![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
বিজয়ের মাসে রাষ্ট্রের স্থপতির ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা অভাবনীয়ই। একাত্তরের আগে পূর্ব-পাকিস্তান ছিল সব দিক দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। আমাদের গড় আয়, স্বাস্থ্য-শিক্ষা সব দিকেই পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ ছিল শোষণ। আমাদের শোষণ করেই পশ্চিম পাকিস্তান এগিয়ে গিয়েছিল। আমরা ধীরে ধীরে সেই পাকিস্তানকেই বহু দিকেই পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। সে সময়েই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিজয়ের মাসকেই বেছে নিল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার জন্য। ওরা ধর্মের দোহাই দিয়ে একাত্তরে আমাদের মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে। আজ ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেঙে ফেলছে রাষ্ট্রের স্থপতির ভাস্কর্য।
সৌদী আরবের ভাস্কর্য থাকতে পারবে, তুরস্কে থাকতে পারবে, ইরানে থাকতে পারবে, পাকিস্তানে থাকতে পারবে তাতে অসুবিধা নেই। বাংলাদেশে ভাস্কর্য থাকলেই ওদের আপত্তি। দেশকে ধ্বংস করে আফগানিস্তান/সিরিয়া বানানোই ওদের লক্ষ্য। ওদের এখনি থামাতে না পারলে দেশ অনিবার্য ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাবে। এখন আমাদের কথা বলার সময়-
১। সুষ্ঠু গণতন্ত্র নিয়ে
২। সুশাসন ও ন্যায় বিচার নিয়ে
৩। মানুষের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে
তখনই দেশের অগ্রগতিকেই থামিয়ে দিয়ে, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য একাত্তরের পরাজিত ধর্ষকদের উত্তরসূরিরা ভাস্কর্য ধ্বংসের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার স্মারক ধ্বংস করতে চায়। তারই প্রমাণ স্বাধীনতার স্থপতির স্মারক ধ্বংস করার চেষ্টা। এটা কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে অনবরত ভাঙতে থাকবে স্থপতির আরো ভাস্কর্য, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ….।পাকিস্তানের বর্বর সৈনিকদের সাথে নিয়েই ওরা একাত্তরে পরাজিত হয়েছে। মানুষ এখন আরো সচেতন হয়েছে। অন্ধকারের অপশক্তিকে এখনি রুখতে হবে দেশ-মাতৃকাকে রক্ষার জন্য।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০
মুজিব রহমান বলেছেন: রাত দুটোতে তার সড়কে দীর্ঘ সময় ছিল। টহল পুলিশের সামনে পড়লেও তাদের সন্দেহের মধ্যে পড়েনি হয়তো।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: রাতের আধারে যারা জাতির পিতার ভাষ্কর্য ভেঙেছে, ওদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩
মুজিব রহমান বলেছেন: সারা দেশের সব ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি অভাবনীয়! ওই হমকির ফলেই এই ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায় হেফাজতের নেতাদের।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তাদের বিপদ তারা নিজেরাই ডেকে এনেছে,সাথে আরো অনেকের বিপদ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫
মুজিব রহমান বলেছেন: ওরা নিজেদের মূর্খতার পরিচয়ই দিয়েছে সাথে নিজেদের দেশবিরোধী মনোভাবের।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬
ফটিকলাল বলেছেন: ব্লগে এসব মৌলবাদীদের চাষাবাদ চলে রীতিমত। ভাবতেই অবাক লাগে এসব জঙ্গিদের কতটা সাহস বেড়েছিলো! এরা মানুষ নয়, যেনো একেকটা সাক্ষাত বিষধর কালসাপ!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
মুজিব রহমান বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওদের ব্যাপক উপস্থিতি। তবে ওরা এখানে খুবই নিম্নমানের লেখাই প্রকাশ করে। তবে ওদের সমর্থক কম নয়। তবুও আশার জায়গা হল- ওেদের বিরুদ্ধে বলার লোক তৈরি হয়েছে আগের চেয়েও অনেক বেশি।
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেসবুকে দেখলাম কেউ কেউ বলতেছে জিয়ার ভাস্কর্য কেন ভাঙ্গলো না। আপনি কি বলেন
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৩
মুজিব রহমান বলেছেন: জিয়া ওদের টার্গেট নয়। জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই এখন তার দল। ফলে জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য যেহেতু মুক্তিযুদ্দ্ধ তাই তারা বেছে নিবে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার পক্ষের ভাস্কর্য।
৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬
জিকোব্লগ বলেছেন:
বর্তমানে হঠাৎ করে উদীয়মান ভাস্কর্য ইস্যুর মূলে ধর্ম নয়, রাজনীতি
কাজ করছে। আর রাজনীতি এখানে কৌশলে ধর্মকে ব্যবহার করছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭
মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্মভিত্তিক দলগুলোরতো কাজই ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়া। বড়দলগুলোও তা ব্যবহার করে এসেছে। এখন ধর্মভিত্তিক দলগুলো দেশে অশাস্তি সৃষ্টি করে বড় সুবিধা নেয়ার ধান্ধা করেছিল। তবে ভাস্কর্য নিয়ে তারা এগুতো পারবে বলে মনে করি না। দেশের মানুষের ভাস্কর্যবিরোধী মনোভাব নেই।
৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রতি বছর ১৬ ই ডিসেম্বর আসলে জেগে ওঠে প্রেতাত্মারা এটা তারই নমুনা। বাংলারা এই কওমি বলেন আর আলিয়া বলেন এরা কোন দিনই বাংলাদেশ কে মেনে নেয় নাই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮
মুজিব রহমান বলেছেন: সহমতা।
আগামীতেও তারা দেশকে মনে ও মেনে নিবে না। ওরা খায়, দায় ও আয় করে দেশে আর হতে চায় আফগানিস্তানি/পাকিস্তানি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: দুইজন আলখাল্লাধারী মানুষভুত ঠান্ডা মাথায় হেঁটে গিয়ে নমস্য বংগবন্ধুর মূর্তিতে হাতুরীর আঘাত করবার সময় টহল পুলিশ কোথায় ছিল?