিয়ে করার কাহিনী জানেন। তিনি কিভাবে কর্মীর সুন্দরী বউকে ভাগিয়ে নিলেন। কিভাবে কর্মীকে পাগল বানিয়ে দিলেন।



মূল গল্পটি- পাবনা থেকে ফুসলিয়ে এক নেতা ঢাকায় নিয়ে আসেন এক ছাত্রীকে। এই ছাত্রীটিকে দিয়ে পার্টির কাজ করানো হয় আবার ভোগও করা হয়। নারী নেত্রীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে পারতেন। শতকরা কতটি নারী শেষ পর্যন্ত সিনিয়র নেতাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। সুন্দরী না হলে কতটি নারী শেষ পর্যন্ত প্রতারিত হয়। ইডেন কলেজের নেত্রীদের নিয়ে এই সরকারের শুরুতে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছিল। সেটাতো এই গল্পই। আমরাতো যারা ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করলাম তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলাম না। ভয় পেলাম আর কি। এতে সুবিধা বঞ্চিত হতে পারে। পেয়েছি রাজনীতির সাতেপাঁচে না থাকা একজন পোড়খাওয়া লেখককে তিনি এই ধরণের একটি ঘটনা ফাঁস করেছেন মাত্র। যারা মুক্তচিন্তার দাবিদার তারা হামলে পড়লেন। বেচারাকে দিয়ে মা চাওয়ালো। এখন আরো মা চেতে হবে। সে আট কোটি নারীর পা ধরে মা চাইতে থাকবে আর আমাদের নেতারা নারী কর্মীদের ভোগ করতে থাকবে। মতিউর রহমান এর আগে যে সামান্য বিড়াল কার্টূন ছেপে ইসলামী ফাউন্ডেশনে গিয়ে মা চেয়ে এসেছেন আজ তার জন্যও ধীক্কার দিচ্ছেন প্রগতিশীলগণ! প্রগতিশীলদের চিনে রাখুন। মতি মিয়া নিজেও প্রগতিশীল। আর তখন সব প্রগতিশীলরা কার্টুনের পে ছিল। ভয়ে বেশিরভাগ ছিল চুপচাপ। আজ ভয় পাওয়ার কারণ নেই বলে প্রগতিশীলরা গলাবাজি করছে। এদের চিনি হারে হারে। একটি গালি দিতে ইচ্ছে করছে। দিলাম না। মতি মিয়া এর আগে হাওয়া ভবনেও গিয়েছেন। এ খবর এই প্রগতিশীলরা জানে না। জানলে আজ আরো ফালাতো। মতি মিয়ার অনেক সমস্যা। তিনি একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন। দুই নেত্রীকে মাইনাচ করার বিষয়টা তার একটি অপরাধ। এই রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় দুই নেত্রীর অনেক ত্যাগ এবং ভূমিকা রয়েছে। সা¤প্রতিক যারা রাজনৈতিক হয়রানীর মুখে পড়ছেন মতি মিয়া তাদের পে কিছু লিখেন না। পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হলেন তাদের জন্য লিখেন না। তিনি শাহবাগের আন্দোলনের উগ্রপরে লোক। তিনি প্রকৃতপে ইসলাম বিদ্বেষী। আজ ইসলাম বিদ্বেষীরা দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়েছে। এর একটি কারণ আমি জানি। সমকাল পত্রিকা থেকে শাহবাগে প্রতিদিন ৫শ প্যাকেট খাবার যায় কিন্তু প্রথম আলো থেকে যায় না। তাহলে কিভাবে শুধু পত্রিকার পাতায় লিখে শাহবাগের জাগ্রত তরুণদের মন রা করবে? আগে ট্যাকা আর খাওন পাঠান দেখবেন হেরা এইসব ভুইল্যা আপনার লগেই আছে। গল্পটি একটি উছিলা মাত্র।

অবশেষে একটি চমৎকার ও অসাধারণ গল্প লেখার জন্য হাসনাত আব্দুল হাইকে ধন্যবাদ জানাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

প্রকৌঃ মোঃ আতিকুর রহমান বলেছেন: "আনিসুল হক আর জাফর ইকবালরা যে দেশের প্রধান লেখক হন, সে দেশের সাহিত্য বলতে কিছু থাকে না।" একমত।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
বর্তমানের টিভি নাট্যকারগণ নাকি ইতিহাসের শেষ্ঠ। এদের অত্যাচারে মানুষ বাংলাদেশের চ্যানেল দেখা ছেড়ে দিয়েছে।
আনিসুল হক আর জাফর ইকবালরা যদি দেশের সেরা লেখক হয়ে উঠে তাহলে আবারো মানুষ বাংলাদেশের বই পড়া ছেড়ে দিবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.