![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
অন্তরে আর বাহিরে সমান নিত্য প্রবল হও
যত দূর্দিন ঘিরে আসে, তত অটল হইয়া রও
-বিদ্রোহী কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই পঙংক্তি’কে সামনে নিয়ে আত্মসত্তার কবি, সাংবাদিক, শিমু সাহিত্যিক, নজরুল গবেষক, সাংস্কুতিক সংগঠক, গল্পকার, টিভি উপস্থাপক, সাহিত্যের শিক্ষক, দৈনিক আমার দেশ এর সিনিয়র সহকারী সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদারের ৫৭তম জন্মদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে নানা বর্নিল আয়োজনে পালিত হলো। এই মহান কবির জন্মদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে - সমকালের সেরা কবি আল মাহমুদ বলেছেন আবদুল হাই সিকদার একজন দৃঢ়চেতা কবি হিসেবে বাংলাদেশে আবির্ভূত হন ১৯৭৯ সালে তার আবির্ভারে সাথে সাথেই তার খ্যাতি ও প্রতিপত্তি ঘোষিত হতে থাকে। অতি সহজেই এ দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ, বিশেষ করে কবি সমাজ ও সাহিত্যিক সমাজের মধ্যে তিনি একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠতে থাকেন। তার কথা, বক্তৃতা, কবিতা এবং রসিক মানুষ হিসেবে তিনি নিজে এ দেশের সাহিত্যে অঙ্গণে সুপরিচিত হয়ে উঠতে থাকেন। তার কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ওউচ্চারনের ভঙ্গি অতি সহজেই শ্রোতাদের চিত্তকে প্রফুল্লতায় পরিপূর্ণ করে দেয়। আমি কবি আবদুল হাই শিকদারকে একজন সহজ, সরল, বিনয়ী এবং একই সাথে দৃঢ়চেতা মানুষ হিসেবে দেখতে পেয়ে তার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিই। এভাবেই তার সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে । আমি সবসময় আমার বিপদে আপদে দূর্ভাবনার ব্যাকুলতায় তাকে আমার মিত্র হিসেবে পেয়েছি। তিনি যেমন সহজ, সরল, বিনয়ী মানুষ তেমনি কবিত্ব শক্তিতে উদ্ভাসিত এক অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবে আমার কাছে পরিচিত হয়ে উঠতে থাকেন।
আমি তাকে আমাদের সাহিত্য ও কাব্যের জন্য এক অপরিহার্য ব্যক্তিসত্তা হিসেবে দেখে এসেছি। তার কবিতায় একটি তেজতপ্ত দ্রোহের লক্ষণ প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। এই তেজ সৃজনশীল মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত হলেও অন্যের কাছে তিনি দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে ওঠেন। আবদুল হাই শিকদারের কবিত্ব ও ব্যক্তিত্বের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে আমাদের সাহিত্যে সংযুক্ত বলে আমি মনে করি। ৫৭তম জন্মদিনে আমি এ কবির দীর্ঘ জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। জাতীয় প্রেসক্লাবে ভি.আই.পি কনফারেন্স লাউঞ্জে ১ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় কবি আবদুল হাই শিকদারের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসিম আহমেদ, সঞ্চালনা করেন আহমদ বাসির। কবি আবদুল হাই সিকদার তার জন্মদিনে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আপনারা যদি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারেন তাহলেই আজকের আমার জন্মদিনে সেরা প্রাপ্তি হবে। তার জন্মদিনের শুরুতেই আগত অতিথিবৃন্দ কেক কেটে এবং বিভিন্ন সংগঠন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহ, জিয়া সেনা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জিয়া নাগরিক ফোরামের মিয়া মোঃ আনোয়ার, নজরুল আবৃত্তি সংসদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় কবিতা আবৃত্তি করেন নাসিম আহমেদ, শায়লা আহমেদ, শামীমা চৌধুরী, রহিমা আক্তার কল্পনা, শফিকুল ইসলাম বাহার, মোঃ এমদাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ ইউসুফ, মোঃ শাহাবুদ্দিন মাহতাব, কাজী জান্নাতুন নাইম শিমু। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কে.জি মোস্তফা, হাসান হাফিজ, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কামরুজ্জামান, জাকির আবু জাফর সহ প্রমুখ।
সাহসই তোমার শক্তি। সাহসের অন্য নাম জেনো কাব্যরস
কীবা আসে যায় বলো, কত হলো তোমার বয়স?
উচ্চকন্ঠ প্রতিবাদ ঊর্ধাকাশে আঙ্গুলি নির্দেশ
তোমাকে করেছে দীপ্ত, যেন কোনো দৈবের আদেশ;
এমনই তরুন থেকো। এমনি এক রসযুক্ত জলপাইয়ের ডাল
চঞ্চুতে ধারন করে উড়ে যেও
কালান্তরে দৃশ্যের আড়াল।
দীর্ঘায়ূ প্রার্থনা করে দু’টি ছত্র লিখে দিই আমি,
আমি কেউ নই বটে কিন্তু এক পাখি দূরগামী।
কবি আবদুল হাই শিকদারের প্রতি স্নেহের পরশ বুলিয়ে সমকালীন সাহিত্যের সেরা কবি আল মাহমুদের এই কবিতার উচ্চারনের মধ্য দিয়ে ৫৭তম জন্মদিন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
এস এইচ খান বলেছেন: সাহসী এবং সত্যবাদী কবির জন্ম দিনে শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০
শিপন মোল্লা বলেছেন: শুভ জন্মদিন কবি।