নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওই ব্যাটা হরমোনই দায়ী!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪


পুরুষের সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য দায়ী। পুরুষের শুক্রাশয়ে এটি উৎপন্ন হয়। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে উচ্চমাত্রায় এই হরমোনের উপস্থিতি ব্যক্তিকে বেশি অনৈতিক করে তোলে। শরীরে এই হরমোনের উচ্চ মাত্রার সঙ্গে অসামাজিক আচরণ ও আত্মকেন্দ্রীক মনভাবের যোগসূত্র রয়েছে। একটা বয়স অতিক্রম করলে হরমোনের কারণেই স্বাভাবিকভাবেই যৌন তড়না তৈরি হয়। যে সকল পুরুষরা দীর্ঘদিন নারী সংগ থেকে দূরে থাকে তাদের মধ্যে যৌন তাড়না অস্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। তৈরি হয় অনৈতিক কাজ করার চাপ। হিতাহিত জ্ঞান অনেকাংশেই লোপ পাইয়ে দেয় এই হরমোন। পরিণতি কি দেখি?

রাজশাহীর ওই ফাদারের মধ্যেও তৈরি হতো হরমোন। নারী সান্নিধ্য বঞ্চিত মাদ্রাসার শিক্ষক বা মন্দিরের পুরোহিতদের মধ্যেও তৈরি হয় হরমোন। সেই তাড়না তাদের বিপথগামী করে ফেলে। অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করে। কোন পূর্ণবয়ষ্ক নারীর প্রতি হাত বাড়ানো সহজ হয় না। তাকে ভয় দেখানো যায় না, উল্টো চড় থাপ্পর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফাঁস করে দিতে পারে। কিন্তু শিশুদের অনেকভাবেই বিভ্রান্ত করা যায়। ভয় দেখানো যায়- গজবের, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের, ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করিয়ে নিতে পারলে তারও দোহাই দেয়া যায়, প্রকাশ করলে মেরে ফেলার ভয়ও দেখানো যায়। কিন্তু শিশুটি একসময় অসুস্থ হয়ে পড়ে বা গর্ভবতী হয়ে যায়। হরমোনের তাড়না ধর্ষককে ভবিষ্যৎ দেখতে দেয় না। আমাকে একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বলেছিল- তার ওখানে সকলেই অপকর্মে লিপ্ত। কিছু বললেই খালি বলে, ‘গোপন করেন, গোপন করেন; পরকালে আপনার দোষ আল্লাহ গোপন করবেন’। ওনি কারণ খুঁজে পান না! কেন ওনারা শিশুদের বলাৎকার করেন? শিশু-অনাথ পেলেই কেন ধর্ষণ করতে উতলা হয়ে পড়েন। আমরা যারা বিজ্ঞানমনস্ক তারাতো জানি- এগুলো শয়তানের কাজ নয়, ওই ব্যাটা হরমোনই দায়ী।

যৌন জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের উপস্থিতি। আমাদের অনুভূতির ওপরেও অনেকটা প্রভাব ফেলে এই হরমোন। সুস্থ, স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এর ফলে বাড়ে আয়ু। আমার বেশ কয়েকজন ফেসবুক বন্ধুই সোভিয়েত ইউনিয়নে অধ্যয়ন করেছেন। তারা অভিজ্ঞতার কথা লিখেন। জানতে পারি ওখানে হোস্টেলে ছেলে মেয়েরা একসাথেই থাকে। পছন্দের জুটিরা থাকে এক কক্ষেই। হরমোন যে চাহিদা তৈরি করে তারা নারী-পুরুষ দুজনই তা মিটিয়ে নেন। ফলে হরমোন তাদের অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করতে পারে না। ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বহু উন্নত দেশেই এমনটা দেখা যায়। পুরাতন ঢাকায় এক কাজী সাহেবের কথা শুনলাম। তার বক্তব্য হল, ‘সামাজিক বিয়েতে আর কত আয় হয়? তা দিয়ে কি আর চলে? আমাদের মূল আয় হল- ওই ঘুড়ে বেড়ানো জুটিরা। তারা তাড়নায় বাধ্য হয়েই আসে বিয়ে করতে। সেই বিয়েতে ফিও বেশি আবার কিছুদিন পরেই তারা বুঝতে পারে ভুল বাছাই হয়েছে। আবারো আসে ডিভোর্স করতে।’ মস্কোতে সে ঝামেলা নাই। আজ যখন পটলো না, নিশ্চিত হওয়া গেল সুখের হবে না এক সাথে থাকা; আলাদা হয়ে যাও! আবার বেছে নাও জীবনের নতুন সঙ্গী।

আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য যদি বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেই তাহলেই সমাধান হবে সঠিক। নতুবা যার দোহাই-ই দেন না কেন, যত নিন্দাই করেন না কেন শিশু বলাৎকার/ধর্ষণ বন্ধ করতে পারবেন না।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হরমোন দায়ী হলেও এর নানান উপায় আছে।
বাংলাদেশে এখনো প্রচুর পরিমাণে পতিতালয় রয়েছে।
সেখানে গিয়ে নরপশুরা হাল্কা হয়ে এলেই পারে।
ধর্ষণ কেন করতে যাবে।
আসল কথা ওরা অমানুষ।
ওরা অধম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: পতিতা গমনও করতে পারে। তবে স্ত্রীকে কাছে নিয়েই বসবাস করলে এই তাড়না থেকে মুক্তি পাবে।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কথা ঠিক।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কিছু আছে পেশাদার ধর্ষক।
ক্ষমতার ব্যবহার করে ধর্ষণ করে।
রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলে ক্ষমতা দেখাতে হয়।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: যত রকমই থাকুক ওই হরমোন তাড়না না দিলেতো আর ধর্ষণ করতে পারবে না। বাস্তবিক এ বিষয়টি মাথায় রেখেই রাষ্ট্রের পরিকল্পনা করতে হবে যাবে কোন শিশু ধর্ষণ/বলাৎকারের শিকার না হয়।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: না হরমন দায়ী না। নোংরা মানসিকতাই দায়ী।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৩

মুজিব রহমান বলেছেন: উন্নত মানসিকতা তাকে বিরত রাখতে সহায়তা করবে কিন্তু তাড়নাটা তৈরি করে হরমোনই।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নত যেসব দেশে যৌন স্বাধীনতা বেশী আছে সেখানেও ধর্ষণ ( শিশু সহ) বেশী কেন?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: উন্নত দেশে ধর্ষণ বেশি নয়। স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলে ধর্ষণ অনেক কম। যুক্তরাষ্ট্রে যৌনহয়রাণীর তথ্য বেশি। বাস্তবিক বাংলাদেশে ৮০ ভাগ যৌন হয়রাণীর তথ্যই প্রকাশিত হয় না। পরিবারগুলো এবং মেয়েরা তা গোপন করে। বলাৎকারের তথ্য কটা প্রকাশিত হয় অথচ এর মাত্রা ব্যাপক। আমেরিকায় সবগুলো তথ্যই প্রকাশিত হয়। ফলে পার্থক্যটা ডাটায় সীমাবদ্ধ।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৮

ইফতি সৌরভ বলেছেন: হরমোন দায়ী না, নোংরা মানসিকতা এবং সুশাসনসহ সামাজিক অবক্ষয় দায়ী। আইন শক্ত করেন উত্তর কোরিয়ার মতো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন - দেখবেন, হরমোন কিলবিল করবে কিন্তু ধর্ষণ বা বলৎকারের চিন্তা আসলেও সাহস আর হবে না। জেল-জরিমানায় কিছু হবে না। এসিড সন্ত্রাসও ইদানীং দেখা যাচ্ছে!

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সুশিক্ষা মানুষকে অপরাধ করা থেকে বিরত রাখে অবশ্যই। যৌন তাড়না সবার মধ্যেই হবে। মাদ্রাসাগুলোর সমস্যা কি? কেন সেখানে সমকামীতার এতো অভিযোগ? এটাতো ধর্মেও নিষিদ্ধ?
আইনের প্রয়োগ দেখলে সাহস কমে যাবে কিন্তু যখনই দেখবে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ওরা আইনের তোয়াক্কা করবে না। বাস্তবিক তাড়না চাড়া দিলে অনেকেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। ঢাবির ছাত্রীর ধর্ষক আইনকে তোয়াক্কা করেনি কেন?

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্ষমতাবান বেশিরভাগ মানুষই ধর্ষক।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: ক্ষমতাবানদেরও ধর্ষণ করতে হয় না। তাদের যৌন চাহিদা মেটানোর বহু পথ থেকে যায়। তবুও মাঝেমধ্যে করে ফেলে।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হরমোন দায়ী, যৌন তাড়না এসব কি বলছেন?
মাথায় মাল উঠে গেলে ধর্ষণ নইলে পতিতালয় গমন কেন করতে হবে?

বাসায় ফ্রিজের পানি নেই? ফ্রিজের পানি ঢালতে থাকুন ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ...
এর পরেও রাস্তাধাটে লিভিংটুগেদার ধর্ষণ বা বলৎকার বা পতিতালয় খোজা চিন্তা আসলে তাদের জন্য আছে 'লাল ঘর'

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
এতোকিছুর চেয়ে মাস্টারবেড উত্তম।
মানুষকে বুঝতে হবে যৌন চাহিদা প্রাকৃতিক। এজন্য পার্টনার/স্ত্রী/স্বামী দরকার। এসব বিষয়ে উদারতা দরকার।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যারা ধর্ষণ করে এদের পরিবার কেন ত্যাজ্য করে না

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: হরমোন ধর্ষকের পিতারও নিস্মরণ হতো। হয়তো সেও এমনটা করে থাকবে। সুশিক্ষিত/সচেতনরা বিষয়টি দমিয়ে রাখতে পারে কিন্তু কিছু মানুষ বাজে পথই বেছে নেয়। সমাজে যৌনতার বিষয়ে উদারতা দরকার।

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বের মধ্যে সুইডেনে ধর্ষণের হার অনেক বেশী। পরিসংখ্যান তাই বলে। প্রতি লাখে ধর্ষণের হার নীচে দিলাম ২০১০ সালের;

দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ জন
সুইডেন ৬৪ জন
অস্ট্রেলিয়া ২৯ জন
যুক্তরাষ্ট্র ২৮ জন
বেলজিয়াম ২৮ জন
নিউজিল্যান্ড ২৬ জন
ইসরাইল ১৮ জন
যুক্তরাজ্য ১৭ জন
ফ্রান্স ১৬ জন
ফিনল্যান্ড ১৫ জন
আয়ারল্যান্ড ১১ জন
অস্ট্রিয়া ১১ জন
জার্মানি ১০ জন
হল্যান্ড ১০ জন
সুইজারল্যান্ড ৮ জন
বাংলাদেশ ৮ জন ( ২০০৬ এর তথ্য )
কুয়েত ৫ জন
ইউ এ ই ২ জন (২০০৬ এর তথ্য)

আরব দেশগুলিতে ধর্ষণের হার অনেক কম। এর কারণ এরকম না যে এদের হরমোন দুর্বল। আইন শৃঙ্খলা উন্নত হওয়ার জন্য এরকম। আমাদের দেশের ধর্ষণের হার পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশী। আমার বক্তব্য হোল ধর্ষণের জন্য হরমোন কারণ না। আসল কারণ আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা। যেসব দেশে কঠোর আইন সেসব দেশে ধর্ষণ কম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: পরিসংখ্যান সব ইংগিত দেয় না।
বাংলাদেশে পরিবারের ভিতরে নারী নিপীড়ন পৃথিবীতেই সর্বোচ্চ। ধর্ষিতা, ধর্ষণ চেষ্টা বাংলাদেশে কত শতাংশ প্রকাশিত হয়? হয়তো ১%! সুইডেনে একটি মেয়েকে ঝামেলায় ফেলে পার পাওয়া যায় না।
আপনার বক্তব্যে স্ববিরোধীতা দেখুন-
সুইডেনের আইন শৃঙ্খলা খুবই ভাল অথচ ধর্ষণে দ্বিতীয়! বাংলাদেশে ধর্ষণ পরিসংখ্যানে খুবই কম অথচ ন্যায় বিচার সুদূর পরাহত!

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:আরব দেশগুলিতে ধর্ষণের হার অনেক কম। এর কারণ এরকম না যে এদের হরমোন দুর্বল। আইন শৃঙ্খলা উন্নত হওয়ার জন্য এরকম।

আরব দেশে মামা চাচা নাই তাই ধর্ষনের চিন্তা মাথায় আসলেও করার আগে ১০০ বার ভাবে।

আরব দেশে ধর্ষিতারও বিচার হয় সাজা হয় এটা কি শুনেছেন সাচু? একটু কস্ট করে গুগুলে দেখুন। আরবদের বর্বর আইনে কত ধর্ষিতাকেও সাজা দিয়েছে বিবাহবহিরভুত সেক্সের জন্য।

সেই দেশে ধর্ষনের শীকার হলেও যদি হাসপাতালে যেতে না হয় তবে কেউই পুলিশের কাছে যায় না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের শত শত মেয়েকে ওরা বাপ-বেটা মিলে ধর্ষণ করে আর পরিসংখ্যান রাখে সাদা! ওদের হাতে ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, ভারতের লক্ষ লক্ষ মেয়ে ধর্ষিতা হয়। পরিবারের ভিতরেও ধর্ষণ ব্যাপক!

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

স্থিতধী বলেছেন: টেস্টোস্টেরন কে খামাখা এর মাঝে এনে পাপী বানানোর কোন কারন নেই আসলে। নারী পুরুষের ভালোবাসার সম্পর্কের মাঝেও কি সব যৌন মিলন সুন্দর পারস্পরিক ইচ্ছার ভিত্তিতে হয়? ধর্ষণ কি আসলে বিবাহিত জীবনেও হয়না?এবং বহু ধর্ম ও বিধান কি সেটাকে চামে চামে সমর্থনও করেনা? যখন সমাজের আদিম সংস্কৃতি ও ধ্যানধারণা গুলো পুরুষ কে এই শিক্ষা দেয় যে নারীর উপর শারীরিক জোড় চালাতে পারাটা একটা পুরুষালী বিষয় তখন বহু পুরুষের মাঝে নারীর উপর আক্রোশ ঝাড়ার একটা ট্রেইনিং দেয়া হয়, ফলে ডোপামাইন ও টেস্টোস্টেরন সেভাবেই ট্রেইন্ড হয়। মধ্যযুগ পর্যন্ত যুদ্ধ বিজয়ের পর সৈনিকরা প্রতিপক্ষের নারীদের ধর্ষণ করাটাকে যুদ্ধের একটা আর্ট হিসেবে নিতে শিখেছিলো। ৭১ এও তাঁর প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এমনকি ইরাকী পুরুষ বন্দীদের আমেরিকার নারী বন্দীরাও যৌন নিপীড়ন করে আবু গারীব কারাগারে। এটা সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের বাজে মনোভাব ও ট্রেইনিং এর প্রভাব, হরমোনের নয়।

আর সে কারনেই যথেষ্ট নারী পুরুষ সমতার পরও সুইডেন , নরওয়ে, ডেনমার্ক এর মতো নরডিক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ গুলোতে নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। উপরে সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের দেয়া পরিসংখ্যান সব পুরোনো, সঠিক চিত্র ওতে আসবেনা। গেলো বছরের তথ্য নিয়েই এ বিষয়ে এখানে Amnesty International এর রিপোর্ট পাবেন। একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য সেখানে পাওয়া যাচ্ছে এমন নিপীড়নের সাংস্কৃতিক ও আইন প্রয়োগের বাস্তবাতার বিষয়গুলো নিয়ে ;

"These statistics are the result of a vicious cycle involving the justice system and culture misconceptions about sex and consent, Patricia M. Kaatee, a policy advisor at Amnesty International Norway, told INSIDER. "Rape myths are preventing women very efficiently from reporting rape. Out of [all of the] reported cases to police, the majority are closed by public prosecution," she said."

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
একাত্তরে বাংলাদেশেও আমরা সেটা দেখেছি। বলা হয আড়াই লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করেছে পাকিস্তানি সেনারা। একটি গবেষণায় উঠে এসছে- বাস্তবিক সংখ্যাটা প্রায় চার লক্ষ!
ইউরোপের একজন নারী তার অধিকার রক্ষায় প্রতিবাদ করতে পারে। আর আমাদের নারীরা মুখ বুজে সহ্য করে এখনো।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

মিরোরডডল বলেছেন:



হরমোনের এক্সকিউজ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না । মেয়েদের কি সেক্সচুয়াল ডিজায়ার নেই !
ইটস অল এবাউট ইনটেনশন এন্ড্ কন্ট্রোল । প্রকৃত শিক্ষা, রুচি, মানসিকতা অনেককিছুই ইনভল্ভড এখানে । এ অপরাধের জন্য যদি ভয়াবহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে অবশ্যই সংখ্যাটা কমে আসতো । আর সেই শাস্তি শুধু কাগজে কলমে না, ইমপ্লিমেন্ট হতে হবে ।



০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ! কোন অজুহাত নয়। যৌন চাহিদাটা প্রাকৃতিক চাহিদা। কেন অতি বিশৃঙ্খল হচ্ছে। একের পর এক নারীরা ধর্ষিতা হচ্ছে, গ্যাং র‌্যাপ হচ্ছে। আমাদের যুবকরা মারাত্মকভাবেই যৌন সম্পর্কহীনতায় ভোগে। মেয়েদের অধিকাংশ দ্রুত বিয়ে হয় কিন্তু ছেলেরা সমস্যায় থাকে।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



@ সাচু
আরব দেশগুলিতে ধর্ষণের হার অনেক কম। এর কারণ এরকম না যে এদের হরমোন দুর্বল। আইন শৃঙ্খলা উন্নত হওয়ার জন্য এরকম।


যে দেশে মানুষ ২০০/৩০০ বিয়ে করে, আবার অনেক অনেক উপপত্নিও থাকে, ইট কুড বি আনাদার রিজন যে কারণে ধর্ষণের হার কম । পোষ্টের সো কল্ড হরমোনের চাহিদা ওখানেই ফুলফিল হয়ে যাচ্ছে ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: আরবে যাদের পণ দেয়ার টাকা নেই সেই বহু যুবকও বিয়ে করতে পারে না। তাদের কথা কি বলবেন? হাজার হাজার গৃহ কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে সেটা কি বলবেন?

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন - আরবে ধর্ষিতাকে মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে ব্যভিচারী হিসাবে শাস্তি দেয়া হয় অনেক সময়। আরবের মেয়ে হলে সঠিক বিচার পাওয়ার শম্ভবনা থাকে। বিদেশী হলে বিচার অনেক সময় পায় না। এত কিছুর পরেও কিছু আইন শৃঙ্খলা আছে বলেই যত্রতত্র ধর্ষণ হয় না পশ্চিমের দেশ বা আমাদের দেশের মত। গৃহের ভিতরে নির্যাতন ওখানেও হয়। তবে এসব কিছুর পরও ওখানে ধর্ষণের ঘটনা অপেক্ষাকৃতভাবে অনেক কম অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে পারফেক্ট কোনও দেশ আপনি পাবেন না। আমার পরের মন্তব্যে বিভিন্ন দেশের একটা পরিসংখ্যান দিয়েছে। ওটা দেখতে পারেন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: আরবে এতো এতো গৃহকর্মী ধর্ষিতা হচ্ছে কোন বিচারের কথাতো শুনিনি। উল্টো দেখেছি মেয়েটিকেই বিচারে ফাঁসিয়ে দিতে।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বক্তব্যে কোনও স্ববিরোধীতা নাই। আমি বলেছি যে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের চেয়ে ধর্ষণ অনেক বেশী। বিদেশেও বহু ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ডে আসে না। বহু মেয়ে বয় ফ্রেন্ড কর্তৃক ধর্ষিত হয় কিন্তু রিপোর্ট করে না। অনেক মেয়ে তার বাবা, ভাই চাচা কর্তৃক ধর্ষিত হয়। এগুলি পরিবার রিপোর্ট করে না। নিকটাত্মীয় কর্তৃক ধর্ষণে পশ্চিমারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশে বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করছে এরকম ঘটনা বিরল। কাজেই শুধু বাংলাদেশে ধর্ষণের অবস্থা ভয়াবহ এমনটা না। পৃথিবীর বহু উন্নত দেশেও প্রচুর ধর্ষণ হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে বেশী। আর ফ্রি সেক্স, পার্টি কালচার এগুলিও ধর্ষণের জন্য দায়ী একারনেই ওখানে আইন শৃঙ্খলা থাকার পরও ধর্ষণের হার বেশী।বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষণ তুলনামুলকভাবে পশ্চিমের চেয়ে কম কারণ আমাদের মেয়েরা সাধারণভাবে পার্টিতে যায় না, ফ্রী সেক্স রিলেশনে যায় না ( ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। শুধু আইন শৃঙ্খলা ধর্ষণ পুরোটা ঠেকাতে পারবে না। তাই যদি হতো তাহলে পশ্চিমে একটাও ধর্ষণ থাকত না। আরবে আইন কড়া এবং সমাজ অনেক রক্ষণশীল। এই উভয় কারণে ওখানে ধর্ষণের হার অনেক কম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে মেয়েরা বাইরে কাজ করে কম। আরবে, পারস্যে, আফ্রিকাতেও। আবার পরিবারের ভিতরে নারী নিপীড়নে বাংলাদেশ সেরা। এটা সত্য যে মেয়েরা ঘরেই থাকলে বাইরের মানুষের হাতে ধর্ষিতা কম হবে। এই অজুহাতে মেয়েদের ঘরে বন্দি করে রাখা যায় বটে। তবে সেটা সমর্থন কোন প্রকৃত মানুষই করবে না।

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:

সাচুর ১৬ নং মন্তব্যের সাথে সহমত । তবে আমি বলবো, ১০০% বন্ধ কখনোই হবে না কিন্তু
কঠিন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কমানো সম্ভব ।



১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আরবে যাদের পণ দেয়ার টাকা নেই সেই বহু যুবকও বিয়ে করতে পারে না। তাদের কথা কি বলবেন?


আমি কি বলবো ! ইউ টেল মি । বাংলাদেশ ইন্ডিয়া এসব দেশে এমন অনেক মেয়ে আছে যৌতুক দেবার অপারগতার জন্য যাদের বিয়ে হয়নি বা হচ্ছে না কিন্তু অনেক বয়স হয়ে গেছে । তাদের কি ফিজিক্যাল চাহিদা নেই ! নিশ্চয়ই আছে । তাহলে যেসব ছেলেরা দেনমোহরের জন্য বিয়ে করতে পারছে না , তাদের অবস্থাও সেইম । কিন্তু তাই বলে ধর্ষণ অলটারনেটিভ হতে পারে না ।

আমি বুঝতে পেরেছি মুজিব যা বলেছে, এটাও হতে পারে একটা কারণ । I understood though we should not justify any reason for it.

হাজার হাজার গৃহ কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে সেটা কি বলবেন?


আরবে গৃহ কর্মীকে ধর্ষণ অথবা বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া যেখানে যেভাবেই হোক না কেনো এটা একটা ম্যাসিভ ক্রাইম । এরা মানুষরূপী পশু, বর্বর , এরা সর্বোচ্চ পানিশমেন্ট ডিজার্ভ করে । ক্ষমতাবলে এরা যেনো পার পেয়ে না যায় এটা আমরা উইশ করতে পারি কিন্তু বাস্তবায়ন নির্ভর করছে প্রশাসনের ওপর আর সেখানেই দুর্বলতা আর দুর্নীতি । ক্ষমতার অপব্যবহার । রক্ষকই সেখানে ভক্ষক ।

থ্যাংকস মুজিব ।


০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিররডল - আসলে হরমোন আমার কাছে কোনও কারণ মনে হয় না। কারণ ধর্ষণের শিকার তারাই হয় যারা অরক্ষিত। কোন প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে ধর্ষিত হয় এরকম ঘটনা খুব বিরল। তারাও অনেক সময় শিকার হয় যদি কোনও কারণে সাময়িকভাবে তাদের নিরাপত্তা দুর্বল হয় ( ভ্রমনের সময়, নির্জন জায়গায় ইত্যাদি)। মূল ব্যাপার হচ্ছে ডাকাতি যেমন গায়ের জোড় খাটিয়ে করা হয় একইভাবে ধর্ষণও তাই। অপরাধিদের মগজে এই অপরাধগুলি করার ধান্ধা সব সময় চলতে থাকে। সুযোগ পেলেই করে ফেলে। চুরি বা ডাকাতি করা একধরণের নেশা। একইভাবে ধর্ষণও এক শ্রেণীর নীচ লোকের নেশা। এরা শুধু সুজগের অপেক্ষায় থাকে। খেয়াল করবেন আরব দেশগুলিতে চুরি ডাকাতিও কম। কারণ একটাই, কঠোর শাস্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.