নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের জন্য ভালবাসা

কলম সৈনিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা আর দেশের জন্য কিছু কাজ করা এই অঙ্গীকার নিয়েই পথ চলা....

মঞ্জুর হোসেন

নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার

মঞ্জুর হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭ জানুয়ারি জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক ফেলানী দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতি

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ঘটে যাওয়া বিশ্ব আলোচিত ঘটনা ভারতীয় বিএসএফের নির্মমতার শিকার বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী হত্যা ট্র্যাজেডির দু’বছর পূর্তি হচ্ছে এ বছরের ৭ জানুয়ারি। হত্যার দু’বছর পূর্তি হতে চললেও সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের দেয়া দাবির প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আজও পায়নি ফেলানীর পরিবার ও এলাকাবাসী। ভারতের কাছে হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ, ফেলানীর কবর এবং রাস্তার পাকা করা ও নামকরণ বাস্তবায়ন হয়নি ।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় খেতাবেরকুটি গ্রামে বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানীকে (১৫) পাশবিক নির্যাতন করে পাখি শিকারের মতো গুলি করে হত্যা করে তার লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে ভারতের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ। ওই সময় এই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘিত ঘটনা নিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশসহ দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় ঘটনাটি সোচ্চার হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ভারতকে বিএসএফের নির্মমতার প্রতিবাদ জানানো হয়। ফেলানীর কবর দেখতে, তার পরিবারকে সান্ত্বনা ও আর্থিক সাহায্য দিতে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাফর আলীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা । তারা ২০১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ফেলানীর বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে এলে ফেলানীর বাবা নূর ইসলামসহ এলাকার শত শত মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছে ফেলানী হত্যার বিচার, ভারতের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি, ফেলানীর কবর পাকা করা, ফেলানীর বাড়ির সামনের প্রায় আড়াই কিমি কাঁচা রাস্তা পাকা করা ও রাস্তাটি ফেলানী সড়ক নামকরণ, তার বাড়ির পাশের কলোনিটারী মসজিদটিকে পাকা করার দাবি করেন। ফেলানীর বাবার ও এলাকাবাসীর এসব দাবি বাস্তবায়নে তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা প্রতিশ্রুতি দিলেও দু’বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম জানান, ফেলানী হত্যার বিচার, ভারতের কাছে ক্ষতিপূরণ, ফেলানীর কবর ও রাস্তা পাকা করার কাজ এবং নামকরণ কিছুই দেখছি না. শুধুই শুনছি। তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো পুরণ হলে ফেলানী কবরে শান্তি পেত। স্থানীয় রামখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুর রহমান তালুকদার জানান, সরকারের মন্ত্রী-এমপির কাছে দাবির বাস্তবায়ন আমরা দু’বছরেও দেখছি না। ফেলানীর নামে নামকরণ রাস্তাটি গত দু’বছর ধরে ৫-৬ বার মাপজোক করা হলেও এটি পাকা করা ও নামকরণ হয়নি। কাজ হবে—তিনি শুধু এ কথাই শুনেছেন। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোল্লা মিজানুর রহমান জানান, ফেলানীর পরিবার ও এলাকাবাসীর এসব দাবির ব্যাপারে ও দাবিগুলো বাস্তবায়ন বিষয়ক তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

৫ জানুয়ারি ২০১৩ইং এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী ও সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন আগামী ৭ জানুয়ারি সীমান্তে নৃশংসভাবে কাঁটাতারের সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল বাংলাদেশী একজন অসহায় নারী ফেলানীকে। ফেলানীর ২য় বৎসর পূর্তিতে আন্তর্জাতিকভাবে ৭ জানুয়ারিকে জাতিসংঘ কর্তৃক অনুমোদিত ফেলানী দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন পাকিস্তানের একজন সাহসী তরুণ মেধাবী মানবাধিকার কর্মী মালালার জন্য জাতিসংঘ ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মালালা দিবস ঘোষণা করেছে। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশের জনগণকে বিএসএফ যেভাবে হত্যা ও রক্তাক্ত করছে তা প্রতিহত করতে হলে ফেলানীর এই মৃত্যুর নৃশংসতা সারাবিশ্বের কাছে উপস্থাপন করার জন্য আন্তর্জাতিক ফেলানী দিবস পালন করা এখন সময়ের দাবী।



৭ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ফেলানী দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি



আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতয়ি মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ফেলানী দিবস জাতিসংঘ কর্তৃক পালন করার আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও মহাসচিব মিলন মল্লিক পালন করবে বলে জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই মানবব্নধনে সকল দলমত নির্বিশেষে অশংগ্রহণ করে ফেলানীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

শ্রাবন প্রধান বলেছেন: স্টিকি করা হোক ।
পূর্ণ সমর্থন ।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মধ্যযুগের বর্বরতা
আর কত অকারন মৃত্যুর অভিশাপ নিয়ে বাঙ্গালী টিকে থাকবে
আসুন আওয়াজ দিন
ভারতিয় হিংস্রদের কাল ছোবল থেকে বাঙ্গালী মুক্তি চাই
হিংস্র পশুদের নরবলি বন্ধ হোক
শাস্তি চাই
সবাই একাত্মতা ও মানব বন্ধন ঘোষণা করুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.