![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
আগামী কাল আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিচারের রায় ঘোষনা, আজ ঢাকার রাস্তায় পুলিশের এপিসি-টহল
-মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিচারের রায়কে সামনে রেখে রাজধানীতে পুলিশি টহল বেড়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে ঢাকার রাস্তাগুলোতে ঘুরে মোড়ে মোড়ে বাড়তি পুলিশের টহল চোখে পড়েছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে পুলিশের সাজোয়া যান। রোববার রাতেই ঢাকার রাস্তায় প্রথম নামানো হয়েছে আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার-এপিসি।
এছাড়াও আগামীকাল কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। দলটি ইতিমধ্যে এই ঘোষনা দিয়েছে। তারা মনে করছে, বিচারকাজ পরিণতির দিকে এগোলেও যুদ্ধা্পরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে | রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যাীলয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার আবুল কালাম আযাদের, যিনি বাচ্চু রাজাকার নামেও পরিচিত, মামলার রায় ঘোষণা করবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে এই আদালতের প্রথম রায়|
এ রায়কে সামনে রেখে ভক্তরঞ্জন ও ফুলমালা বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি দাবী করেছে। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জ্যেষ্ঠ মাসের পয়লা তারিখে সকালবেলা বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল রাজাকার আমাদের বাড়িতে ঢুকে বাবা মাধব চন্দ্র বিশ্বাস ও বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া নগরকান্দার করপাড়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্রকে ধরে নিয়ে যায়। “পরে তাদের দু’জনকে গুলি করে হত্যার পর বাড়ির পাশে ডোবায় লাশ ফেলে রাখে। আমার চোখের সামনে বাবাকে হত্যা করা হয় সেদিন। অনেক অনুনয়-বিনয় করে, হাত-পা জড়িয়ে ধরেও বাবার জীবন রক্ষা করতে পারিনি বাচ্চুর হাত থেকে।” এভাবেই বাচ্চু রাজাকারের হাতে বাবার হত্যার বিবরণ দেন, দুই ভাইবোন ফুলমালা বিশ্বাস (৬৫) ও ভক্ত রঞ্জন বিশ্বাস (৬০)। বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি চান তারা। তবে সোমবার বাচ্চু রাজাকারের বিচারের রায় হবে সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন কথা শুনে ভক্তরঞ্জন বিশ্বাস (৬০) বলেন, “বাবার খুনির বিচার হবে এর চেয়ে খুশি এই বুড়ো বয়সে মৃত্যুর আগে আর কি হতে পারে। তবে, আক্ষেপ এতদিন পুলিশ ইচ্ছা করলে বাচ্চুকে ধরতে পারতো। কিন্তু কি কারণে বাচ্চুকে ধরা হলো না? আর কারাইবা তাকে পালাতে সাহায্য করলো তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।”
আর সাংবাদিক প্রবীর সিকদার দাবী করেছেন Òএকবার নয় তিনশ’বার ফাঁসি হতে পারে বাচ্চু রাজাকারেরÓ
খাড়দিয়ার বাচ্চু
মেলেটারি বাচ্চু
খাড়দিয়ার মেলেটারি
বাচ্চু মেলেটারি
বাচ্চু রাজাকার...
একাত্তরের দিনগুলোতে এইসব নামেই তাকে চিনতো ফরিদপুরের নগরকান্দার সাধারণ মানুষ। এই চিহ্নিত রাজাকার যখন ‘মওলানা আবুল কালাম আজাদ’ নাম নিয়ে কোরআনের তাফসির করার নামে তার অপকর্ম ঢাকতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো তখনই তার স্বরূপ উন্মোচন করে দেই ‘সেই রাজাকার’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে। তারই পথ ধরে আজ কুখ্যাত সেই রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রায় হবে। আমি চাই, এই বাচ্চু রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। তার ফাঁসি হোক।
সরকার দলীয় মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রযুক্তি দিয়েও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় সফল হওয়া যায়নি| “প্রযুক্তি দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এ বিচারকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি, হবেও না। এটি এখন চুড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে জামায়াতের মহিলা আমির হয়ে মাঠে নেমেছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো সামরিক আদালতের রায় নয়, এটা নিয়ে আপিলের সুযোগ আছে। পৃথিবীর যে কোনো মানদণ্ডে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অত্যন্ত স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি যুদ্ধাপরাধীদের জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করলেন| ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির (ঘাদানিক) ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ তুলনা করেন। যুদ্ধাপরাধীরা জানোয়ারের সমান। জানোয়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যেমন নিরপেক্ষতা বজায় রাখা যায় না, তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া যায় না।
যা ই হোক আর যে ভাবেই হোক, আগামীকাল আবুল কালাম আজাদ পলাতক থাকা অবস্থায় তা বিরুদ্ধে রায় ঘোষনার মধ্য দিয়ে মানবতা বিরোধী বিচারের কার্যক্রমের সূচনা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । বর্তমান সরকার কৌশলগত কারনে পলাতক বাচ্চু রাজাকারের উপর রায় ঘোষনা করে বর্তমান জামায়াত-শিবিরের ভূমিকার দিকে তীক্ষè নজর রাখবে। ইতিমধ্যে রায়কে সামনে রেখে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ঢাকা সহ বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূনৃ জায়গা। কোন রকম ঝুকির মধ্যে না থাকার জন্য দলীয় নেতা কর্মীরাও রাজ পথে থাকার ঘোষনা দিয়েছে।
১৯৭১ সালে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তাদের সকলের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। বিরোধী দলও একবারো বলেনি, যুদ্ধ অপরাধিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য বা শাস্তি মওকুফ করার জন্য। বরং বিরোধী দল বিচারকার্যের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সর্বশেষ স্কাইপির মাধ্যমে ট্রাইবুনাল চেয়ারম্যানের কথোপকথন প্রকাশ হওয়ার পর তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিএনপির ও বিরোধী দলীয় ধারনা কার্যত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহন করবে সে বিষয়টিও এখন দেখার সময় হয়ে গেছে। রাজপথে বিশ্বজিতের প্রকাশ্যে হত্যা, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষনে সেঞ্চুরির আত্মস্বীকৃত ছাত্রলীগ নেতা মানিকের বিচার, ১৯৯৭ সালের ২৮শে অক্টোবর পল্টনে লগি বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা, নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান ছানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা, বাকৃবিতে ১০ বছরের শিশু হত্যা, পল্টনে ১০বছরের শিশু ধর্ষন ছাড়াও এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬ জন গুম, রফিকুল ইসলাম মজুমদার সহ সাংবাদিক সাগর-রুনি খুন, ইডেন বিশ্বদ্যিালয় ছাত্রীর উপর এ্যাসিড নিক্ষেপ সহ নানা নির্যাতনের ও নিপীড়নের যে নৃশংস ঘটনা একর পর এক ঘটে চলছে তা মানবতা বিরোধী অপরাধ নয় কি?
এইসব যঘন্য অপরাধের বিচার যদি সরকার মানবতা বিরোধী বিচারের অর্ন্তভুক্ত না করে শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার কাজসম্পন্ন করে তা হলে বর্তমানে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে তা করতে সন্ত্রাসীরা আরো উৎসাহ বোধ করবে। কারন প্রতিদিন খবরের পাতায় দেখাযায় আইনের ফাক ফোকর দিয়ে দেশের শীর্ষ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পাচ্ছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় ফাঁসির আসামীকে রাষ্টপতি কর্তৃক বেকসুর খালাস দিয়ে মুক্তি দিয়েছে। এছাড়াও রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে হত্যা মামলার আসামী, ধর্ষন মামলার আসামী সহ চুরি-ছিনতাই মামলার আসামীরাও রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তি পাচ্ছে এবং তাদের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে।
সরকারের কাছে আমাদের আহব্বান, যারা বাঙলাদেশের জনগনের জান মাল, ইজ্জত, আব্র“র উপর হামলা চালিয়েছে, নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে তারা যে দলেরই হোক না কেন, সকলকে চিহ্নিত করে সকলের বিরুদ্ধেই শাস্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করা উচিত।
পরিশেষে বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সেকথাটিই বলবো “দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, পদ্মা সেতু নির্মান সহ দেশের জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য ” বলি কিংবা কোরবানীর বড়ই প্রয়োজন।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬
বিবেকের দংশনে জাস্টিন বিবার এবং সাঁইবাবার গ্যাংনাম আচার বলেছেন:
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০
ধান শালিক বলেছেন: আজ রাত ঘুমানোর না- অপেক্ষায় জেগে থাকবো- ৪২ বছর পরে ইতিহাসের দায় শোধের। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবে না- ঘাতকের বিচার শেষ হওয়ার আগে।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: যার যে অপরাধ তার সে শাস্তি প্রাপ্য
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সাবাশ। শুনে খুব ভালো লাগছে। রায় কার্যকর করা চাই, আর বিরোধীদের শক্তহাতে মোকাবেলা করা চাই।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬
বাদল দিনের গান বলেছেন: রাজাকারের ফাসি হলে মিস্টি বিতরন করবো।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
মেঘ বালকের কথা বলেছেন: ওর ফাসি চাই না। ওর চামড়া ছাড়িয়ে লবণ মেখে ধিরে, ধিরে মারা হোক। কিন্তু শুওরটা তো পলাতক।
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
চলতি নিয়ম বলেছেন: অনিমেষ রহমান বলেছেন: রায় চাই এবং কার্যকর রায় চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫
অনিমেষ রহমান বলেছেন: রায় চাই এবং কার্যকর রায় চাই।