![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বাম রাজনীতিক, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সিপাহসালার ও কলম সৈনিক নির্মল সেন মারা গেছেন। রাজধানী ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ল্যাবএইডের পরিচালক ইমরান চৌধুরী সাংবাদিক নির্মলসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই এই উক্তি করে তিনি সর্বমহলে নন্দিত হয়েছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন।
তার মৃত্যুতে সারাদেশ এখন শোকে শোকাহত। এই নন্দিত সাহসী কলম সৈনিকের মৃত্যুতে ৮ জানুয়ারী ২০১৩, এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জিয়া সেনা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান তপন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক নির্মলসেনের মৃত্যুতে সাংবাদিক অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো, তা সহয়ে পূরনীয় নয়।
সাংবাদিক ঐক্যের জন্য তিনি বারা বার তাগিদ অনুভব করেছেন। এই মহান ব্যাক্তির মৃত্যূতে জাতি একজন নির্লোভ দেশপ্রেমিক কে হারালো। নেতৃবৃন্দ তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অনুরুপ শোক বিবৃতি দিয়েছেন জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাতীয় মানবাধকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব মিলন মল্লিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন হুমায়ূন কবির বেপারী সহ প্রমুখ।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বৈচিত্র্যময় জীবনের অধিকারী প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের জন্ম গোপালগঞ্জে। তিনি ১৯৩০ সালের ৩ আগষ্ট কোটালিপাড়া গোপালগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৫৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক দিয়ে তার সাংবাদিকতার শুরু সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক বাংলা। অনিকেত খ্যাত প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। এদেশের দিকপাল সাংবাদিকদের মধ্যে যে কয়জন আছেন, তিনি তার অন্যতম। এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। রাজনৈতিক কারণে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, বার্লিন থেকে মস্কো, মা জন্মভূমি, লেনিন থেকে গর্বাচভ ইত্যাদি। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা উত্তর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিষ্টস, কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের সাবেক সভাপতি।
অনেক নামী-দামী সাংবাদিক তাঁর ছাত্র-ছাত্রী।
তিনি ছিলেন আজীবন অকৃতদার।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭
সেলিম মালিক বলেছেন: khoborti sune sottie khub kosto pelam.
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০
সুনীল সমুদ্র বলেছেন:
নির্মল সেন সম্পর্কে আরো তথ্য-নয়াদিগন্ত রিপোর্ট সূত্র থেকেঃ
নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগষ্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৪২ সাল থেকে। তখন তিনি ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। মহত্মা গান্ধীর ভারত ছাড় আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ১৬ দিন স্কুল গেটে ধর্মঘট করেন।
শৈশব কাল থেকেই নির্মল সেনের লেখা লেখির হাত ছিলো। ৮ম শ্রেনীতে পড়ার সময় হাতে লেখা কমরেড পত্রিকায় তিনি লিখতেন। ১৯৬১ সালে ইত্তেফাক পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় তার কর্মজীবন শুরু হয়। এর পর তিনি ১৯৬২ সালে দৈনিক জেহাদ পত্রিকায় যোগ দেন। পরে ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান, পরবর্তীতে দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। প্রেস ট্রাষ্টের এই পত্রিকাটি বন্ধহওয়ার আগের দিন পর্যন্ত নির্মল সেন এই পত্রিকাই যুক্ত ছিলেন।
১৯৭২-৭৩ সালে নির্মল সেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ১৯৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য।
দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনে নির্মল সেন একাধিক বার জেল খেটেছেন। বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে অনশন করেছেন।
তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্ক, পূর্ব বঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ, মা জন্মভুমি, লেনিন থেকে গর্ভাচেভ, আমার জবানবন্দী, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জীবনে ৭১-এর যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪১
সুনীল সমুদ্র বলেছেন:
শেষ চার ইচ্ছাঃ
তথ্যসূত্র এখানে-
গত ২২ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে নির্মল সেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড় গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে গ্রামের বাড়িতে বসে নির্মল সেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জীবনের শেষ চার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। কংকন সেন ও গোপালগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, নির্মল সেনের জীবনের শেষ ইচ্ছা নিজ বাড়িতে নারীদের জন্য একটি কলেজ নির্মাণ করা। মৃত্যুর পর তিনি কোনো মেডিকেল কলেজে দেহ দান করতে চেয়েছেন।
সাংবাদিকতা পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি কোনো পুরস্কার দেয়া হয়, তা যেন গ্রহণ করা না হয়। বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের আরেকটি ইচ্ছে হলো, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার মৃত্যুর সময় নির্মল সেনকে যে কথাগুলো বলে গিয়েছিলেন, তা বাম রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা। কংকন সেন আরো বলেন, এই চার ইচ্ছা তিনি লিখে রেখে গেছেন।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
সুনীল সমুদ্র বলেছেন:
সংশোধিত তথ্যসূত্রঃ
Click This Link
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
মাছিমারা কেরাণী বলেছেন: লাল সেলাম, কমরেড।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২২
সুনীল সমুদ্র বলেছেন:
একসময় দৈনিক বাংলা পত্রিকায় 'অনিকেত' এর কলাম অনেক পড়েছি। সুস্পষ্ট, ক্ষুরধার লেখনীর জন্য 'অনিকেত' এর কলাম তখন বহুল পাঠকনন্দিত ।
একসময়ে জানলাম- 'অনিকেত' আর কেউ নয়- নির্মল সেন।
...এমন একজন প্রতিভাবান সাংবাদিক-কলামিষ্টের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।