নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ নারী, শুভ জন্মদিন

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৫


আমাদের পুরুষরা দাসী ভোগ করবে, হোটেল গিয়ে নারী সান্নিধ্য নিবে, পতিতালয়ে গিয়ে সেক্স করবে তাতে কারো কোন আপত্তি নেই। কোন নারীর যদি প্রকাশ্যে হাঁটতে গিয়ে ওড়না খসে যায় তবেই সর্বনাশ! এমন জাতীয় চেতনার ভিত্তিমূলেই আঘাত করতে পেরেছিলেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক সবগুলো বই নিষিদ্ধ করে, নিজ জন্মভূমিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে তাকে নিষিদ্ধ নারী করে দিয়েছে আমাদের মৌলবাদী পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ। তিনি দেশে থাকলে নারী জাগরণ তরান্বিত হতো। তাঁর লেখায় উঠে আসতো নারীদের পেছনে ঠেলে দেয়ার বিষয়গুলো। তাকে দূরে রাখায় আমাদের ক্ষতি কম হয়নি।

বাঙালি নারী জাগরণের প্রাথমিক অগ্রদূত যদি বেগম রোকেয়া হন তবে আধুনিক অগ্রদূত অবশ্যই তসলিমা নাসরিন। রোকেয়া নারীদের শিক্ষার কথা বললে তসলিমা বলতেন মুক্তির কথা। মৌলবাদী মূর্খ মোল্লাদের মতো কিছু কথিত প্রগতিশীল লেখকও তসলিমাকে হনন করতে চায়, লাঞ্ছিত করতে চায়। সরাসরি না লিখলেও বুঝতে কারোই অসুবিধা হয় না, তারা কাকে বিধতে চান। আমাদের বহু পুরুষ লেখকের অনাচারের কথা জানি। শরৎবাবু পতিতাগমন করে মহৎ হয়েছেন, রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সিফিলিসে আক্রান্ত হয়ে মহৎ হয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদ কিশোরী বিয়ে করে মহৎ হয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ শিশুকন্যাদের বিয়ে দিয়ে মহৎ হয়েছেন, নজরুল নববধূকে ফেলে পালিয়ে গিয়ে মহৎ হয়েছেন। আজও প্রতারণা-বাটপারির অভিযোগ অনেক লেখকের বিরুদ্ধে রয়েছে। অথচ সৈয়দ হক সহ কয়েকজের তসলিমার সাথে যৌনতা করার খায়েসকে প্রকাশ করায় চরিত্রহীন হয়েছেন তসলিমা। একজন মেধাবী তসলিমা সহজেই সুখে সাচ্ছন্দে জীবন কাটাতে পারতেন। অর্থহীন লেখক হয়ে, ডাক্তারি করে বাহবা কুড়াতে পারতেন। সেই সুখে থাকার পথে হাঁটেননি আজন্ম সংগ্রামী তসলিমা নাসরিন। তিনিই আমাদের নারীদের সাহসী করে তুলছিলেন, স্বাধীন করে তুলছিলেন, ব্যক্তিত্ববতী করে তুলছিলেন। আজ যে নারীরা সচিব হচ্ছেন, সংগ্রাম করছেন তাঁর প্রেরণা এসেছে তসলিমার কাছ থেকেও। তিনি দেশে থাকতে পারলে নারীরা আরো গতিশীল, আরো অগ্রসর হতে পারতেন। কিছু পুরুষ তাঁকে ঘৃণার চোখে দেখবে, কিছু মানুষ আবার তাঁকে শ্রদ্ধার চোখেও দেখবে। দেশে না থাকলেও বহু নারী এবং কিছু পুরুষ তাঁকে হৃদয়ে ও চেতনায় ধারণ করে।

তিনি একজন বাংলাদেশি হিসাবে ১৯৯২ ও ২০০০ সালে দুবার আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার পেয়েছেন, ফান্স সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন, ফ্রান্সের এডিক্ট অব নান্তেস পুরস্কার পেয়েছেন, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার পেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা পেয়েছেন, নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার পেয়েছেন। গর্বে আপনার বুক ভরে উঠছে তো। কিন্তু যখনই শুনবেন এগুলো তসলিমা নাসরিন পেয়েছেন তখন যদি উল্টো আপনার ঘৃণায় ভ্রু কুঞ্চিত হয় তবে নিশ্চিত হোন, আপনিই মৌলবাদী, ধর্মান্ধ, প্রতিক্রিয়াশীল কাপুরুষ। আরো শুনুন, তসলিমা নাসরিনের জীবনভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘নির্বাসিত’ ২০১৪ সালে মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পেয়ে শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।

তসলিমা প্রথম আলোচনায় আসেন নির্বাচিত কলাম লিখে। মানুষের বিশেষ করে নারীদের নজরে আসে তাঁর কবিতা ও উপন্যাস। তাঁর ৭টি আত্মজীবনী গ্রন'ই আসলে কাঁপিয়ে দেয় পুরো বাংলাদেশ ও ভারত। মূলত আমার মেয়েবেলা, উতাল হাওয়া এবং ক নামের প্রথম তিনটি আত্মজীবনী গ্রন্থ বিপুল আলোচিত হয়। মৌলবাদীরা বিপুল সমালোচনা করে তার মুণ্ডুপাত করে। অবশ্য এ গ্রন্থগুলো প্রকাশের আগেই মৌলবাদীদের ফাঁসির দাবী ও হুমকীর মুখে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর কখনো সুইডেন, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং প্রধানত ভারতে বসবাস করে আসছেন।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর কিছুটা জুনিয়র ছিলেন আমার স্ত্রীর বড় ভাই ডাক্তার আশরাফুল আলম। তিনিও সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম তসলিমার নাম শুনি। তিনি অনুমান করেছিলেন, এই নামটি বহুকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে, বহুদিন শুনতে হবে। তসলিমা দেশের নারীদের একটি আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন। বহু নারীই প্রতিবাদ করতে শিখেছিলেন তাঁর কলাম পড়ে। নারীদের জীবনবোধ পাল্টে যাচ্ছিল। আমি বহু নারীর কাছেই শুনেছি, তাদের প্রিয় লেখক তসলিমা নাসরিন। শুধু মৌলবাদীরাই নয়, পুরুষতন্ত্রও তাঁকে দেশে থাকতে দিতে চায়নি। তবে যাই হোক তসলিমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হলেও, তিনি দেশের নারীদের মনে যে নাড়া দিয়ে গেছেন তা থেমে যাওয়ার নয়। তিনিও কালজয়ী আধুনিক নারী জাগরণের অগ্রদূতই হবেন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:



তার সাথে যা হয়েছে এটা অন্যায় । আমি তার অনেক লেখাই পড়েছি । সব গ্রহণযোগ্য না হলেও কিছু লেখা ভালো লেগেছে আর সেই অল্প কিছু লেখা সত্যি এপ্রিশিয়েট করার মতো । সমাজের অনেক নেগেটিভ দিক তুলে ধরেছিলেন যেভাবে হয়তো অনেকেই তার আগে ভাবেনি বা লেখেনি । শুভ জন্মদিন এই সাহসি মানুষটাকে । যেখানেই আছে ভালো থাকুক ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: তিনি দেশে ফিরতে না পারলে আমাদের সমাজকে সভ্য দাবি করতে পারি না। তাঁর ফেরাটা জরুরী।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪২

মুক্তা নীল বলেছেন:
তসলিমা নাসরিনকে ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজেরও পছন্দ
না কিন্তু তাই বলে নিজের দেশে তসলিমা নাসরিনকে আসতে
দেয়া হচ্ছে না এটা অন্যায় । এই দেশে তো অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত খারাপ খারাপ মানুষ আছে তারা কি সবাই দেশ ছেড়ে ক'জন অনিচ্ছায় দেশান্তর হয়েছেন? সাহসী ও প্রশংসনীয়
লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
শরৎবাবু পতিতাগমন করে মহৎ হয়েছেন, রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সিফিলিসে আক্রান্ত হয়ে মহৎ হয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদ কিশোরী বিয়ে করে মহৎ হয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ শিশুকন্যাদের বিয়ে দিয়ে মহৎ হয়েছেন, নজরুল নববধূকে ফেলে পালিয়ে গিয়ে মহৎ হয়েছেন ---ঠিক বলেছেন ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ তিনিই।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দেশ সে ছেড়েছে ঠিকই কিন্তু লিখা ছাড়েনি।তসলিমাকে দেশ ছাড়া করেছে ,অনেককে দুনিয়া ছাড়া করেছে।আজকেই একজন লিখেছে,আরো অনেক কে এমন করা দরকার ,হয় দেশ ছাড়া নয়তো দুনিয়া ছাড়া।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: মৌলবাদী-প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র মানুষদের ভুল কথার প্রতিবাদ দরকার। আমরা বিজ্ঞানের কথা বলতে পারিনি। তসলিমার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বই-ই নিষিদ্ধ করা।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে যতটা হৈ চৈ হয়েছে তার সাহিত্যমান ততটা উচ্চমানের নয় বলে আমার ধারনা।

কট্টর মৌলবাদীরা হম্বিতম্বি না করলে তসলিমা নাসরিন এতটা পরিচিতি আর এত এত পুরস্কার পেতেন কিনা সন্দেহ আছে!

শুধু বাংলাদেশী মৌলবাদী ও কিছু সাহিত্যিক নয় ভারতীয় বহু সাহিত্যিকও তার নিন্দা করতে ছাড়েননি-সেগুলোও বলুন?
শুধু প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেতো হবে না
তবুও তার বিরুদ্ধে যত সব কন্সপেরেসি হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: আলোচনা হচ্ছে তিনি নারী জাগরণে কতোটা ভূমিকা রাখছিলেন তা নিয়ে। তার লেখা নারীদের কতোটা উজ্জীবিত করেছিল তা নিয়ে। তাঁর উপন্যাস অতোটা মানের নয়, কবিতাও নয় কিন্তু তাঁর সমাজ পরিবর্তনের দর্শনটা গুরুত্বপূর্ণ। তার এ নিয়ে লেখা প্রবন্ধগুলোও গুরুত্বপূর্ণ যা নারীদের নিজেকে বুঝতে সহায়তা করেছে- সেটার কথাই বলতে চাই।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১৯

আল ইফরান বলেছেন: ওনার লেখা পড়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে তসলিমা নাসরিনকে খুব উঁচুদরের লেখক বলে মনে হয় নাই, বেগম রোকেয়ার সাথে তুলনা অনেক পরের বিষয়। কিন্তু ওনাকে দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে না দেয়াটা ভয়াবহ অন্যায় যা যুগের অধিক ধরে রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটে আসছে। আমার সাথে ওনার মতের অমিল হতেই পারে, তাই বলে তাকে জন্মভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে?

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!

আলোচনা করতে চাই তিনি নারী জাগরণে কতোটা ভূমিকা রাখছিলেন তা নিয়ে। তার লেখা নারীদের কতোটা উজ্জীবিত করেছিল তা নিয়ে। তাঁর উপন্যাস অতোটা মানের নয়, কবিতাও নয় কিন্তু তাঁর সমাজ পরিবর্তনের দর্শনটা গুরুত্বপূর্ণ। তার এ নিয়ে লেখা প্রবন্ধগুলোও গুরুত্বপূর্ণ যা নারীদের নিজেকে বুঝতে সহায়তা করেছে- সেটার কথাই বলতে চাই।আলোচনা হচ্ছে তিনি নারী জাগরণে কতোটা ভূমিকা রাখছিলেন তা নিয়ে। তার লেখা নারীদের কতোটা উজ্জীবিত করেছিল তা নিয়ে। তাঁর উপন্যাস অতোটা মানের নয়, কবিতাও নয় কিন্তু তাঁর সমাজ পরিবর্তনের দর্শনটা গুরুত্বপূর্ণ। তার এ নিয়ে লেখা প্রবন্ধগুলোও গুরুত্বপূর্ণ যা নারীদের নিজেকে বুঝতে সহায়তা করেছে- সেটার কথাই বলতে চাই।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শরৎবাবু পতিতাগমন করে মহৎ হয়েছেন, রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সিফিলিসে আক্রান্ত হয়ে মহৎ হয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদ কিশোরী বিয়ে করে মহৎ হয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ শিশুকন্যাদের বিয়ে দিয়ে মহৎ হয়েছেন, নজরুল নববধূকে ফেলে পালিয়ে গিয়ে মহৎ হয়েছেন!!!!
এই সমাজের মেরুদণ্ড না থাকলেও দন্ড আছে পরিস্কার!
শুভ জন্মদিন প্রিয় তসলিমা।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ!

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি এখনো তার ফেসবুকে লেখা পড়ি । তবে কলকাতার মানুষ বেশী পছন্দ করে মন্তব্য করে।
বিনম্র শ্রদ্ধা

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: তিনি যেহেতু কলকাতায় তাই কলকাতার মানুষ নিয়েই বেশি লিখতে পারেন। ওখানেই বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। আমরা চাই তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসুন এবং বাংলাদেশকে নিয়ে লিখুন। রাষ্ট্র সেই সুযোগ করে দিক। এদেশতো তারও।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাহ চমৎকার !! খেলা শুরু হয়ে গেছে
নিষিদ্ধার পক্ষেও জনতা দলবদ্ধ হচ্ছে।
বর্তমানে আলোচনায় আসার সবচেয়ে
বড় মাধ্যম ধর্মের বিরোধীতা করে কিছু
লেখা প্রকাশ করা। সালমান রুশদী আলোচনায়
এসেছেন কোরআনের বিরুদ্ধাচারণ করে। তসলীমা
বিদেশে আপ্রায়িত হচ্ছে ইসলামের নীয়ম নীতির
বিরুদ্বাচারন করে। কিছু নারী লোভী মানুষ তার পক্ষ
নিবে কারণ তাতে তাদের কামনা বাসনা চারিতার্থ করার
দ্বার উন্মোচিত হবে। তসলিমা যদি পুরুষের মতো খালি গায়ে
থাকে তাহলে তাদের দুনয়ন স্বার্থক করতে পারে। চটি লিখে এক
শ্রেণির পাঠককে কামনা লালশায় উদ্বেলিত করতে পারলেও সবাইযে
সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবে তা ভা্বা মুর্খতা। আপনি জরিপ করে
দেখতে পারেন এমন কোন শিক্ষিত বা মূর্খ নারী কেউ আছেন কিনা যারা
তসলিমাকে সমর্থন করে উন্মুক্ত বক্ষে হাটবে কিনা !! মৌলবাদ আর শিষ্টাচার
ভিন্ন জিনিস । আমি ভদ্রতা, শালীনতার পক্ষে গেলেই মৌলবাদ আখ্যা দিয়ে
নিজের উদ্দ্যেশা হাসিল করার মানসিকতা নিন্দনীয়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: সালমান রুশদী আলোচনায় এসেছেন গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস দ্য মিডনাইট চিলড্রেন লিখে। িএরপরে যখন স্যাটানিক ভার্সেস লিখেন তখনই তার মুন্ডুর মূল্য ধার্য করে ইরান। মৌলবাদী মূর্খরা আন্দোলন করে।
তসলিমা জনপ্রিয় হয়েছেন কলাম লিখে। তার নির্বাচিত কলাম লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হুকুম এবং দাবী একটাই তসলিমা নাসরিনকে তার ইচ্ছা মতো দেশে আসা যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৭

মুজিব রহমান বলেছেন: এটাই হওয়া যৌক্তিক। তিনি এদেশের নাগরিক জন্মসূত্রে। তাঁর অধিকার রয়েছে এদেশে বাস করার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.