![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
ভাগ্যকুলের উত্তর কামারগাঁও অঞ্চলের এই কিছু দিন আগেও একচ্ছত্র গডফাদার ছিল আহাম্মদ। এখন নাকি সে মারাত্মকভাবে অসুস্থ। চলতে পারে না, বলতে পারে না। তার ওইসব কর্মকাণ্ড তার জন্য কোন সুফল বয়ে আনেনি, সুফল বয়ে আনেনি তার সন্তানদের জন্যও। তারাও অপরাধ জগতের অন্ধকার গলিতে হাঁটার চেষ্টা করেছে। শ্রীনগরে এরশাদ জামানায় গডফাদার ছিল ইউনুছ বস। তার প্রতাপে বাজার কাঁপতো। সে শ্রীনগর বাজারে ঢুকলে বা তাণ্ডব চালালে বাজারের সাটার বন্ধের শব্দ পাওয়া যেত। যাকে ইচ্ছা তাকে মারধর করা অসম্মান করা অপদস্ত করা তার স্বভাব ছিল। এরশাদ আমলেই মানুষ তার পতন দেখেছে। সে অপ্রকৃতস্ত হয়ে পড়েছিল। মলমূত্রে তার শরীর ভরে থাকতো, তার পিছে পিছে কুকুর হাটতো, গায়ে মুখ লাগাতো- তার কিছু বলার ক্ষমতা ছিল না। কামারগাঁওতে একসময় ক্ষমতা দেখিয়েছিল লুৎফর। সে-নাকি টাকার বিছানায় ঘুমাতো। তার বাড়িতে লঞ্চকে বাধ্য করতো ভিরতে। তার মৃত্যুর আগে দেখেছি নেশাগ্রস্থ হয়ে পথেঘাটে পরে থাকতে। শেষ জীবনে নেশার টাকা যোগাতে মুরগি চুরির অভিযোগও ছিল। মান্দ্রা গ্রামে প্রতাপ ছিল গাজী জুলহাসের। সে এখন অন্ধ। তাকে এলাকার গডফাদার বলা যেত না, তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল না। আমরা যুগে যুগে গডফাদারদের নির্মম পতন দেখেছি সেটা যেমন ভাগ্যকুলে, শ্রীনগরে তেমনি দেশজুড়েও। এরশাদ শিকদার ছিল, নুর হোসেন ছিল এখন এসব গডফাদারগণ শুধুই ঘৃণার পাত্র। বিশ্বজুড়ে সকল গডফাদারদের ডনদের পতন ঘটেছে, আগামীতেও ঘটবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: খুলনা অন্চলের গডফাদারদের মর্মান্তিক পরিনতি দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।