নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমের আরোগ্য কামনা করছি

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭


বিভিন্ন কারণেই রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম একজন প্রিয় মানুষ। প্রখর মেধাবী এই মানুষটির দুটি দিক আমাকে আকৃষ্ট করে-
১। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করতে সক্ষম হওয়া
২। সাদাসিধে জীবন যাপন করা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সহজ ছিল না। তারা সকলেই ছিলেন বিস্তর প্রভাবশালী মানুষ। অনেকের ভোট্ ব্যাংকও ছিল। কয়েকজন ছিলেন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার নিকতাত্মীয়। এই খুনিদের বিচার করতে গেলে রাষ্ট্রে অরাজকতা সৃষ্টির ধোয়াও তুলেছিলেন কেউ কেউ। তারা ছড়াচ্ছিলেন এতে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। আমরা তাদের ছাড় দেয়ার প্রবণতাও দেখছিলাম। গণজাগরণ মঞ্চ এসব ভীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এটর্নী জেনারেলও কখনো হাল ছাড়েননি। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও হাল শক্ত করেই ধরে রাখেন। তার মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য অনবরত হুমকি দেয়া হয়েছে। তাঁর পুত্র ও কন্যার উপরও নাশকতামূলক দুটি ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। তাঁর গাড়িতে হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি পারতপক্ষে তাঁর গাড়িতে পরিবারের লোকজনকে উঠাতেন না। মরতে হলে একাই মরবেন। তিনি ন্যায়ের লড়াইতে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত সংশপ্তক!

আমাদের অনেকগুলো ছোট-বড় অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হয়ে এসেছিলেন। তাঁর স্ত্রী বিনতা মাহবুবও একটি বৈশাখী উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন। তিনি অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি। ওই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে তার পল্টন অফিসে অনেকগুলো সভা করেছি।তিনি মৃদুভাষী, স্মীত হাস্যে দেখাতেন মেধার স্ফূরণ।সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাড়িতে ফেরার সময় সাথে করে নিয়ে যেতেন অনেকগুলো ফাইল রাতে দেখার জন্য। হাঁটতে হাঁটতে, লবিতে দাঁড়িয়েও মামলার কথা শুনে যথাযথ দিক নির্দেশনা দিতেন। তাঁর অফিসের লোকেদের কাছে তাঁর বিস্ময়কর মেধা ও প্রজ্ঞার কথা শুনেছি। এটর্নী জেনারেল অফিসকে অনেক শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।

এটর্নী জেনারেল হিসেবে তিনি সফল ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি বিরতিহীনভাবে দায়িত্ব পালন করে থেকেছেন অবিতর্কিভাবে। দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন সবসময়। হঠাৎ করেই যখন শুনলাম মানুষটি করোনাসংক্রমিত হয়েছেন তখনই আতঙ্কবোধ করেছি তাঁর ৭১ বছর বয়সের কথা ভেবে। তিন/চারদিন আগে জানলাম তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন। গতপরশু রাতে জানলাম অবস্থা সংকটাপন্নের কথা। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও কয়েকটি পত্রিকা আরো আগেই দাবী করেছিল তিনি আইসিইউতে। শুনেছিলাম- তা সত্য নয়। তাঁর ফুসফুস কাজ করছে না শুনে বিচলিত বোধ করছি। এমন একজন দক্ষ মানুষকে রাষ্ট্রের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাঁকে কোন ভাবেই হারাতে চাই না। আশা করছি তিনি শিঘ্রই আরোগ্য লাভ করবেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমের আরোগ্য কামনা করছি

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমাদের চাওয়া পূর্ণ হোক।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এক জন দক্ষ আইনজীবী। কখনো উনি উত্তেজিত হন না।
উনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার কামনা পূর্ণ হোক।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার চাওয়া যেন পূরণ হয়।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

রাশিয়া বলেছেন: যুদ্ধপরাধী বা বঙ্গবন্ধু খুনীদের বিচার করা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল - এটা আমার মনে হয়না। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কোন শক্ত ভিত্তিই ছিলনা, যারা এই বিচার কাজে ন্যুনতম বাধার সৃষ্টি করতে পারে। ক্ষমতা পেয়ে ধরেছে আর বিচার করে ফাঁসি দিয়ে দিয়েছে - দ্যাট মাচ ইজি।

যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশে মশকরা ছাড়া আর কিছু হয়নি। প্রবল পরাক্রমশালী আওয়ামী লীগ, যারা কিনা আবার বিশ্ব রাজনীতিতে পরাক্রমশালী ভারত ও রাশিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট, তাদের প্রতিপক্ষ এক দূর্বল দল জামায়াত, যারা কখনও কোন নির্বাচনে ৫% এর বেশি ভোট পায়নি - মিডিয়ার মুহুর্মুহু আক্রমনে দূর্বল হয়ে পড়া এক দল। এত দূর্বল প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়েও আওয়ামী লীগ তাদের দমনে এতটুকুও ছাড় দেয়নি। পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সশস্ত্র ক্যাডার সব একযোগে নেমে যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে জনগণেরও কাঠগড়ায় দাঁড়ানো এই দলকে একদম শেষ করে দিয়েছে বলা চলে। নির্বাচনে জিতে এসে জামায়াতকে সীমাহীন কঠোরতায় দমন করেছে, যা দেখে ভয়ে তাদের শক্তিশালী সহযোগী বিএনপিও বেড়ালের মত মিউয়ে গেছে। ফলাফলঃ ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে বিনা বাধায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আরোহন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: সাকা, নিযামী, মীর কাশেম, সাইদীসহ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীরা ব্যক্তিগতভাবেও প্রভাবশালী। সাকা, সাইদী, নিযামী বহুবার এমপি/মন্ত্রী হয়েছেন। স্থানীয়ভাবেও তারা জনপ্রিয়। সাকা আবার সালমান এফ রহমানের কাজিন। সাকার প্ররিবারও খুবই প্রভাবশালী। আন্তর্জাতিক চাপও ছিল। কিছুটা বলেছি আগেই। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিকি বিচার করার কথাও আমরা শুনেছিলাম। এ বিচার করাটা অবশ্যই কঠিন ছিল। আর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ছিল সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত। এটা অপেক্ষাকৃত কম জটিল ছিল।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: কারো মৃত্যু কামনা করা উচিত নয়।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

মোঃমোজাম হক বলেছেন: খালেদা জিয়ার ঠুনকো মামলাগুলি সে যেভাবে নিয়েছিল তা ছিল দৃস্টি কটুও।
এখন হাজার কোটি টাকার মামলাতেও তার টিকিটা মেলেনা।
তাকে সেই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হবে, যেইদিন এই সরকার আর থাকবেনা।
তখন তার কাজের মূল্যায়ন করা হবে।এখনতো সকলের চোখ মুখ বাধা। আপনাদের মুখই শুধু খোলা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: বিষয়টা সম্পূর্ণই রাজনৈতিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.