নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ুন আজাদ থেকে শাহজাহান বাচ্চু

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার কয়েকটি ঘটনা

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লেখক হুমায়ূন আজাদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে ১২ অগাস্ট তিনি মারা যান।
২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউনুসকে বিনোদপুরের কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর সেই রাতে রাজধানীর পল্লবীর বাসার কাছে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল: বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ৮৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর: সন্ধ্যায় গোপীবাগে গলা কেটে হত্যা করা হয় কথিত পীর লুৎফর রহমানসহ ছয়জনকে।
২০১৪ সালের ১ অগাস্ট: সাভারে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার আশরাফুল আলমকে।
২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট: রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় গলা কেটে হত্যা করা হয় টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকীকে।
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি: একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাপাতির কোপে মারা যান মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়। হামলায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী।
২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল: ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় নিজের বাসা থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় খুন হন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু।
২০১৫ সালের ১২ মে: সিলেটে বাসা থেকে বেরিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে একই ধরনের হামলায় খুন হন আরেক মুক্তমনা ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। তিনিও গণজাগরণ মঞ্চে যুক্ত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট: দিন-দুপুরে ঢাকার পূর্ব গোড়ানের এক বাসার পঞ্চম তলার বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয় গণজাগরণ মঞ্চের আরেক কর্মী নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে।
২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর: চট্টগ্রামে কথিত এক ফকিরের আস্তানায় ঢুকে ফকিরসহ দুইজনকে গলা কেটে হত্যা করে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর: ঢাকার কূটনৈতিক পাড়া গুলশানে চেজারে তাভেল্লা নামের এক ইতালীয় নাগরিককে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর: রংপুরের কাউনিয়ায় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি , যিনি ওই এলাকায় একটি জমি ইজারা নিয়ে ঘাসের খামার করেছিলেন।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর: ঈশ্বরদীর ব্যাপ্টিস্ট মিশনের ‘ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড’ এর ফাদার লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
একই দিন রাজধানীর বাড্ডায় নিজের বাড়ির খানকা শরিফে খুন হন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ খিজির খান।
২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর: ঢাকায় গাবতলীতে একটি তল্লশি চৌকিতে পুলিশের এক এএসআইকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর: রাজধানীর হোসাইনী দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির মধ্যে ফাটানো হয় গ্রেনেড। এতে দুজন নিহত হন, আহত হন শতাধিক।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর: ঢাকার হামলা হয় অভিজিৎ রায়ের বইয়ের দুই প্রকাশনা সংস্থার কার্যালয়ে। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ফয়সল আরেফিন দীপনকে।
২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর: সাভারের আশুলিয়ায় তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিল্প পুলিশের এক কনস্টেবলকে।
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর: রংপুর শহরে বাহাই সম্প্রদায়ের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে এক মাজারের খাদেমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
একই দিন ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশমুখে তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বপালনকালে মিলিটারি পুলিশের সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল সামিদুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা হয়।
২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর: দিনাজপুরে পিয়েরো পারোলারি নামে এক ইতালীয় পাদ্রীকে হত্যার চেষ্টা হয় গুলি করে।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর: মাগরিবের নামাজের সময় বগুড়ার শিবগঞ্জের হরিপুরে শিয়া মসজিদে ঢুকে গুলি চালানো হলে মুয়াজ্জিন নিহত হন, আহত হন আরও চারজন।
২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর: দিনাজপুরের কাহারোলে ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে এক মেলায় বোমা হামলা হয়।
২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর: বগুড়ার কাহারোলে ইসকনের এক মন্দিরে ঢুকে গুলি ও বোমা হামলা চালানো হয়। একই দিনে চুয়াডাঙ্গায় খুন হন স্থানীয় বাউল উৎসবের এক আয়োজক। পরদিন তার লাশ পাওয়া যায়।
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর: চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাঁটি ঈসা খাঁ মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী হামলা হয়। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হন, গ্রেপ্তার হন দুজন।
২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর: রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় একজন নিহত হন, আহত হন বেশ কয়েকজন।
২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল: রাতে রাজধানীর সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদকে।

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করীম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২০১৬ সালের ২০ মে: কুষ্টিয়া শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বটতৈল ইউনিয়নের শিশিরপাড়া মাঠ এলাকায় হামলার শিকার হন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক মীর সানোয়ার রহমান ও তার বন্ধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান।৫৫ বছর বয়সী সানোয়ারের বাসা কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুরে। শিশিরপাড়া মাঠ এলাকায় এক বাংলো বাড়িতে প্রতি শুক্রবার গরীব রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিতেন তিনি। সানোয়ার ও সাইফুজ্জামান সকালে মোটরসাইকেলে করে শিশিরপাড়ার ওই বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার ওপরেই আক্রান্ত হন। একটি মটরসাইকেলে করে আসা তিন হামলাকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে সানোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই, স্থানীয় সময় রাত ০৯:২০ মিনিটে, নয়জন হামলাকারী ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত হলি আর্টিজেন বেকারিতে গুলিবর্ষণ করে। হামলাকারীরা বোমা নিক্ষেপ ও কয়েক ডজন মানুষকে জিম্মি করে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলি ও বোমাবর্ষণের ফলে অন্তত চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।এই ঘটনায় মোট আটাশ জন মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে সতেরো জন বিদেশী, দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ছয় জন বন্দুকধারী। পরবর্তীতে বন্দুকধারীদের এক জনকে বন্দী করা হয় এবং ১৩ জন জিম্মিকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং যৌথবাহিনী কর্তৃক মুক্ত করা হয়।
২০১৮ সালের ১১ জুনঃ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদি গ্রামের একটি ওষুধের দোকানের সামনে চারজন অস্ত্রধারী মটর সাইকেলে করে এসে গুলি করে হত্যা করে প্রকাশক ও লেখক শাহজাহান বাচ্চুকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ গুলোতে জঙ্গী বেশি।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: শিক্ষার মান দুর্বল বলেই মানুষ অলৌকিকতায় অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখে। তাদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়া সহজ হয়।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮

জনৈক অপদার্থ বলেছেন: সবগুলো মৃত্যু থামিয়ে দেওয়া যেতো যদি কঠোরভাবে আজাদ স্যারের হত্যাকারীদের বিচার হতো।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। তখন কঠোর পদক্ষেপ নিলে দেশও এতোটা জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত হতো না। এখনো আরো কঠোর হওয়া দরকার। জঙ্গিবাদের উৎসই ধ্বংস করে দিতে হবে।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই নর পিচাশরা এখন আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: একমাত্র বাক স্বাধীনতাই উগ্রবাদীদের দমাতে পারতো। কিন্তু কিছু লিখলেই অনুভূতিতে আঘাতের কথা বলে, জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.