নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের জন্য ভালবাসা

কলম সৈনিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা আর দেশের জন্য কিছু কাজ করা এই অঙ্গীকার নিয়েই পথ চলা....

মঞ্জুর হোসেন

নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার

মঞ্জুর হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার তোরা মানুষ হ…

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২



আজ বরিশাল থেকে এসে, সন্ধ্যার পর একুশের বই মেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে ভেবেছিলাম বরাবরের মত অনেক ভির হবে। কিন্তু তেমন ভির দেখলাম না তাই বই মেলা ঘুরে কৌতুহল বশতঃ শাহবাগ চত্তরের দিকে গিয়েছিলাম। টিএসসি মোড় যেতেই দেখলাম বাম ঘরানার ২৫ থেকে ৩০জন কিশোর কিশোরী মশাল জ্বেলে যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে শাহবাগের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে। আমিও তাদের পাশাপাশি সামনের দিকে এগুচ্ছিলাম।



যতই যাচ্ছি ততই দেখছি ১৫-২০ জনের কিংবা ৩০-৩৫ জনের গ্রুপ বানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্লগারদের সংগঠন মোমবাতি জ্বালিয়ে নানা বাদ্য বাজিয়ে যুদ্ধ অপরাধীদের ফাসিঁর দাবীতে কেউ গান করছে, কেউবা শ্লোগান দিচ্ছে আবার কেউবা তাদের এইসব প্রতিবাদের অভিনব দৃশ্য অপলক চোখে দেখছে। পাবলিক লাইব্রেরী ও যাদুঘরের পর থেকে সেখানে যাদুঘরের সামনে বড় বড় ডেকচি এনে রাতের খাবারের যোগারযন্ত্র করছে আবার কেউবা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাপা পিঠা, চটপটি খাচ্ছে আবার কেউবা চা-সিগারেট পান করছে।



রাস্তার অপর দিকেই ছবির হাট, সেই হাটেও অনেক ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের দাবীতে। গত দুদিন শাহবাগ চত্তরে সাউন্ডবক্স লাগিয়ে মাইক বাজিয়ে চিৎকার করে শ্লোগান দিচ্ছে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চাই। পাশ থেকে এক ভদ্রলোক আস্তে আস্তে করে বলছে, তারা একজনের ফাঁসির দাবীতে যে চিৎকার করছে সেই চিৎকারের আওয়াজে পিজি হাসপাতাল ও বারডেম হাসপাতালের অজস্র রোগীরা আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে, সে বিষয়ে কারো কোন দায়িত্ব নেই।



যে যার মত চিৎকার করেই তাদের আন্দোলনকে শানিত করছে। তাদের মঞ্চে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করে কড়া বক্তব্য দিচ্ছে। সেই তালিকায় আওয়ামীলীগের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে ছাত্র লীগের সোনার ছেলেরা রয়েছে। বর্তমান সরকার বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে মানবতা বিরোধী বিচার কাজ করছে। কদিন আগে বাচ্চু রাজাকারের অনুপস্থিতিতে তার ফাসিঁর রায় ঘোষনার সাথে সাথে বাম ঘরানার পাশাপাশি আওয়ামী ঘরানার যে উল্লাশ জাতি দেখেছে তা এখনো অনেকের মনে থাকার কথা।



জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ফরিদপুরের কাদের মোল্লার রায় ঘোষনার একদিন আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা দেশদ্রোহী। আর যখন কাদের মোল্লার যাবত জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষনা হয়েছে, তিনি সহ এ রায়ে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সমালোচনা করেছেন। সাথে সাথে শাহবাগ চত্তরে প্রথমে ব্লগার রা পরর্বতীতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এই রায়ের বিরোধীতা করে কাদের মোল্লার ফাসিঁর দাবীতে শাহবাগ চত্তর তাহরীর স্কয়ার করার ঘোষনা দিয়েছে।



আজ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকেও ফলাও করে শাহবাগ চত্বরের আন্দোলন কারীদের ছবি ও নিউজ লীড করা হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারী চ্যানেল সহ রাষ্ট্রীয় চ্যানেল গুরুথ্ব সহকারে লাইভ সহ ধারাবাহিক সংবাদ প্রচার করছে। ফলে সংবাদের শিরোনাম হওয়ার জন্য এবং বিভিন্ন পত্রিকা ও চ্যানেলে নিজের ছবি প্রচার পাওয়ার জন্য অনেকে শাহবাগে ব্যানার বানিয়ে ১৫-২০ জনের দল গঠন করে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে খাবার কোন চিন্তা নেই, কে বা কারা একের পর এক উদ্দোগ গ্রহন করে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী রাতে খিচুরীর আয়োজন করেছে। ৭ই ফেব্রুয়ারী দুপুরে হাজার হাজার প্যাকেট লাঞ্চের ব্যবস্থা করেছে আর রাতে আবারো বড় বড় ডেকচিতে খাবারের আয়োজন ধুমধাম ভাবে চলছে।



যে যেপাশ থেকে পারছে সকলে মিলেমিশে একাকার হয়ে যুদ্ধ অপরাধের বিচারের দাবীতে লুটিয়ে পড়ছে। সরোয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতেই দেখাগেল ভিন্ন দৃশ্যপট। সেখানে অনেকেউ ছেলে মেয়ে একসাথেই সিগারেট আর গাজা খেয়ে এলাকাটা অন্ধকার বানিয়ে ফেলেছে আর চারপাশে শতশত ফেন্সিডিলের খালি বোতল চোখে পড়ছে। এই আন্দোলনের সুযোগে এক শ্রেনীর অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ জোন হিসেবে সরোয়ার্দি পার্ক কে বেছে নিয়ে সেখানে একচেটিয়া র্যা ব ও পুলিশের করা বেষ্টনির মধ্যেও ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার মধ্যে বাড়তি যুক্ত হয়েছে ভাসমান শত শত পতিতা। তারাও এই স্থান টিকে নিরাপদ মনে করে বিভিন্ন স্থানের ভাসমান পতিতারা এখানে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ভাবে আগত সাধারণ মানুষদেরকে তাদের শিকারে পরিনত করছে।



সবকিছু মিলে শাহবাগ চত্তর পরিনত হয়েছে অন্ধকারের এক অমানিশা আলোক বর্তিকার আলো আধারিতে। নতুন প্রজন্মরা তাদের দেশ প্রেমের আবেগে অনেকে ছুটে এসে অপ্রত্যাশিত ভাবে জড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন অপরাধে। প্রেমের ফাদে ফেলে কেউ কেউ বড়লোকের বখে যাওয়া ফার্ষ্ট লাইফ লিড করা সোনার ছেলেদেরকে সহযে তাদের মেধাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের মেধা আসলে কি ভাবে ব্যবহার হচ্ছে, কার জন্য ব্যবহার হচ্ছে, কাদের স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে এই প্রশ্নটি এখন ঘুরে ফিরে সামনে উঠে এসেছে।



একুশের বই মেলাকে সামনে রেখে হাজার হাজার বই প্রেমিক মানুষ বই মেলার দিকে ছুটে এলে যাওয়ার পথে কৌতুহল বশত যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসির আন্দোলন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কারনে সেখানে লোকসমাগম ব্যাপক হচ্ছে। আর এই সুযোগে এক শ্রেনীর মিডিয়া তাদের ছবি প্রদর্শন করে সারা জাতির সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, শাহবাগ চত্তর এখন তাহরির স্কয়ারে পরিনত হয়েছে।



এখন প্রশ্ন হচ্ছে ৩৯ বছরের স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তাহরির স্কয়ারের সৃষ্টি হয়েছিলো এবং সেখানে স্বৈর শাসকের পতনও হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে যে সরকার আবার তাদেরই গঠিত ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছে আবার তারাই সেই রায়ের বিরুদ্ধে তাহরির স্কয়ার করার পায়তারি করছে। বিষয়টি একটু ঘোলাটে কি মনে হচ্ছে না। ইতিমধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে আওয়ামীলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, প্রয়োজনে হরতাল দিবো। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে ক্ষমতায় কোন সরকার রয়েছে। কাদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ হরতাল আহব্বান করবে?



গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না। প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?



কাদের মোল্লার যারা ফাসি চান, আমি তাদের দলের বাইরে নই।পাশাপাশি আমি বিশ্বজিৎ এর খুনিদেরও ফাঁসি চাই। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নূর বাবুর খুনীদের ফাসিঁ চাই। ফাসিঁ চাই যারা ধর্ষন করেছে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে, টাঙ্গাইলের কলেজ ছাত্রীকে।



পরিশেষে বলতে চাই, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে রাজপথে নেমেছেন, প্রথমে তাদের নামা উচিৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে এবং আগামী নির্বাচনে যারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষনা করবে সকল মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বাংলার মাটিতে নিশ্চিত করবে। নতুন প্রজন্ম মূল্যবান ভোটের রায় তাদের পক্ষেই ঘোষনা করবে। এই হোক আগামীর প্রত্যাশা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২

আনাম বলেছেন: তুই রাজাকার...

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না? প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২

বিভ্রান্ত নাগরিক বলেছেন: ইস, লেঞ্জা বাইর হয়ে পড়ছে!!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না? প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

প্রবাসী১২ বলেছেন: কাদের মোল্লা নাকি ৭৫এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশনে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়েছে, সে নাকি ৭৪-৭৫এ উদয়নে শিক্ষকতা করেছে, সে নাকি প্রেসক্লাবে ৫বার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছে?
এ তথ্যগলো সঠকি কিনা। এগুলো যদি সত্যি না হয়, তাহলে যারা এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: এ বিষয়ে আমার সঠিক তথ্য জানা নেই।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

লুকার বলেছেন:
বাংলায় লেখলেন কেমনে? উর্দুতে লেখেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: আমি বাংলাদেশী, বাঙ্গালী তাই মায়ের ভাষায় লিখতে ভালোবাসি।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন: সত্য লিখা যাবে না!

তাহলে আপনি ছাগু...

দেশটা হেগো ...আব্বার!

মতের সাথে না গেলে ছাগু...

বলি..তোরা মানুষ হ!

যদিও গঞ্জিকাসেবীরা দেশ ও জাতি উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না? প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ম তে মঞ্জুর ...
তুই রাজাকার,তুই রাজাকার ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না? প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

মঞ্জুর হোসেন বলেছেন: পক্ষে বিপক্ষে অনেকেই মত দিয়েছেন, কিন্তু কতজন সবটুকু লেখা পড়ে মন্তব্য করেছেন তা আমি জানি না। তবে এই টুকু বুঝি আমাদের দেশের অধিকাংশই হুজুগে পাগল। অনেকটা টেলিভিশনের ঐ বিজ্ঞাপনের মত "হরলিক্স কেন খাও? -বা খায়, মা খায় আর আমি এমনি এমনি খাই।"

যে দেশে ভালবাসা দিবসের নামে আমাদের বোনদের ধর্ষিত হতে হয়, পুলিশ হওয়ার পরেও আওয়ামী ধর্ষকদের হাত থেকে বাচা যায় না সে দেশে একতরফা রাজাকারের বিচার চাইলে একসময় আপনিও তাদের অর্থাৎ আওয়ামী রোষানলের শিকার হতে পারেন।

এখন সব কিছু মিলে প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামীলীগ এবং তারাই গঠন করেছে বর্তমান ট্রাইবুনাল এবং মানবতা বিরোধী বিচারের রায় তাদের প্রেসক্রিপশনেরই ফসল। প্রথমে যারা এই অন্যায় করার পথ প্রশস্ত করেছে তাদের খেয়ে বনের কতটুকু মহিষ তাড়াতে পারবেন তা এখন ভেবে দেখার সময় হয়েছে।

১৯৭৮ সলের ১লা মার্চ জন্মগ্রহন করার পর ১দিনও জামায়াত শিবিরের পক্ষে শ্লোগান না দিয়েও নিজের উপলব্ধির কথা লেখার কারনে যদি রাজাকার উপাধি পেতে হয় তবে আমি চিৎকার করে বলবো আমি রাজাকার বলছি। তবে সেই রাজাকার যারা আমার মা মাটির সাথে প্রতারনা করে, আমার বোনকে ধর্ষন করে, আমার ভাইকে খুন করে ও বন্ধুকে গুম করে। সে যে দলেরই হোক না কেনো, যে গোষ্ঠিরই হোকনা কেন, আমি তার ফাঁসি চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.