![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
২৫শে জানুয়ারী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) থাকায় ২৬শে জানুয়ারী বাংলাদেশের কোন সংবাদ পত্র প্রকাশিত না হওয়ায় ১৬ কোটি জনতা গত ২৪ ঘন্টার অনেক স্পর্শকাতর ঘটনা জানা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু যারা নিয়মিত অনলাইন পত্রিকা এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলের সংবাদ দেখেন ও পড়েন তাদের দৃষ্টিতে হয়তো সংবাদ গুলো পড়েছিলো। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় – গত ২৪ ঘন্টায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাড়ে তিন বছরের শিশু থেকে শুরু করে স্কুল ছাত্রী, শিক্ষক কর্তৃক গৃহপরিচালিকা সহ বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্ষিত, লাঞ্চিত, অপহরন ও ধর্ষনের পরে খুনের ঘটনা ঘটেছে যা দেশবাসীকে হয়তো ভাবিয়ে তুললেও সরকারের কর্নকুহুরে কতটুকু প্রবেশ করেছে তা এখন দেখার বিষয়।
সারা দেশজুড়ে ধর্ষনের খবর মহামারি হিসেবে আর্বিভুত হয়েছে। অথচ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা না থাকার কারনে ধর্ষক, লম্পটরা নানা কৌশলে শিশু, কিশোরী ও মহিলাদেরকে ধর্ষন করছে।
একদিনে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম গুলোর সংবাদ শিরোনাম-
“রাজাপুরে ফুফাতো ভাই কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী অপহরণ,
কাজের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ, চবি শিক্ষক আটক,
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা,
কাপাসিয়ায় ‘কাশফিয়া’র পর এবার সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা,
স্কুলছাত্রী চম্পা ধর্ষণ-হত্যা: আসামিদের হামলায় আহত ১০,
ফেনীতে চলন্ত বাসে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি
আবারো রাজধানীর স্বনামধন্য স্কুলে শিক্ষক কতৃক ছাত্রী ধর্ষণ”
খবরের বিবরনে জানা যায়,
(রাজাপুরে ফুফাতো ভাই কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী অপহরণ)- ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ইন্দ্রপাশা গ্রাম থেকে লামিয়া আক্তার (১০) নামে ৫ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ফুফাতো ভাই মামুন হোসেন (২০) লামিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লামিয়া ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ও সৌদি প্রবাসী ইসরাফিল হাওলাদারের মেয়ে।
লামিয়ার মা মাকসুদা বেগম জানান, শুক্রবার সকালে ঝালকাঠি থেকে লামিয়ার দাদাবাড়িতে মাহাফিল উপলক্ষে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মেয়েকে ঘরে রেখে পার্শবর্তী ঘরের গেলে একই উপলক্ষে সাউদপুরা গ্রাম থেকে বেড়াতে আসা ফুপাতো ভাই মামুন হোসেন ডেকে লামিয়াকে ঘরের বাইরে নিয়ে অপহরন করে। পরে অনেক খোঁজাখুজির পরও লামিয়া বা মামুনের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
মাকসুদা বেগম আরো বলেন, ‘মেয়ে অপহরনের পর পরই আমি রাজাপুর থানার ওসি স্যারকে ফোনে বিষয়টি জানালে সে আমাকে ধমক দিয়ে মেয়ে কারো সাথে না গেলে কি জোড় করে কেউ নিতে পারে বলে ধমক দিয়ে ফোনটি কেটে দেন।’
রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, মেয়ের মা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছে। তবে তাকে আমি কোন ধমক দেইনি। ঘটনার পরপরই পুলিশ আসলাম হোসেনের পুত্র অভিযুক্ত মামুন কে ধরতে ব্যাপক তল্লাশী শুরু করেছে। এমন কি মামুনের হদিস না পাওয়ায় তার মা মেলনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। আর ছাত্রীকেও উদ্ধারের জন্য তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি দাবী করেন।
(কাজের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ, চবি শিক্ষক আটক) - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কাজের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের নাম চন্দন কুমার পোদ্দার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখান বিভাগের অধ্যাপক। জানা গেছে, চন্দন কুমার পোদ্দার তার বাসার কাজের মেয়ে শুক্লা (১৫) কে শুক্রবার বিকেলে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা কাজের মেয়ে শুক্লা, চন্দন কুমার পোদ্দারের স্ত্রী বাহির থেকে বাসায় ফিরলে তাকে বলে দেয়। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী ও কাজের মেয়ে বিকেলে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ চন্দন কুমার পোদ্দার কে লালখান বাজারের বাসা থেকে আটক করে।
খুলসি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। মেয়েটি জানিয়েছে ওই শিক্ষক তাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে, ভয়ে এতোদিন সে কাউকে বলেনি।
(এবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা) - কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের জহুরাগঞ্জ গ্রামের একটি পুকুর থেকে গত শুক্রবার বিকেলে হাসিয়ারা খাতুন হাসির (১১) নামের এক শিশু স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর আজ শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাকে ধর্ষরে পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার এ ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল এব্যাপারে নিহতের মা নাজেরা খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহির হোসেন ও ভেড়ামারা দৌলতপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সিএ হালিম লাশ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিশু হাসিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে তাকে কোন ধর্ষনের আলামত পায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে হাসিয়ারা খাতুন তার মায়ের কর্মস্থল জনৈক হাবলু মোল্লা ইটভাটায় দুপুরের খাবার দিয়ে ফেরার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বিকেল ৪টার দিকে ঐ ইটভাটার পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হাসি খাতুন স্থানীয় ইউসুবপুর রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
(কাপাসিয়ায় ‘কাশফিয়া’র পর এবার সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা) -‘কাশফিয়া’ (বাংলানিউজের ছদ্মনাম) ধর্ষণের ঘটনার মাত্র কয়েকদিন পর আবারও গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার উজুলী গ্রামের দিঘিরপাড় এলাকায় আখক্ষেতে ডেকে নিয়ে সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এবারও স্থানীয় প্রভাবশালীরা শিশুটির পরিবারকে থানায় যেতে বাধা দিচ্ছেন।শনিবার বিকেল ৪টায় শিশুটির খালাম্মা জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে প্রতিবেশী বিপ্লব মিয়া সাড়ে ৩ বছরের শিশুটিকে বাড়ির পাশে আখক্ষেতে আখ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়।
এর পর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার দেয়। এসময় এলাকাবাসী ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।মেয়েটির খালাম্মা বলেন, “শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় মাতবররা আমাদের থানায় যেতে দিচ্ছেন না।”
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি সত্যি। তবে বাদীপক্ষ মামলা করতে চাইছেন না।”
(স্কুলছাত্রী চম্পা ধর্ষণ-হত্যা: আসামিদের হামলায় আহত ১০) -ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী চম্পা ধর্ষণ ও হত্যার আসামি ও তাদের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করলো চম্পার ভাই, চাচাসহ ১০ আত্মীয়কে। তাদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বহুল আলোচিত মেধাবী স্কুলছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকেই মামলার বাদী চম্পার ভাই হাসিবুলকে প্রধান আসামি শামীমসহ অন্যান্য আসামি ও তাদের সহযোগিরা অব্যাহতভাবে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। চম্পার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছিল যে কোনো সময় চম্পার পরিবারের ওপর হামলা হতে পারে।
দুই সপ্তাহ আগে হাসিবুল কোতয়ালী থানায় এই মর্মে একটি জিডিও করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার বিকেলে আসামি পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মামলার বাদী চম্পার ভাই হাসিবুল, আরেক ভাই কাশেম, আরিফ হোসেন, চাচা আলমগীর মিয়া, হুমায়ুন শেখ, হানিফ মিয়া, চাচাতো বোন তাসলিমা বেগম, চাচী মাজেদা বেগমসহ ১০ জনকে। তাদের সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ ও র্যা ব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে তারা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কোতয়ালী থানার এসআই অখিল বিশ্বাস জানান, আমরা ঘটনাস্থলসহ আশেপাশে হামলাকারীদের খুঁজেছি, ঘটনার পরপরই তারা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর স্থানীয় পোরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পাকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে রাতে কৌশলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে শামীম ও তার সহযোগিরা। লাশ একটি মেহগনি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
(এবার ফেনীতে চলন্ত বাসে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি) - মানিকগঞ্জের পর এবার ফেনীতে চলন্ত বাসে এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত বখাটেকে কানধরে উঠবস করে ছেড়ে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে দাদীকে সঙ্গে নিয়ে সদর হাসপাতাল মোড় থেকে টাউন সার্ভিসযোগে শহরের আদালত পাড়া সংলগ্ন খাজুরিয়া এলকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আসছিল ওই স্কুলছাত্রী। বাসটি বারাহিপুর রেল ক্রসিং পার হলে বাসে অবস্থানকারী এক বখাটে মেয়েটির গায়ে হাত দেয়। মেয়েটি তার শরীর থেকে হাত সরিয়ে দেয়ার পর আবার হাত দিলে মেয়েটি জোরে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। বাসের অপরাপর যাত্রীরা বিষয়টি দেখে তৎক্ষণিক গাড়িটি থামিয়ে ওই বখাটেকে মারধর করে কানধরে উঠবস করায়।
এতে ওই বখাটে ক্ষিপ্ত হয়ে লালপোল গিয়ে গাড়ির হেলপার রিয়াদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বাস চালক হারুন ও মালিক সুনীল দেবনাথ বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। বখাটের বাড়ি শহরের বারাহীপুর এলাকায় বলে স্থানীয়রা জানান।শ্লীলতাহানীর কথা স্বীকার করে বাস চালক হারুন জানান, ওই বখাটেকে যাত্রীরা কানধরে উঠবস করে ছেড়ে দিয়েছে।
(আবারো রাজধানীর স্বনামধন্য স্কুলে শিক্ষক কতৃক ছাত্রী ধর্ষণঃ) - গত ১৪ বা ১৫ জানুয়ারী তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ইংরেজি শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষিত হয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (এবারের এসএসসি’র এক পরিক্ষাথী)। মেয়েটি ঘটনাটি প্রথমে স্কুলের ভিপি ম্যাডামকে (তাহমিনা শামসী) ও তার অবিভাবককে জানায়। ভিপি ম্যাডাম ঘটনা শুনার পর তাকে শাসিয়ে বলে এ কথা যেন কোনভাবে প্রকাশ না পায়। ঘটনাটা তার দু’এক জন ঘনিষ্ট বান্ধবীকে জানিয়েছে। যখন ভিপি ম্যাডাম এর কথা তার বান্দবীরা শুনে তখন তাদের কেউ একজন ঘটনাটি ফেইজবুকে দিয়ে দেয় কিন্তু একদিন পর তার ফেবু আইডি উধাও হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু ছাত্রী ও শিক্ষক/শিক্ষিকা ব্যাপারটি যেনে যায়। এই শিক্ষকই ক্লাস সেভেন এইটের মেয়েদের নোংরা SMS পাঠায় বলে জানতে পারি। ধিরে ধিরে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে।
মেয়ের অভিবাবক সম্ভবত পুলিশকে জানায়। পুলিশ সাংবাদিকসহ স্কুলে গেলে প্রিঞ্চিপাল কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার পুলিশ ও সাংবাদিককে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রিঞ্চিপ্যাল সাহেব ঐ মেয়ের অভিবাবককে কোনভাবে ম্যানেজ করে নেয় হয়তো স্কুলের সুনাম রক্ষারতে অথবা তার চাকরী রক্ষার্তে। এই ঝামেলায় জড়ালে তার চাকুরি ও প্যানশন পাওয়ায় ঝামেলায় পড়বে।
প্রিঞ্চিপাল সাহেব স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই মর্মে ধমকি দেয় যে, কোন অবস্থায় কারো মাদ্ধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ পেলে বা মিডিয়ায় প্রকাশ করলে তার চাকরী যাবে। আমি নিজে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার সাথে কোথা বলতে অপারগতা জানায়। একজন বলে ঐ মেয়ের স্বভাবও খারাপ ছিলো। আর একজন বলে, আপনার সাথে কথা বলে নিজের চাকরী হারাতে চাই না।
গত ২৪ তারিখে অভিবাবক দিবসে অধ্যক্ষ অভিবাবকদের তোপের মুখে পড়ে। আবিভাবকরা প্রিঞ্চিপ্যাল কে অকথ্য ভাষায় আক্রমন শুরু করলে উনি করজোর ক্ষমা চেয়ে সবাইকে অনুরোধ করে ব্যাপারটা যেন মিডিয়ায় না যায় এবং তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিলোঃ ঐ ধর্ষক শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, সিসি ক্যামেরা বসানো, ওয়াসরুমের সামনে আয়া রাখা, পুরুষ শিক্ষকদের রুমের সামনে আয়া রাখা ইত্যাদি। কিছু কিছু অভিবাবক মোবাইলে ঐ মিটিং এর ভিডিও করলে তাদের মোবাইল ফোন কেডে নেওয়া হয়। পরে মেমোরী কার্ড খুলে ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
আজ কতৃপক্ষ নোটিস বোর্ডে এই নোটিসটি এঁটে দেয়ঃ
১। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সকল ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষককে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ করতিপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও শিক্ষকসুলভ আচরনের পরিপন্থি কাজ করাতে তারকচন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষককে তার চাকুরী থেকে Dismiss করা হয়েছে।
২। সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য বিষয়টি জানানো হোল।
সাক্ষর
কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার
************
আর কত ধর্ষন, খুন, গুম হলে সরকারের সুমতি ফিরে আসবে? ২৭শে জানুয়ারী মহান জাতীয় সংসদের নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ঐ অধিবেশনে সরকার কি পারে না ধর্ষকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড আইন কার্যকর করে সংসদে সর্বসম্মতি ক্রমে অনুমোদন করাতে?
আমরা আর কোন ধর্ষনের খবর শুনতে চাই না। চাই না মেঘের চোখের কান্না দেখতে। চাই না এম ইলিয়াস আলীর শিশু মেয়েটির কান্না ভেজা কন্ঠে চিৎকার করে ঈদে আমি পোশাক চাই না, চাই আমার প্রিয় বাবাকে। রফিকুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রী জানলেও তার শিশু সন্তান এখনো জানে না তার বাবা আর কোন দিনও ফিরে আসবে না। বর্তমান সময়ের বিভৎস পুরান ঢাকার ৯ই ডিসেম্বরে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎত হত্যার সেই দৃশ্য এখনো চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
ভেসে উঠছে পল্টনের ১০ বছরের শিশু রিমির ধর্ষিত হওয়া বাথরুমে পড়ে থাকা লাশ। বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের শিকার হওয়া ১০ বছরের নিরপরাধ শিশু। সে তার মাকে যাবার আগেও চিৎকার করে বলছিলো “মাগো- আবার গোলাগুলি শুরু অইছে, আমি দাদীরে ডাকবার গেলাম”। তার প্রিয় দাদী ফিরে এলেও সে ফিরে এসেছে রক্তাক্ত লাশ হয়ে।
সাভারে ছাত্রলীগের গুলিতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে যুবলীগের নেতা। টাঙ্গাইলে আওয়ামীলীগ নেতার রক্তের দাগ রাজ পথ থেকে এখনো শুকায়নি। তার স্ত্রী বিলাপ বকে বলেছে, “আমার স্বামী দলীয় লোকদের হাতে বলির শিকার হয়েছে”।
আর কত হত্যা, ধর্ষন, গুমের খবর শুনতে হবে? আমরা নতুন করে কোন হত্যা গুম আর খুনের খবর শুনতে চাই না। চাই নির্মল সেনের ভাষায় “স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি”।
সম্পাদনায়
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা,
চেয়ারম্যান,
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: লিখতে থাকুন,অপরাধীরা যেন অপরাধ আর লুকাতে না পারে।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নুসরাতসুলতানা বলেছেন: লিখতে থাকুন,অপরাধীরা যেন অপরাধ আর লুকাতে না পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
রাজ্জাক বলেছেন: I m sure they all r Awamilig/Chhatralig/dhorshoklig.