![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
হেফাজতের অধিকাংশ কর্মীই কওমী মাদ্রাসার অতি দরিদ্র বর্তমান বা সাবেক ছাত্র। তারা নিদারুণ কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করে। তারা কারো ভালবাসা পায় না। জীবনের শুরু থেকে নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠে। অনাহারে অর্ধাহারে ওরা বড় হয়। সাভাবিক শিক্ষার সুযোগ তাদের জুটে না। তারা ভর্তি হতে বাধ্য হয় কওমী মাদ্রাসায়। এখানেও খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার চরম ঘাটতি থাকে। তাদের শিক্ষাও মাতৃভাষায় হয় না। তাদের জীবণের বিকাশ ঘটে না। এই মানুষদের আমরা কেবল ঘৃণা করি। তাদের জন্য না সরকার না সুশীল সমাজ কেউ কথা বলে না।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবীর প্রতি দেশের হয়তো ৯০ ভাগ মানুষ একমত হবে না। তাদের শক্তি, সামর্থ, শিক্ষা কিছুই নেই। দেশ চালানোর কোন যোগ্যতাও নেই।
বাংলাদেশের রাজনীতিবীদ আর ধনীরা গরীবদের তীব্রভাবে ঘৃণা করে। আমার এক ধনী সহপাঠী দাবী করতো গরীবরা ইচ্ছা করে গরীব থাকে। ওর বাবা একাত্তরে প্রতারণা ও রাজাকারী করে বহু টাকা কামিয়েছে মারোয়ারী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। গরীবরা ব্যাপক প্রতারণা করেই কেবল ধনী হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার সহপাঠী ঠিকই বলেছে, গরীবরা যারা প্রতারণা করতে পারে না তারা গরীবই থাকে। গার্মেন্টস ধসে যারা মরল। এটা চলতেই থাকবে। আজকে যারা কান্নার অভিনয় করছে কালকে তারা গরীবের সাথে প্রতারণায় সফল হওয়াতে মুচকী হাসবে। হেফাজতী আন্দোলনে যেসব মাদ্রাসার পোলাপান অংশ নিয়েছে তারা আরো দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। এজন্যই সুশীল সমাজ তাদের সর্বোচ্চ ঘৃণা করে। এইসব দরিদ্র পোলাপানের দায়িত্ব সরকার নেয় না। তারা খুশি হয় খেয়ে না খেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে চীর দরিদ্র থাকে। চীর দরিদ্ররা আন্দোলনও করে না। কিন্তু আপনার হুমায়ুন আজাদের গরীবের সৌন্দর্য কবিতাটা হয়তো পড়েছেন। গরীবদের সবকিছুই অসুন্দর। শুধু তারা যখন আন্দোলন করে তা সুন্দর। একাত্তরে বহু মুক্তিযোদ্ধারাই ছিল হতদরিদ্র। আজ যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তারা সবাই ধনী। বহু রিক্সা চালক, শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধ করেও সনদ পাননি গরীব বলে। আসুন আমরা অট্টহাসি দেই আরো কিছু গরীব দালান চাপায় এবং গুলিতে মরার জন্য। কিছু গরীব কমলে তো আমাদের দারিদ্রের হারও কমে।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
মুজিব রহমান বলেছেন: যুগান্তরের রিপোর্টে দেখলাম সরকার বলেছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে।
২| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
৩| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমি ভেবে অবাক হই হেফজতের 13 দফায় তাদের কল্যাণে একটি দাবী ও নেই । যেমন তাদের জীবন যাত্রার মাণউন্নয়নে একটা দাবী হতো পারতো ।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
মুজিব রহমান বলেছেন: হ্যা এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য কিছু চায় নি। তবে ১৩ দফা কোন দাবী নয়, এগুলো তারাও বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এটা শাহ উত্তর ইরানেও সম্ভব হয়নি। আমরা ইরান হতে চাই না, আফগানতো নয়ই।
৪| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
অমৃত সুধা বলেছেন: আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’
http://dhakajournal.com/?p=7187
৫| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
রবিউল ৮১ বলেছেন: যদিও আমি হেফাজতের অনেক কর্মকান্ড নিয়ে বিব্রত কিন্তু আসলে সমস্যা তো অন্য জায়গাতে।এই কথাগুলো আপনার মত করে কখনো চিন্তা করি নাই।সরকার এই দেশের গরীবদের নিয়ে কোন চিন্তা করবে না।গরিবের মা বাবা ও গরীর তারাও ত্যাদের সন্তানের দায় দায়িত নিবে না,সন্ত্রাসী হলেও তাদের বিপদ। করবেটা কি?তাই অনেকে দু বেলা খাবারের আশায় মাদ্রাসায় পড়ে।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
মুজিব রহমান বলেছেন: চমৎকার। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা পরজীবী। তারা দালালী করতে পছন্দ করে। তারা দেশের ভিতরের সমস্যার দিকে তাকাতে চায় না। সরকারও চায় না।
১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২
মুজিব রহমান বলেছেন: Thank you.
৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
মুজিব রহমান বলেছেন: দরিদ্র মানুষ অপরাধ করলে অবশ্যই সে অপরাধী। একটি গণতান্ত্রিক দেশে দাবী আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার সরবার রয়েছে। হেফাজতের সমাবেশে যে অরাজকতা হয়েছে তার কারণ উৎঘাটিত হওয়া প্রয়োজন। এতে যদি দেখা যায় তারা অপরাধী তাহলে সেই অপরাধের সাজা হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা বলেন : কেউ হতাহত হয়ণি, কোন আগ্নেয় অস্ত্র ব্যবহার হয়নি ।
Click This Link
কাউকে হতাহত না করে হেপাজতের মত একটা জংগী সংগঠনের লাখ লাখ কর্মীকে হটান নি:সন্দেহে বাংলার ইতিহাসে একটি বিরাট সাফল্য ।