![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক যা কিছু সত্য বলে তা অকপটে স্বীকার করা এবং লিখে অন্যকে জানানোই আমার অঙ্গীকার
‘আর কোনো দাবি নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই’, ‘রাজাকার বাংলা ছাড়, রাজাকার বাংলা ছাড়’, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ এসব হাজারো স্লোগান শোনা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠে।
চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে শাহবাগের জনসমাবেশ। শাহবাগ চত্বর থেকে দোয়েল চত্বর, মৎস ভবন, শিশুপার্ক, রুপসী বাংলা হোটেল, কাঁটাবন মার্কেট এলাকা লোকে লোকারণ্য। এই নজিরবিহীন গণজমায়েত আরো বেড়েছে।শাহবাগ চত্বরের রাজাকার বিরোধী এই মহাসমাবেশ শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত ও চরমপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে। সমাবেশ স্থলে ছিলেন ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
বিঃদ্রঃ এখানে তো দেখছি সব বামপন্থী নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ কোথায়?
মহাসমাবেশে পালাক্রমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়েছেন সকল নেতারা।মিছিল নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনসভাস্থলে এসেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার, ফেস্টুন, কার্টুন, ঝাড়ু, ঢোল, করতাল, বাঁশির বাদ্যবাজনায়, গণ স্লোগানে শাহবাগ এখনো মুখরিত। শাহবাগে আন্দোলনরত লাখো মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে ঝাড়ু হাতে হাজির হয়েছেন কয়েক’শ তরুণী। ঝাড়ু উঁচিয়ে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন রাজাকার, আলবদরদের। রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাওয়া থেকেই তাদের ঝাড়ু নিয়ে এ চত্বরে প্রবেশ। লাখো মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠে একটিই দাবি, ফাসিঁ চাই।অগণিত মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গণসঙ্গীত। জনসমাবেশ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলছেন, “আপনারা বিচার করতে না পারলে, জনগণই রাজাকারদের বিচার করবে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা। জনসমুদ্রে রূপ নেওয়া এই মহাসমাবেশে আসা মানুষেরাই এখন এর শক্তি। ধীরে ধীরে এই শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে পুরো নগরীতে, দেশের নানা প্রান্তে। শুধু রাজধানী নয়, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের জাগরণে জেগে উঠেছে পুরো দেশ। দেশের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই শাহবাগ চত্বর। ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, চিকিৎসকসহ শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছে এই সমাবেশে। সময় যত গড়াচ্ছে মানুষের ঢলও বাড়ছে। জনস্রোতের বাধ ভাঙা জোয়ারে প্লাবনের মতো ছড়াচ্ছে চারদিক।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গণজাগরণ মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সেক্টর কমান্ডার মে. জেনারেল (অব.) শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, লেখক আনিসুল হক, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান।
এদিকে একদিনে শত শত মানুষকে যে হত্যা করেছে, সেই কুখ্যাত কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দেওয়ায় দেশের নতুন প্রজন্ম রাস্তায় নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। এসময় তিনি বলেন, “তারা (আন্দোলনকারীরা) কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, জাতির বিবেক।” “নতুন প্রজন্ম কোনো ভাবেই এ রায় মেনে নিতে পারছে না। ঢাকার শাহবাগে লাখো মানুষের দল নেমেছে। তাদের দাবি একটাই কাদের মোল্লার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।” শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাইয় উপজেলার রাজানগর বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহবাগ চত্তরে মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার যে রায় দিয়েছেন এ রায়ে ১৬ কোটি মানুষ ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে আনু মোহাম্মদ বলেছেন, “এ রায় মানি না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেখে মরতে চাই। শুধু যুদ্ধাপরাধীই না, যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।” মহাসমাবেশে সংহতি জানাতে এসে আনু মোহাম্মদ আরো বলেন, “সে কারণে আমরা শাহবাগ চত্বরে একত্রিত হয়েছি। একই কারণে সারাদেশে একত্রিত হয়ে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাতে হবে।” লেখক সাংবাদিক আনিসুল হক বলেন, তোমরা তরুণেরা হাল ছেড়ো না। ফাঁসি হবেই।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শাহবাগ চত্বরে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন, “জনগণের আন্দোলন শুরু হয়েছে। এর জয় অবশম্ভবী।” ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করছে।’ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ আজ জেগে ওঠেছে। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। জনগণের অধিকার গণতন্ত্র ও ভোটের আন্দোলন। এ আন্দোলনে জনগণই জয়ী হবেই।’
মহাসমাবেশ থেকে শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে শপথ নেওয়া হয়েছে- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি না মানা পযর্ন্ত গণমানুষের নেতৃত্বে এ গণজাগরণ চলতেই থাকবে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যত গোটা দেশের মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকবে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে ৫ মিনিটের এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লাখো মানুষ হাত উচ্চে তুলে উচ্চারণ করে, আমরা শপথ করছি একাত্তরে যে সমস্ত ঘৃন্য রাজাকার গণহত্যা ও ধর্ষনের মতো মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে সেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বন্ধ না হওযা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।আমরা শপথ করছি যুদ্ধাপরাধী ও জামাত শিবিবের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও তাদের নাগরিকত্ব বাতিল না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে ও অনলাইনে সক্রিয় থাকব।আমরা শপথ করছি। ৭৫ পরবতী যে সমস্ত অপরাধিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালের আওতাধীন করব।যুদ্ধাপরাধীরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইসলামী ব্যাংক, ইবনেসিনা, রেটিনা ফোকাসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বয়কট করব।এক কথায় রাজাকার আল বরদর দের সকল সামাজিক ও ব্যবসায়িত সাংস্কৃতি নিষিদ্ধ করার রক্ষে কাজ করব। এমনকি যে সকল প্রতিষ্ঠান শিশুদের সাম্প্রদায়িকতায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে তাদেরকেও বয়কট করব।যুদ্ধাপরাধীদের গণমাধ্যম নয়াদিগন্ত, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ, সংগ্রাম, সোনার বাংলা ব্লগ বয়কট করব। কোন অফিস বা বাসায় যুদ্ধাপরাধীদের পত্রিকা রাখব না। দ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত গণমঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগের মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে হলুদ হেডব্যান্ড পরা ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক-এর আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন। এসময় জামায়াত-শিবিরকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্যও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ফরিদপুরের কাদের মোল্লার রায় ঘোষনার একদিন আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা দেশদ্রোহী। আর যখন কাদের মোল্লার যাবত জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষনা হয়েছে, তিনি সহ এ রায়ে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সমালোচনা করেছেন। সাথে সাথে শাহবাগ চত্তরে প্রথমে ব্লগার রা পরর্বতীতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এই রায়ের বিরোধীতা করে কাদের মোল্লার ফাসিঁর দাবীতে শাহবাগ চত্তর তাহরীর স্কয়ার করার ঘোষনা দিয়েছে। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে, প্রশ্ন সাধারন মানুষ/জনতা কি এখন দেশদ্রোহ করছে না?
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগটি আইসিটি আইনের ৩(২)(ক) ধারার অধীনে একটি অপরাধ। এ ধারায় তার বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যা, গুম, ধর্ষণসহ নানাধরনের অপরাধ এই ধারার অন্তর্ভুক্ত।
আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সকল যুদ্ধঅপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেছিলেন কি মানবতা বিরোধী অপরাধের না যুদ্ধঅপরাধের? আমার জানা মতে যুদ্ধঅপরাধের তো ক্ষমা করে দিয়েছেন স্বয়ং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। নইলে বন্দী পাকিস্তানী হায়েনাদের বিচার ও সম্পন্ন হতো আমাদের দেশে। আমার প্রশ্ন হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে এবং ট্রাইবুনাল মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের রায় দিয়েছে, যুদ্ধ অপরাধের না।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতে হবে এবং সেখানে কোন 'কিন্তু' নাই। সেই বিচার এত বছর হল না কেন সে প্রশ্ন করারও সময় নাই। বিচার যেহেতু একবার শুরু হয়ে গেছে, সেটা কোন অজুহাতে বন্ধ করারও কোন কথা নাই। কথা শুধু একটা, সব রাজাকার ধরা হলে আওয়ামী লীগ করা তিন খুনী-ধর্ষক রাজাকারকে ধরা হয় না কেন? কেউ একবার যে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিমল হালদারের কথাগুলো সব মিথ্যা?
কাদের মোল্লার যারা ফাসি চান, আমি তাদের দলের বাইরে নই।পাশাপাশি আমি বিশ্বজিৎ এর খুনিদেরও ফাঁসি চাই। গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দল মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধীদের বিচারের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কখনো বলেনি এই বিচার করা যাবে না। যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়েতিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না।
প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, যখন ইডেনের ছাত্রীদেরকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয় তখন গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?
আজ সমবেত জনতা চাইছি রাজাকারদের ফাঁসি হউক মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে যুদ্ধঅপরাধের বিচারের দাবী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে যে সরকার আবার তাদেরই গঠিত ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছে আবার তারাই সেই রায়ের বিরুদ্ধে তাহরির স্কয়ার করার পায়তারি করছে। বিষয়টি একটু ঘোলাটে কি মনে হচ্ছে না। ইতিমধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে আওয়ামীলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, প্রয়োজনে হরতাল দিবো। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে ক্ষমতায় কোন সরকার রয়েছে। কাদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ হরতাল আহব্বান করবে? আর সেই ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা যখন শাহবাগ চত্তরের মঞ্চ দখলকরে বড় বড় বক্তব্য দেয় তখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে তবে কি Óনতুন মোড়কে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টাÓ
সদা সত্য কথা বললেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়ে। মুছতে পারেন আপনার ইচ্ছে। কিন্তু মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধী রাজাকারদের বিচার ও ফাসির দাবী চলছে, তাই না। শুধুমাত্র কাদের মোল্লার ফাসির জন্য না। আশাকরি আমরা আবেগ দিয়ে পোষ্ট ও মন্তব্য করছি না। ঐ মঞ্চ থেকে একবারো পুরান ঢাকার দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার দাবী করা হয়নি। সাড়ে তিনবছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, সে বিষয়ে কোন কথা বলা হয়নি। পুলিশ ধর্ষিত হয়েছে ছাত্রলীগের হাতে সে বিষয়ে কেউ মুখ খোলেনি।
বাকৃবিতে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের গুলির শিকার হয়ে মারাগেছে ১০ বছরের শিশু রাব্বি, এই হত্যার বিচার ও কেউ চায়নি। পল্টনে বাথরুমে ধর্ষিত হয়ে ১০ বছরের শিশু রিতুর লাশ পড়েছিলো। সে ব্যাপারে কেউ কথা বলে নি। ধর্ষনে সেঞ্চুরী করে অনুষ্ঠান উদযাপন কারী মানিকের কথা বলা হয় নি। ৪০ বছর আগে কি হয়েছে তা নিয়ে চিৎকারের অভাব নেই তাও গুটি কয়েক (৫-৭ জন) রাজাকারের বিচারের জন্য। রাজাকার কি মাত্র এই (৫-৬) কয়জনই ছিলো?
পাশে আমার বোন ধর্ষিত হচ্ছে, আমার ভাই গুম হচ্ছে, আমার বন্ধু খুন হচ্ছে আর তার পর হয়তো আমার পালা। আর আপনি বলছেন প্রতিবাদ না করে শাহবাগে গাজার আসরের পাশে ধোয়ানিয়ে শ্লোগান দিলেই আমার দেশপ্রেমের পরিচয় হবে।
আমি ভূয়া, মেকি দেশপ্রেমিক হতে চাইনা। হতে চাই সত্যিকার দেশপ্রেমিক নাগরিক।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
ফারমার বলেছেন: জামাত শিবির বাংলা ছাড়! রাজাকারের 'জাতীয় মাতা' খালেদা বাংলা ছাড়; ২ বারের বেশী কেহ মন্ত্রী হতে পারবে না, হাসিনা থেমে যাও!
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
সিলেটি জামান বলেছেন: "যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই" "জামাত শিবিরের ব্যান চাই"। এক দফা এক দাবী রাজাকারের ফাঁসি দিবি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: Click This Link
Click This Link
আমরা থামব না, থামব না
প্রয়োজনে খুরবো পাতাল, যাবো আসমান
তবু থামব না, থামব না
বিচার হবে, হবে রাজাকারদের ফাসিঁ
কোনো কথায় কর্ণপাত করবো না
রাজাকারদের ফাসিঁ না হওয়া পর্যন্ত
রাজপথ ছাড়ব না।