![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনো কাজ, কোনো কথা, কোনো লেখার যথার্থ সমালোচনা ঐ কাজ, কথা, লেখার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যকে মুক্তি দেয়। তাই যথাযথ সমালোচনা কাজের, কথার, লেখার অন্তরায় নয়। মাথ্যু আর্নল্ড এ ধরনের সমালোচনাকেই বলেছেন, ‘ Intellectual deliverance’। কেবল ভালো লাগার উচ্ছ্বাস, মন্দ লাগার টিপ্পনী, ঈর্ষা-বিদ্বেষের প্রকাশ সমালোচনা নয়। কেন ভালো লেগেছে, কেন মন্দ লেগেছে, কেন ঈর্ষা বিদ্বেষ জেগেছে, তা উঠে আসতে হয় সমালোচনায়। সমালোচনার নামে অনেকে অনর্থ ঘটান। আমাদের জাতীয় জীবনে এই অনর্থ ঘটানোর ধারাটিই প্রবল। অধিকাংশ সমালোচক ঈর্ষা ও বিরূপতাকে সমালোচনা মনে করেন। আবার যাদের কাজের, কথার, লেখার সমালোচনা করা হয়, তারা সমালোচনা যথার্থ হলেও বিরুদ্ধবাদীদের ঈর্ষা প্রসূত কুৎসা মনে করেন এবং উল্টো গালমন্দ করেন। সমালোচনা করবার এবং সমালোচনা সইবার মানসিকতা ও যোগ্যতা আরও অনেক মূল্যবোধের মতো আমাদের জাতীয় জীবন থেকে উধাও হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এ প্রবণতা ভীষণ প্রবল। যাদের শিষ্ট, ভদ্র মনে করা হয়, তাদের মুখ থেকেও এমন সব বক্তব্য শুনতে পাওয়া যায়, যে এ ধারণা অনিবার্য সত্য হয়ে উঠে। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি। গণতন্ত্রের অন্যতম একটি শর্ত হচ্ছে গঠনমূলক সমালোচনা ও তা সইবার মানসিকতার উপস্থিতি। কিন্তু আমরা গণমাধ্যম(?)গুলোতে প্রতিদিন কী দেখি ? সমালোচনার নামে ঈর্ষা ও ঘৃণার প্রকাশ হচ্ছে, গঠনমূলক সমালোচনাকে কুৎসা বলে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন তরুণ প্রজন্ম এ সব দেখে দেখে প্রভাবিত হচ্ছে। তাদের অসহিষ্ণু হয়ে উঠার পেছনে অন্যান্য অনুষঙ্গের সাথে এ অনুষঙ্গটিও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তাই এ প্রজন্মের মার্জিত ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
মনস্বিনী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮
সায়ন্তন রফিক বলেছেন: এ শঙ্কা এখন সচেতন সবার।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩
মনস্বিনী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
রাজীব নুর বলেছেন: এখন আপনার কোনো পোষ্ট পাই না কেন??
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমাদের সহনশীলতা লোপ পাচ্ছে।সুন্দর লিখেছেন