![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
অবশেষে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ী পোড়ানো মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনীতিবীদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সারা দেশে তার মুক্তির দাবীতে বিএনপি ও অংগসংগঠন এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন প্রতিদিন সভা, সমাবেশ, প্রতিবাদ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচী পালন সহ তার নির্বাচণী এলাকায় হরতাল, অবরোধ সহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরোধী দলীয় মহাসচিব’কে পরপর দুই বার গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করার ঘটনা এটাই প্রথম। যদিও ১/১১’র সময় তৎকালীন ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন এর সরকার দুর্নিতীর দায়ে সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী সহ বিএনপি ও আওয়ামিলীগের বড় বড় শীর্ষ নেতাকে বিভিন্ন দুর্নিতীর অভিযোগে গ্রেফতার করলেও সেই সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার কোন দুর্নিতী খুজে পায়নি।
রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিছন্ন, বিনয়ী, ভদ্র ও সৎ নেতা হিসেবে শত্রুর কাছেও স্বীকৃতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার গ্রেফতারে আওয়ামীলীগেরও তৃনমূল পর্যায়ের অনেক নেতা কর্মী প্রকাশ্যে বলেছেন সরকারের এই গ্রেফতার করা সঠিক হয়নি। যে সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়, ঠিক সেই সময়ে একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ চন্দ্র রায়কেগেোপনীয়তা রক্ষা করে জামিনা মুক্ত করা হয়। সেই সময়ে প্রকাশ্যে পুরাতন ঢাকায় বিএনপির অবরোধ চলাকালে একজন নিরিহ দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ’কে প্রকাশ্যে দিবালোকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এবিষয়ে যদিও হত্যাকারীদের পরর্বতীতে গ্রেফতার করা হয় কিন্তুপ্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হত্যাকারীদেরকেও আড়াল করার জন্য নানা বির্তকিত বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
একই সময়ে আমর দেশ পত্রিকার সাহসী সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে স্কাইপি’র মাধ্যমে মানবাধিকার অপরাধ ট্রাইবুনাল এর চেয়ারম্যানের বিদেশী পলাতক বন্ধুর সাথে সংলাপ প্রকাশ পেলে ট্রাইবুনাল চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে সত্য প্রকাশের জন্য মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা হয় এবং গত ১৫ দিন যাবত আমার দেশ কার্যালয় বর্তমান সরকারের অলিখিত সাবজেলে পরিনত করে মাহমুদুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে বাখা হয়।
ঠিক তেমনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব দপ্তর সম্পদকের দায়ি ত্ব থাকা স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা রুহুল কবীর রিজবী কে নয়াপল্টনস্থ কাযালয়ে সরকারের অলিখিত ২য় সাব জেলে পরিনত করে সেখানে এখনো তাকে অবরুদ্ধ রাখা হয়। বর্তমানে এই অবরুদ্ধ দুই নেতা সরকারের অঘোষিত দুই সাব জেলে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এছাড়াও সমসাময়িক সময়ের মধ্য দিয়ে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কার্যালয়ে পুলিশ ও র্যা ব প্রবেম করে সেখানথেকে ছাত্রীসংস্থ্যার নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে তাদের উপরেও অমানুষিক নির্যাতন চালায়। একজন গর্ভবর্তী মহিলাও সেই নৃঃসংশ নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। জাতায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল সফিকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা গোলাম পরোযার সহ অনেক জামায়াত শিবিরের নেতাদেরকে গ্রেফতার করে তাদের উপরেও নির্বিচারে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হয়।
সর্ব শেষ জামায়াতের প্রতিবাদ মিছিলে পেছন থেকে পুলিশ হামলা ও গুলি করে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ চার জনকে গুলিবিদ্ধ করা হয় এবং ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
ঠিক জাতির এই চরম সংকটময় মুহুর্তে একটি সুসংবাদের বার্তা উপস্থাপন করেন ৫২’র ভাষা সৈনিক, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধোর সংগঠক, সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক সফল আইন মন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবি ব্যারিষ্টার মওদুদ আহম্মেদ এমপি।
তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় গণমাধ্যমকে জানান-
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবারের মধ্যে জেল হাজত থেকে ছাড়া পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর পৃথক দু’টি মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট ৬ মাসের অন্তবর্তী জামিন দেওয়ার পরপর আদালত প্রাঙ্গনে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘আশাকরি আগামী ১ কার্যদিবসের মধ্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমাদের মধ্যে ফেরত পাবো’।
গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের রাজপথ অবরোধে গাড়ি ভাংচুরের মামলায় পরদিন েগ্েরফতার হন মির্জা ফখরুল। ১১ ডিসেম্বর তাকে পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য পুলিশের আবেদন ও আসামিপক্ষের জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠায়। পরদিন তাকে কাশিমপুর আনা হয়। এখন কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-২-এ রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর অবরোধে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঢাকায় যে ৩৮টি মামলা হয়, তার প্রায় সবকটিতে আসামি করা হয়েছে মির্জা ফখরুলকে। তবে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর ও পল্টন থানায় দায়ের যে দু’টি মামলায় হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলকে জামিন দিয়েছে সে দুটি মামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলোতে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই।
আমরা আাশা করছি গনতন্ত্রের স্বার্থে সরকার দেশকে নতুন সংকটের দিকে ঠেলে না দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আইনের প্রকৃয়ায় জামিন প্রাপ্ত হতে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না এবং মথ্যা নতুন কোন মামলার ফাঁদে ফেলে তাকে নতুন করে গ্রেফতার করে রাজনীতির অঙ্গনকে বছরের শুরুতেই উত্তপ্ত করবে না। আমরা অধীর আগ্রহে অৱপেক্ষা করছি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জনপ্রিয় নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারো জনগনের সাথে ও পাশে থেকে তাদের ভাত ও ভোটের অধিকারের পক্ষে অবদান রাখবেন।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: এটা আবার শুভ সংবাদ ক্যামনে?
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১
গোপাল ভাঁড়ের গল্প বলেছেন: কন কি? আর হরতাল হইবো না?
ধুর!
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
নেংটি ইদুর বলেছেন: রাজনৈতিক পোস্ট দেয় পঁচা মানুষ।