নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনুস কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার মন্ত্রীর

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

ডক্টর ইউনুসকে আরেক আব্দুল রাষ্ট্রদ্রোহী বলেছেন! এই আব্দুল দেশের পাটমন্ত্রী হয়েও পাটেন উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন। তিনি তার ছোট ভাই কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলেছেন। কাদের সিদ্দিকী বাংলাদেশের রাজাকার হলে ডক্টর ইউনুসকে রাষ্ট্রদ্রোহী হতে হয়। কাদের সিদ্দিকী একাত্তরে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু সর্বোচ্চ (জীবীত মুক্তিযোদ্ধাদের) খেতাব দিয়েছেন। তাহলে একজন রাজাকারকে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের খেতার দিয়ে কি অপরাধ করেছেন?

ড. ইউনুস এর একটি জীবনী প্রকাশিত হয়েছিল ফ্রাঙ্কফুট বই মেলায়। বইটির মুখবন্ধ করেছেন প্রিন্স চার্লস। এতে আমি খুব আগ্রহ বোধ করি। বইটি পড়ে অভিভূত হই। তিনি একাত্তরের আগে আমেরিকায় অধ্যাপনা করছিলেন একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখেন। বাহাত্তরে একটি বিধ্বস্ত দেশে তিনি দামী চাকরী ফেলে চলে আসেন, দেশের টানেই। তিনি এক ধনী পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাদের তৃতল ভবন ছিল। পারিবারিক গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে করেই তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন।

একদিন তিনি খোঁজ নিয়ে জানলেন, জোবরা গ্রামের নারীরা বাঁশ-বেতের কাজ করে। মহাজনের নিকট থেকে টাকা এনে বাঁশ বেত কিনে পণ্য উৎপন্ন করে আবার তা তাদের নিয়ে আসলে সামান্য টাকা লাভ পান। ইউনুস এ নারীদের মহাজনের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেন। তিনি নিজের টাকা থেকে ৭/৮শ টাকা তাদের দেন।্আচ্চা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকি এই কাজটি করেছে। এঘটনা প্রকাশ পেলে অনেক নারী তার স্মরণাপন্ন হন। তিনি জনতা ব্যাংকে গেলেন তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে। ব্যাংক হতদরিদ্র নারীদের ঋণ দিবে না। তবে একটি প্রস্তাব দেয়, যদি ইউনুস জামিনদাতা হয় তবে এক লক্ষ টাকা ঋণ দিবে। আচ্ছা আর কেউ কি এভাবে এগিয়ে এসেছেন? আসলে মানব সেবায় বাংলাদেশে দ্বিতীয় ইউনুসের এখনো জন্ম হয়নি? তাকে অপমান করলে জাতির অপমান হয়। কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বললে, মুক্তিযুদ্ধের অসম্মান হয়। যার দায়িত্ব পাট কে উন্নত করা, সমৃদ্ধ করা সে নিজের কাজই করতে পারছে না অথচ যারা তাদের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন তাদের বিপক্ষে বলছেন। এই মন্ত্রী তাদের কর্মীদের হরতাল আহবানকারীদের খুনের আহবান জানিয়েছেন! হায় কর্মীরা কি খুন করতে শুরু করবে? মানুষ কি একজনও বাঁচবে না...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

িটউব লাইট বলেছেন: ভাই আব্দুল বইলেন না। এই নামের তাত্পর্য অনেক । বলেন আবুল :P

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: Thanks. All are Abuls.

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: দেশটির জন্ম লগ্নে যদি পাকসেনার হাতে রাজাকারের সহায়তায় বেদখল হয়ে যেত আমরা ভেবে নিতাম দেশটু আতুঁড় ঘরেই মরে গেছে, এমন মৃত্যু দুঃখ জনক হলেও কস্টের ব্যপকতা কম হয়। কিন্তু শিশুটি সব কিছু পার করে যখন যৌবনে কার ষড়যন্ত্রে মরতে বসে সেই দুঃখ সামলানোর ক্ষমতা খুব কম হয়।আজকে দেশের যৌবনে যারা দেশের বিরুদ্ধে বৈদেশিক ষড়যন্ত্র করছে তারা গোলাম আযমের চেয়ে বড় রাজাকার।

ইউনুস হলো সেই রাজাকার যার কর্মকান্ড একাত্তরের হায়নাদেরকেও হার মানায়।
আর কাদের সিদ্দিক হলো সেই মুক্তিযোদ্ধা যে রাজাকার থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট নেয়।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি সেই অন্ধ যে নীল আকাশ দেখে বলে নর্দমা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.