নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত জীবনের খোঁজে

মোতাহের হোসেন সোহেল

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলমান। মুসলমান হিসাবে আমি গর্বিত। আমি মনে করি সব সমস্যার সমাধান শুধু কোরআন দিতে পারে। আসুন কোরআন পড়ি ও বুঝতে চেষটা করি। আসুন সকল রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে দেশকে ভালবাসি।

মোতাহের হোসেন সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখি দম্পতি প্রিন্স প্রিন্সেস-এর সংসার নিয়ে মামলা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪১

দুর্লভ প্রজাতির ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখি প্রিন্স ও প্রিন্সেস-এর সংসার নিয়ে রায় ঘোষণা করা হবে আজ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফয়সালা হবে তাদের ভবিষ্যৎ। গত ৩রা জানুয়ারি থেকে আলাদা রয়েছে আলোচিত ওই পাখি দম্পতি। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান অববাহিকার গভীর জঙ্গলের পাখি জুটি বেঁধেছিল ঢাকার হাতিরপুলের প্লাটিনাম জিমের মিনি চিড়িয়াখানায়। প্রিন্স ও পিন্সেস এর মালিক দু’জন হলেও ঘটনাক্রমে তাদের মিলন ঘটেছিল। প্রিন্সেস এর মালিক ইকরাম সেলিম তিন মাস বয়সী পাখিটিকে সংগ্রহ করেন সিঙ্গাপুর থেকে ১৯৯৭ সালে। লালন- পালনের উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতি না থাকায় প্রিন্সের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ইকরাম সেলিম তিন বছর আগে পাখি বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল ওয়াদুদকে পাখিটি উপহার দেন। ড. ওয়াদুদ প্রিন্সের জন্য উপযুক্ত বয়স্ক একটি স্ত্রী পাখি সুদূর ব্রাজিল থেকে সংগ্রহ করেন এবং মিল রেখে নাম রাখেন প্রিন্সেস। এদের জন্য বসবাস উপযোগী একটি বড় পরিসরের খাঁচা তৈরি করে বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা সম্মিলিত উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেন। ড. ওয়াদুদ প্রিন্স-প্রিন্সেস এর ওপর দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে এদের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে সক্ষম হন। তিনবারে মোট পাঁচটি বাচ্চার জন্ম হয়। খাঁচায় ম্যাকাও পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটা শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। প্রিন্স-প্রিন্সেসের সংসার খুব সুখের ছিল। তাদের সংসারে কোন কিছুরই অভাব ছিল না। হঠাৎ করেই তাদের সংসারে বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটে। আইনি জটিলতায় তাদের সংসার ভেঙে চুরমার। গত ৩রা জানুয়ারি থেকে তারা আলাদা। একই শহরে থেকেও তারা দূরে থাকছে। প্রিন্সেস থাকছে ২২/২, হাতিরপুলের প্লাটিনাম জিমের মিনি চিড়িয়াখানায় আর প্রিন্স থাকছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। উপহার দেয়া প্রিন্সকে তিন বছর পর ইকরাম সেলিম ফেরত চান ড. ওয়াদুদ এর কাছে। পাখির সংসারের কথা চিন্তা করে ড. ওয়াদুদ ফেরত দিতে রাজি হননি। পাখির ঘরে জন্ম নেয়া বাচ্চাগুলো দিতে চাইলেও ইকরাম সেলিম রাজি হননি। তিনি মূল পাখি প্রিন্সকে ফেরত চেয়ে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত সার্চ ওয়ারেন্ট দিয়ে প্রিন্স পাখিটিকে প্রকৃত মালিকের জিম্মায় ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়। প্রিন্স চলে যাওয়ায় প্রিন্সেস একাকী কান্নাকাটি করতে থাকে ও বিলাপ করে। খাওয়া-দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এ নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ অবস্থায় ড. ওয়াদুদ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। ৫ই ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ের দিন ছিল। ওই দিন আদালত দুই পক্ষকে নিয়ে কোর্টের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। কিন্তু বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। তাই আজ পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করা হবে। ড. ওয়াদুদ-এর পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান এবং এডভোকেট বরুণ কুমার বিশ্বাস। ইকরাম সেলিমের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন এডভোকেট মোশারেফ হোসেন কাজল ও এডভোকেট শহীদুল হক



মানব্জমিন থেকে সংগৃহীত

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০০

পুংটা বলেছেন: আহারে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.