নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত জীবনের খোঁজে

মোতাহের হোসেন সোহেল

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলমান। মুসলমান হিসাবে আমি গর্বিত। আমি মনে করি সব সমস্যার সমাধান শুধু কোরআন দিতে পারে। আসুন কোরআন পড়ি ও বুঝতে চেষটা করি। আসুন সকল রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে দেশকে ভালবাসি।

মোতাহের হোসেন সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ আন্দোলন প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মতামত

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৭

একটি টক শো’তে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মতামত দিয়েছেন, আবদুল কাদের মোল্লাকে দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে তার ফাঁসির দাবিতে সরকারি দলের আন্দোলন ও বিক্ষোভের বিষয়ে। তিনি বলেন, আইন ও আদালতকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত। আন্দোলন, বিক্ষোভ ও সংগ্রাম করে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা মোটেও কাম্য নয়। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে। সরকারি দল এখন তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করছে। ওই বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় নেতারা এমনকি মন্ত্রীরাও গিয়ে ফাঁসির দাবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। সামনে আরও মামলার রায় অপেক্ষমাণ। এ অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে একটি মেসেজ যাচ্ছে। সামনে যদি কাউকে ফাঁসি দেয়া হয়, তাহলে এটা মনে করা খুবই স্বাভাবিক হবে যে, বিচারকরা সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের ভয়ে এই রায় দিয়েছেন। মন্ত্রী ও সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তাতে বিচারকদের ঘাড়ে কয়টি মাথা যে তারা ফাঁসি ছাড়া অন্য রায় দেবেন? কাজেই আমি বলব, ফাঁসির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, এমনকি ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতেও আন্দোলন করছেন, তারা ঠিক কাজটি করছেন না। এতে করে দেশ ভয়ানক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা কারও জন্যই কাম্য হতে পারে না। আইনকে তার নিজস্ব গতিতেই চলতে দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, সরকার যে উদ্দেশ্যেই আদালত গঠন করুক না কেন, বিচারকরা ‘নিউট্রাল’ বিচার করবেন—এটাই জাতি প্রত্যাশা করে। আদালত রায় দিয়েছে। সংসদে সরকারি দলের এমপিরাও এ নিয়ে কথা বলছেন। এটা বড়ই দুঃখজনক। একজন দর্শকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালত বা রায় নিয়ে হরতাল ও অবরোধ করা উচিত হচ্ছে না। হরতাল বা অবরোধ করে ফাঁসি দেয়া যাবে না। এতে দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিচারকরা সবসময় ভয়ে থাকবেন। এসব করে যদি আদালতের কাছ থেকে ফাঁসি আদায় করা হয়, সেটা হবে দুঃখজনক। ব্যারিস্টার হক বলেন, রায়ের পর পুলিশ প্রটেকশনে বিক্ষোভ হচ্ছে। মন্ত্রীরা সেখানে গিয়ে বলেছেন, এ রায় মানি না। তাহলে বিচারকরা কী করে তাদের রায় দেবেন? যেভাবে ফাঁসির দাবি উঠেছে, বিচারকদের তো ফাঁসি না দিয়ে কোনো উপায় নেই। ভবিষ্যতে যে রায় দেবেন তাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ফাঁসির আদেশ না দিলে, যে বিচারক ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি তার কী অবস্থা হবে! তার ফ্যামিলির কী অবস্থা! কে তাদের প্রটেকশন দেবে?

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশকে একটা আইডিয়াল সিচুয়েশনে আসতে হবে। অ্যাবনরমাল সিচুয়েশন থাকবে তা কিন্তু কেউ চায় না। অ্যাবনরমাল অবস্থা আছে, এটা অবশ্যই নরমাল হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২১

বিভ্রান্ত নাগরিক বলেছেন: "সরকারি দল এখন তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করছে"
ছাগলের গন্ধ পাচ্ছি।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৪

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: ব্যারিষ্টার রফিক আইন নিয়ে বললেন!!! বাংলাদেশটাই একটা আইন, এখানে আদালতের দরকার কি? আদালতে থাকে অশিক্ষিতরা। সব শিক্ষিতদের জায়গা হলো এই বাংলাদেশ।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

সেচ্ছাসেবক বলেছেন: বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা ... লুজারস, টিভিতে এতো বকবকাইতে পর একদিন আহ শাহবাগ, ভাষন ডা এই প্রজন্মের সামনে দিয়া যাও, দেখবোনি তোমার ঘাড়ে কয়ডা মাথা আছে, পাছা স্বদৃশ্য খোমাডা একবার দেখায় যাও ... আহ ... চু চু চু ... আহ ... চু চু ... আহ ... ঐ এরে কয়ডা কাঠাল পাতা দে তো ....

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

পথ-হারা এক পথিক বলেছেন:

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: বিচারকরা ‘নিউট্রাল’ বিচার করবেন—এটাই জাতি প্রত্যাশা করে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.