নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাক্বানি পীর কিভাবে খুঁজব?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭


হক থেকেই হাক্কানি৷ হক অর্থ সত্য৷ অর্থাৎ যে পীর সত্য, যিনি হাশরের ময়দানে নবীর শাফায়াত প্রাপ্তিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন এবং অলৌকিক আধ্যাত্মিক ক্ষমতার মালিক তিনিই হাক্কানি পীর৷ তাঁর যার রিযিক অবশ্যই হালাল আর নফস পরিশুদ্ধ৷ আচার আচরণ ও সভাব চরিত্র অর্থাৎ আখলাক হবে নির্মল৷
আমরা পীরদের রিযিককে লিটমাস ধরেই প্রাথমিক প্রমাণ করতে পারি তিনি বুজুর্গ না ভণ্ড?

(সুরা বাকারা ১৭৪)
বস্তুত, যারা আল্লাহ কেতাবে যা অবতীর্ণ করেছেন তা গোপন করে এবং এর বিনিময়ে পার্থিব তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছুই ঢুকায় না। এবং আল্লাহ হাশরের দিন তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধও করবেন না। এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। এরাই হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষ যারা সঠিক পথের (হেদায়াহ) পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা (দালালাহ) এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করে নিয়েছে। আগুন সহ্য করতে তারা কতই না ধৈর্যশীল।

কোরআনে অন্তত ১৬টি স্থানে আল্লাহর কালামের বিনিময় মূল্যের কথা রয়েছে৷ এর একটিই বিনিময় মূল্য আর তা হল- আল্লাহর রহমত পাওয়া৷ স্রষ্টার প্রতি মানুষের দায়িত্ব হিসেবেই তাঁর বাণি প্রচারের কথা বলেছেন৷ পীরগণ আল্লাহর বাণি প্রচার করেন৷ যদি তিনি বিনিময় মূল্য গ্রহণ করেন তবে তার জন্য যন্ত্রণাদায়ক আযাবের কথাই আল্লাহ বলেছেন৷ এই টাকা খাওয়ার সাথে আগুন খাওয়ার তুলনা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ৷
তাহলে এই যে, যারা দরদাম করে টাকার বিনিময়ে আল্লাহর বাণি প্রচারে আসেন তাদের পরকালে কি অবস্থা হবে? আল্লাহ বলেছেন তারা পথভ্রষ্ট এবং তারা শাস্তি ক্রয় করে নিয়েছে৷ এ নিয়েই মাওলানা সাদ ছাহেব মন্তব্য করে বাংলাদেশ বিপদে পড়েছিলেন৷ তিনি এ ধরনের আয়কে বেশ্যার আয়ের চেয়ে মন্দ বলেছেন৷ আল্লাহ বলেছেন, তারা আগুন সহ্য করার জন্য ধৈর্য ধরে আছেন৷

এবার পরীক্ষা করেন৷ বাংলাদেশের এমন কোন পীর কী আছেন, যিনি আল্লাহর বাণি প্রচার করে মূল্য গ্রহণ করেন না? যদি মূল্য গ্রহণ না করা কোন পীর থাকেন তবেই না তিনি হাক্কানি কিনা সে প্রশ্ন আসবে৷ সেটাও হবে কোরআন অনুযায়ী দ্বিতীয় পরীক্ষা! থাকলে আওয়াজ দিবেন৷

দ্বিতীয় লিটমাস- নফস!
তৃতীয় লিটমাস- আখলাক!!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পীর বলতে বুঝায় ভন্ড।ভাল্ লোক কখনো পীর হয়েছে আমি দেখিনাই।তবে সব পীররাই বেশ চালাক চতুর।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল লোক আর পীর বিপরীত বিষয়। চালাক না হলে পীরগিরী করতে পারবেন না।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

কানিজ রিনা বলেছেন: পীর ও শায়খ একই, অর্থাৎ ইসলাম বা কুরআনের শিক্ষক। আগের দিনে মাত্র তিন দশক আগেও এত পীরের আস্তানা ছিল না। ভন্ড পীরের মাঝে আসল পীর বা সায়খ
হারিয়ে যাচ্ছে।
এই উপমহাদেশে ইসলাম যারা প্রচার করতে আসতেন মানুষ তাদের পীর বলত, তাদের অবদান তো ফেলে দেয়া যাবে না? বংশপরম্পরায় এখনো তার ধারাবাহিকতা আছে।
কিন্তু নতুন নতুন গজিয়ে ওঠা পীর বা তাদের কোন বংশে
মাশায়েখ ছিল না, তারা নতুন পীর নামে গজিয়ে ওঠা ভন্ড পীর নামে কথিত। যদিও কিছু কিছু আছে ঈমানদার।
আমাদের থানা তে এক ভন্ড পীর আছে, সে থানার পুলিশ ও রাজনীতিবিদদের টাকা দিয়ে হাত করে রাখে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মুজিব রহমান বলেছেন: আসল পীর থাকলে বলেন, লিটমাস টেস্ট দেই!

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: পীর ফকির হলো দুষ্ট শ্রেনীর লোক।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মুজিব রহমান বলেছেন: এবং প্রতারক শ্রেণির লোক।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৫

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: একবার এলাকায় একটা মাহফিলে একজন হুজুরকে ২৫ হাজার টাকায় আনার ব্যবস্থা করছে আমি বললাম হুজুর ইসলাম প্রচার করবে তাকে আবার টাকা দিতে হবে কেন তারা বললো হুজুরের গাড়ির তেল খরচ দিতে হয় আমি বললাম তেল খরচ ২৫ হাজার টাকা? এটা শুনে কয়েকজন আমার সাথে কথা-কাটাকাটি করলো এলাকায় আমাদের একটা নাম আছে তা না হলে তারা ঐদিন আমাকে মারতো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মুজিব রহমান বলেছেন: অথচ এভাবে টাকা নেয়ার বিরুদেধ কোরআনে অন্তত ১৬ বার বলা হয়েছে। অথচ এরা টাকার পাগল।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭

নতুন বলেছেন: ধর্মনিয়ে ব্যবসা বহু পুরানো জিনিস। আমাদের দেশের মানুষ আরবী জানেনা কিন্তু ধর্মভীরু, তাদের সামনে দুইলইন আরবি বললেই তারা অবাক হয়, সন্মানের চোখে দেখে।

এই সুযোগটাই ধান্দাবাজেরা নিচ্ছে পীর,ফকির,মাজারের নামে।

যারা মূর্খ এবং অজ্ঞ তারাই বেশি এই পীরদের মুরিদ হয় এবং টাকা পয়সা দান করে।

এটা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এখন আটরশির মতন বড় পীর আস আসবেনা। মানুষ এখন পীরের দরবারে টাকা পয়সা আগের থেকে অনেক কম দান করে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: বিশাল প্রভাব হয়তো কমেছে। তবে এখনো চর্মনাইসহ কিছু পীর প্রভাব বিস্তার করছে।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫১

এমেরিকা বলেছেন: আপনি প্রথম প্যারায় যা লিখেছেন, তার উৎস কি? দুনিয়াতে এমন কোন লোক জন্মেনি যে কিয়ামতের দিন রাসুল (স) এর শাফায়াত প্রাপ্তিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন। আর আধ্যাত্মিক শক্তি বলতে কি ব্যুঝাচ্ছেন? জ্বিন হাজির করা? তাহলে দেশে ফকির কবিরাজ ছাড়া কোন পীর আসলে নেই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

মুজিব রহমান বলেছেন: পীরগণ নিজেরাইতো বলে বেড়ায়। চর্মোনাই জাহাজ দিয়ে পার করে দিবে। কি বলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.