![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
পীরগণই দাবি করেন তারাই পরকালের পুলসীরাত পার করে মুরিদদের রক্ষা করবেন৷ মুরিদরাও সে দাবি মেনে নিয়ে পীরদের রক্ষা করতে ঝাপিয়ে পড়েন৷ আর্থিকভাবে পীরদের সপরিবারে আরাম আয়েশে থাকার এমন ব্যবস্থা করেন যাতে আরো চৌদ্দপুরুষ বসে খেতে পারেন৷ এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে রক্ষা করেন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেন বংশপরম্পরায়৷
মুমিনুল হক সাহেব মহানবী (সা.) কিভাবে ঠোঁট বাঁকিয়ে কথা বলতেন তা করে দেখান মাহফিলে৷ তা দেখে মুরিদগণ মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলেন৷ যদি কোন নাটকে কোন অভিনেতা এমনটা করে দেখাতেন তবে তাকে নিশ্চিত কতল করা হতো৷ লাখো মুরিদরা মুরদ দেখাতে হামলা চালাতেন৷ অভিনেতাকে বাঁচার জন্য দেশ ছাড়তে হতো৷ আমরা আমীর হামযা সাহেবকে দেখলাম করোনাভাইরাস নিয়ে কোরআন সত্য-মিথ্যার চ্যালেঞ্জ জানাতে৷ মুসলমানদের করোনাসংক্রমণ হলে কোরআন মিথ্যা বলে দাবি করলেন৷ এমন দাবির সাথে একমত হয়ে কোন সাধারণ পাবলিক বাঁচতে পারতো না৷ দেওয়ানবাগী পীরসাহেব আরো এগুনো! তিনি দাবি করেন আল্লা স্বয়ং দেওয়ানবাগে এসে জিকির করেন৷ তিনি মহানবী (সা.)কে নর্দমা থেকে উদ্ধার করেছেন৷ তাঁর স্ত্রী নাকি আগের জন্মে নবীজীর কন্যা মা ফাতেমা! অবিশ্বাস্য ধৃষ্ঠতা! সাধারণ কেউ এমন দাবি করলে প্রাণে বাঁচতে পারতো না৷ চরমোনাই থেকে প্রকাশিত একটি বইতে দাবি করেছেন হাশরের ময়দানে একটি জাহাজ আসবে এবং সেই জাহাজে করে তার মুরিদরা পার হয়ে যাবে! প্রভাবশালী পীর ছাড়া অন্য কেউ এমন দাবি করলে কি পরিণতি হতো?
পীরগণ এমন অসংখ্য ইসলামবিরোধী দাবি করেও কিভাবে রক্ষা পান? সহজ হিসাব! মুরিদরা ঢাল হয়ে তাদের রক্ষা করে৷ ফলে এক পীর অন্য পীরের বিরুদ্ধে লাগতে যান না৷ যখন কারো স্বার্থে বেশি আঘাত লাগে তখন সামান্য ঝামেলা লাগে৷ এক পীর আরেক পীরকে ভণ্ড, মুরতাদ ও নাস্তিক আখ্যা দেন৷ আবার মিলতালও হয়ে যায়৷ একজন আরেকজনের আত্মীয়-স্বজন হয়ে উঠেন৷ যেমন চন্দ্রপাড়া পীরের জামাতা দেওয়ানবাগী পীর৷
একেকজন পীর একেকটি সাম্রাজ্যের মালিক৷ আটরশি পীরের সন্তানরা আজ বিশাল সম্পদের মালিক৷ এক ভাই দল চালান আরেকভাই মসনদ! হু মু এরশাদ সাহেব তাদের এক ভাইর বিরুদ্ধে মদ খাওয়ার অভিযোগও করেন৷ এতো সম্পদ জ্বীন বা আলাদীনের চেরাগের দৈত্য দিয়ে যায়নি৷ সবই মুরিদদের দান করা টাকা৷ সেই টাকায় আজ তারা আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন৷ চরমোনাই পীর সাহেবের দরগার মাহফিল থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হয়৷ সেই টাকা মুরিদরা গিয়েই দিয়ে আসে৷ কেন দিয়ে আসে?
মানুষের জীবন সবসময়ই ঝুঁকির৷ একটা হার্ট এটাক বা স্ট্রোক মুহুর্তেই সচল থেকে অচল করে দেয়৷ জীবনভর রীপুর তাড়নায় লোভে পড়ে মানুষ বিভিন্ন অপরাধ করে ফেলে৷ তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয় পরকালের শাস্তির ভয়৷ মানুষ ইহকালে স্বস্তি ও শান্তির প্রত্যাশায় এবং পরকালে নিষ্কৃতি ও লোভের আশায় আশ্রয় নেয় মধ্যস্বত্ত্বভোগীর দরবারে৷ এই পীরগণ কতোটা শক্তিশালী তা প্রমাণের জন্য নানা রকম উদ্ভট দাবি করেন৷ এতে মুরিদদের আস্থা বৃদ্ধি পায়৷ তবে পীরদের দাবি ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়৷
বাস্তবিক পীরগণ মুরিদদের রক্ষা করবেন এমন দাবি প্রমাণিত নয়৷ তবে মুরিদরা যে তাদের বাঁচিয়ে রাখেন এমনটা প্রমাণিত৷
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৭
মুজিব রহমান বলেছেন: ব্যর্থ মানুষরা কিছু আশ্রয় করেই বাঁচতে চায়। সেটা মাদক হোক বা ধর্ম!
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
মরুর ধুলি বলেছেন: আপনি একটা দরগা খুলে বসুন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৭
মুজিব রহমান বলেছেন: জয় হোক বুদ্ধিদাতা গণেশের!
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন:
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি যে পরিমান ধর্ম নিয়ে চিন্তা করেন, অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করলে বোধ করি আরো ইতিবাচক কিছু পাওয়া যেত!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৯
মুজিব রহমান বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে ভাস্কর্য নিয়ে তেনাদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু না হলে এ পথে আসতামই না। আমার প্রিয় জায়গা হল বিজ্ঞান ও সাহিত্য। সেখানেই থাকতাম।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই দেশে হুজুররা মুর্খ বিধায়, তাদেরকে সহজে ব্যবহার করা যায়। এটা তাঁরা নিজেরাও জানেন না। তাঁরা ভাবছেন তারা অনেক কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন, আসলে কিছুই তাদের হাতে নেই। এই ভাস্কর্য আর মুর্তি নিয়ে ফালতু দৈরথে আবার তা প্রমানিত হলো।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯
মুজিব রহমান বলেছেন: এ থেকে শিক্ষা নিলে ভাল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
এইচ তালুকদার বলেছেন: আসলে সাধারন মানুষ ধর্ম বুজতে চায় না,ধর্ম বুঝতে হলে যে শারিরিক এবং মানসিক কষ্ট টা করতে হয় সেটা কেউ করতে চায় না বরং ফেবুক ইউটিউবে লাইক শেয়ার আর ও্য়াজ শুনে অশেষ নেকি হাসিলের মনকলা খাওয়াতেই তাদের আনন্দ।পীর সাহেবরা সাধারনত এই সু্যোগটাই নেন