![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগটি আইসিটি আইনের ৩(২)(ক) ধারার অধীনে একটি অপরাধ। এ ধারায় তার বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যা, গুম, ধর্ষণসহ নানাধরনের অপরাধ এই ধারার অন্তর্ভুক্ত।
গত মঙ্গলবার যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় ঘোষিত হওয়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা। যাবজ্জীবন নয়, মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে এমন দাবিতে অবস্থান নেয় হাজারো জনতা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে হবে এবং সেখানে কোন 'কিন্তু' নাই। সেই বিচার এত বছর হল না কেন সে প্রশ্ন করারও সময় নাই। বিচার যেহেতু একবার শুরু হয়ে গেছে, সেটা কোন অজুহাতে বন্ধ করারও কোন কথা নাই। কথা শুধু একটা, সব রাজাকার ধরা হলে এই আওয়ামী লীগ করা তিন খুনী-ধর্ষক রাজাকারকে ধরা হয় না কেন? হাসিনা একবার এসে বলুক যে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিমল হালদারের কথাগুলো সব মিথ্যা?
Click This Link
সেই বিক্ষোভ এখন শুধু শাহবাগ নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে জেগে উঠেছে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। অসীম সাহসিকতায় দৃঢ় প্রত্যয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি উঠছে স্লোগানে, বক্তব্যে, মশাল মিছিল, প্রদীপ প্রজ্বলন ও বিক্ষোভে। চলছে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ।
কেউই তাদের ডাকেননি। কেউই বলেননি সব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআওয়াজ তুলতে। প্রত্যেকে ছুটে এসেছেন চেতনার টানে। আজ বিকেল ৩ টায় শাহবাগেই অনুষ্ঠিত হবে মহাসমাবেশ।
___________________________________________________________________
আরো কিছু প্রমানিত রাজাকারদের তালিকাঃ - যারা বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক হয়ে আছেন ________ বহাল তবিয়তে। শাহবাগ স্কয়ারে কি তাদের বিরুদ্ধে লাখো মানুষের স্রোত কোন বক্তব্য দিবে?
তারা হলোঃ----
১। লে.কর্ণেল (অব ফারুক খান: বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ব শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালন এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা ও নিরীহ নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ব” বই।
২। মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর – ৩ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদদের গঠিত করে মুক্তিযোদ্বাদের বিরুদ্বে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্বে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপরের মুক্তিযুদ্ব ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের এই নেতা নিজের নাম থেকে গোলাম শব্দটি বাদ দেন।
৩। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। ফরিদপুরে রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম আছে।
৪। মুসা বিন শমসের: গত ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাম করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলের জন্য ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেই বলছেনা কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের শ্বশুর। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যুদ্বাপরাধীর তালিকার ক্রমিক নম্বরে ৫৯৫ তে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুর“ত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।
৫। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগীতা ও মুক্তিযোদ্বাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই য়াকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয় । একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদ ও আশাসম বাহিনীকে সর্বাতক সহযোগীতা করেছেন। । অ্যাডভোকেট কামর“ল ইসলাম মুক্তিযুদ্বের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্বাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্বে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগীতা করেন। মুক্তিযুদ্বের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মুজিবর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ প্রতিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামীলীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে মুক্তিযুদ্বে ইসলামী দল শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
৬। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বের সময় রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্বাপরাধের তালিকায় (ত্রমিক নংং ৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈকি ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে যুদ্বাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের র্মত ওয়াহেদ আরী মন্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্বা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোসলেম উদ্দিন স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, দালাল, যুদ্বাপরাধী, জঙ্গি, দেশদ্রোহী ও আইন অমান্য কারী লোক। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ও তার বাহিনী ১৯৭১ বালের ২৭ জুন দুপুর ২টায় জালাল উদ্দিনের বাড়ি লুন্ঠন করে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় মুক্তিযুদ্বা আব্দুর রাজ্জাক , আবদুস সালাম, আবদুস মান্নানের বাড়িসহ ৪/৫টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর পুড়িয়ে দেয়। ৭১ সালের ২০ জুন এ বাহিনী ফুলবাড়িয়া কুশমাইল এলাকার বসু উদ্দিন, ১২ জুর ফুলবাড়িয়ার আ:মজিদ এবং ২৯ নভেম্বর ভালুকজান এলাকার তালেব আলী, সেকান্দার আলী ও আলতাফ আলীকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিবাদীরা ২১ নভেম্বর শহীদুল্লাহ মাস্টার ও ছবেদ আলীকে হত্যা করে।
৭। এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য , আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মাছ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্বের বিরোধী কর্মকার্ন্ডে সহযোগীতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মাসিক ‘সহজকথা’ আয়োজিত “যুদ্বাপরাধের বিচার: বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহামান যুদ্বের সময় টাঙ্গালের এ ডি সি ছিলেন। আমি যে দিন টাঙ্গাইল দখল করি তার পরদিন টাঙ্গাইল মাঠে আমাদের একটা জনসভা ছিল। আমার মঞ্চের সামনে এ ডি সি হিসেবে বলেছিলেন। তার ছবি এখনো আমার কাছে আছে।
৮। মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাদপুর ১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্বায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকুরি করে মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। এ এসম এ আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টার মুক্তিযুদ্বের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৯। মাওলানা নুরুল ইসলাম : জামালপুরের সাবেক সংস ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সসিষাবাড়ী এলাকার রাজাকর কমান্ডার ছিলেন। তার নিতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিয্দ্বু বিরোধী সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ ” গ্রস্তের ৪৫ পৃষ্টায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এছাড়া দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত গত ২৮ এগ্রিলের একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে
________________________________________________________________
গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না? প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?
পরিশেষে বলতে চাই, সদা সত্য কথা বললেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়ে। মানবতা বিরোধী রাজাকারদের বিচার ও ফাসির দাবী চলছে, তাই না। শুধুমাত্র কাদের মোল্লার ফাসির জন্য না। কিন্তু ঐ মঞ্চ থেকে একবারো বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার দাবী করা হয়নি। সাড়ে তিনবছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, সে বিষয়ে কোন কথা বলা হয়নি। পুলিশ ধর্ষিত হয়েছে ছাত্রলীগের হাতে সে বিষয়ে কেউ মুখ খোলেনি।
বাকৃবিতে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের গুলির শিকার হয়ে মারাগেছে ১০ বছরের শিশু রাব্বি, এই হত্যার বিচার ও কেউ চায়নি। পল্টনে বাথরুমে ধর্ষিত হয়ে ১০ বছরের শিশু রিতুর লাশ পড়েছিলো। সে ব্যাপারে কেউ কথা বলে নি। ৪০ বছর আগে কি হয়েছে তা নিয়ে চিৎকারের অভাব নেই তাও গুটি কয়েক (৫-৭ জন) রাজাকারের বিচারের জন্য। রাজাকার কি মাত্র এই কয়জনই ছিলো?
পাশে আমার বোন ধর্ষিত হচ্ছে, আমার ভাই গুম হচ্ছে, আমার বন্ধু খুন হচ্ছে আর তার পর হয়তো আমার পালা। আর আপনি বলছেন প্রতিবাদ না করে শাহবাগে গাজার আসরের পাশে ধোয়ানিয়ে শ্লোগান দিলেই আমার দেশপ্রেমের পরিচয় হবে।
আমি ভূয়া, মেকি দেশপ্রেমিক হতে চাইনা। হতে চাই সত্যিকার দেশপ্রেমিক নাগরিক।
©somewhere in net ltd.