নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণহীন কোন প্রতীক নয়, আপনার নির্বাচিত নেতা হোক মনুষ্য প্রাণের অধিকারী

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১১

একজন ব্যবসায়ী খুঁজে মুনাফা,
শিল্পী খুঁজে তারকা খ্যাতি ,
খেলোয়াড় খুঁজে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার আর মেডেল,
আমলা খুঁজে পরিপাটি চেয়ার, মোটা অঙ্কের বেতন
কিন্তু যে মানুষটির মুনাফার মনোবৃত্তি নেই,
নেই তারকা খ্যাতির সুপ্ত বাসনা বা ম্যাচ সেরার পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা,
অধনস্থ ঘেরা নির্দেশের নরম চেয়ারের স্বাদ যার কাছে তুচ্ছ, তিনিই রাজনৈতিক,
মানুষের সমস্যা,শঙ্কট, সমাধান ও সম্ভাবনা যিনি অন্তর দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পান, তিনিই রাজনৈতিক।
পরিবারকে পরিবার না ভেবে সমাজ ও রাষ্ট্রকে যিনি পরিবার ভাবেন, তিনিই রাজনৈতিক।

একজন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মানবিক গুণাবলী অর্জনকারী মানুষ হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিনিধি বা নেতা,এটাই হচ্ছে একটি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।সমাজের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছেন জন-প্রতিনিধি।একটি রাষ্ট্র ও সমাজের স্থিতিশীলতা নির্ভর করে রাজনৈতিক চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব ও জনগণের নির্বাচিত জন-প্রতিনিধিদের জনকল্যাণমুখী চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের ভেতর।তাই সমাজের সাধারণ মানুষের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে তার নিজের ও সমাজের কল্যাণের স্বার্থে তার নেতা বা প্রতিনিধি নির্বাচন করা।তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিই রচনা করবেন তাদের আগামীর রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ।সুতরাং সমাজের সেরা মানুষটিকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেয়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষের একটি মহান দায়িত্ব।
আমাদের সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনটির গুরুত্ব অন্যান্য নির্বাচন থেকে আলাদা কারণ এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে সাধারণ মানুষ তার রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণকারী প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন এবং এই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা সৃষ্টি হবে দেশের আগামীর সম্ভাবনা ও পরিচালিত হবে বাস্তবায়নের যাত্রা পথ।
এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন দলের দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের পূর্বেই আলোচনা শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দলীয় মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে, যা পূর্বের নির্বাচনগুলোতে এমনটা হতে দেখা যায়নি। কারণ রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টহীন নানা পেশার অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করে আধিক্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।রাষ্ট্রের সব চেয়ে গুরুত্বের জায়গা হচ্ছে রাজনীতি,যা এখন যেনোতেনো একটি খেলার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।বিগত পাঁচ বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে নিয়োগ ভিত্তিক জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা এক মস্তিষ্ক ভিত্তিক সংসদের মাধ্যমে। বিগত সংসদে ৩৩০ জন সাংসদের মধ্যে ৩২৯ সাংসদের মস্তিষ্ক ছিল মূলত অকার্যকর, যেহেতু নিয়োগের ভিত্তিতে সংসদের আসন লাভ করেছেন তাই নিয়োগকর্তার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও সমর্থন দেয়াই ছিল তাদের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য।এই ধারার মধ্যদিয়ে রাজনীতি চর্চা ও রাজনীতি করার মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া দারুণ ভাবে হ্রাস পেয়েছে।তারই প্রতিফলন ফুটে উঠেছে এবারের নির্বাচনী মৌসুমে।বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিগত সময়ে কৃত্তিম রাজনৈতিক নেতা সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করে বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বশীল শিল্পী, খেলোয়াড়,ব্যবসায়ী স্ব স্ব পেশায় নিষ্ক্রিয় হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আনুগত্যের মাধ্যমে জনসেবার নামে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন ও উপভোগের জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।সাধারণত তৃণমূল থেকে রাজনীতি করা ও রাজনীতি চর্চা করা মানুষ রাষ্ট্রের কোন পদকে মহান দায়িত্ব ভেবে থাকেন অন্যদিকে কোন অরাজনৈতিক ব্যক্তি রাষ্ট্রের কোন দায়িত্বের চেয়ারকে মনে করেন ক্ষমতা উপভোগের বিষয় । ফলে অরাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা রাষ্ট্রের কোন পদ দখল হলে সাধারণ মানুষের প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিটি মানুষের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনসেবা করার অধিকার রয়েছে, তবে একটি আদর্শ রাজনৈতিক দলের প্রধান দায়িত্ব একজন কর্মীকে রাজনৈতিক জ্ঞানের মধ্যদিয়ে সমাজ সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পর তার যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব মূলক নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা।কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্যপট।ভোটের খেলায় বাজীমাত করার জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিনোদনন জগতের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনে টাকার ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে ত্যাগী ও রাজনৈতিক চিন্তাশীল ব্যক্তিদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও শিল্পীদের গুরুত্ব দিয়ে সরাসরি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেবার দিকে ঝুঁকছেন।

একজন শিল্পী বা খেলোয়াড় বিনোদদের মাধ্যমে দেশের মানুষের মনকে উৎফুল্ল রাখতে ভূমিকা রাখেন, সেই সাথে তারা দেশের শিল্প সংস্কৃতির ধারক ও বাহক, একটি মননশীল সমাজ গঠনে তাদের গুরুত্ব অপরিসীম।শিল্প ও সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচয় বহন করে । রাষ্ট্রের দায়িত্ব একজন শিল্পী বা খেলোয়াড়ের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ইমেজ উজ্জ্বল করা। আবার একজন শিল্পী বা খেলোয়াড় রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের পাশে থেকে সেবা করতে পারেন, তবে রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিত্ব মূলক কোন গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চান তাহলে জনগণের স্বার্থেই তৃনমূলের রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও রাজনৈতিক যোগ্যতা প্রমাণের সিঁড়িগুলো অতিক্রম করে আসাই শ্রেয়। তানাহলে জাতীয় সংসদের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণধর্মী মতামতের পরিবর্তে হাবাগোবা আলোচনা দিয়ে সময় পার করে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করতে হবে ,নতুবা শিল্পী মমতাজের মত সংসদ নেতার প্রশংসা সঙ্গীত গেয়ে সংসদ নেতাদের বিনোদনের খোরাক যোগাতে হবে।একজন রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধির উপর ন্যস্ত থাকে জনগণের সামগ্রিক স্বার্থ, ফলে তাকে মানবিক গুনের অধিকারী, অধিকার সচেতন হতে হয়, যেটি তিনি অর্জন করেন আপামর মানুষের সাথে অতি সাধারণ ভাবে মেশার মধ্যদিয়ে এবং সাংগঠনিক কাঠামোর ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জনের ভেতর দিয়ে।সুতরাং মানুষের বিনোদনের খোরাক যুগিয়ে তারকা খ্যাতি অর্জন করা আসমানী মানুসিকতা দিয়ে জনসেবা করা আর মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাশে থেকে তাদের সমস্যা শঙ্কট চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য সেবার মানুসিকতার ভেতর দিয়ে নেতা হয়ে জনসেবা করার মধ্যে বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত।

ব্যবসায়ী শ্রেণী হচ্ছে একটি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এদের কর্মকাণ্ডের উপর দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও এদের ভূমিকা অপরিসীম।কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় একজন ব্যবসায়ীর চরিত্রে ফুটে উঠে অধিক মুনাফার মনোবৃত্তি।এদের ধ্যান ধারণায় থাকে কোথাও অর্থ লগ্নি করলে সেখান থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ মুনাফা অর্জন করার প্রবণতা।এই মনোবৃত্তি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে এর প্রয়োগ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভয়ংকর।আমাদের দেশে বর্তমানে রাজনীতি ও রাষ্ট্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ অধিকাংশই ব্যবসায়ীদের হাতে।এদের অনেকেই ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোতে ব্যক্তি স্বার্থে অর্থ লগ্নির মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে,আবার রাজনৈতিক দলগুলোও অনেককে নিজস্ব স্বার্থে সরাসরি পদের মাধ্যমে রাজনীতিতে সংস্থান করেছে।রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংক ঋণ আত্মসাৎ, শেয়ার বাজার থেকে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটে খাওয়ার দৃশ্য আমরা চাক্ষুষ দেখেছি।একজন প্রকৃত রাজনৈতিকে নিজস্ব অর্থ সম্পদ,মেধা ও জ্ঞান জনগণের স্বার্থে ব্যয় করার মানসিকতা সম্পন্ন হয়ে থাকে, ফলে তার হাতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব অর্পণ হলে রাষ্ট্রের সম্পদ সুরক্ষিত থাকে এবং তিনি জনগণের রক্ষক হিসেবে হিসেবে কাজ করে থাকেন।কিন্তু সরাসরি ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করা রাজনৈতিকের থাকে মুনাফার মনোবৃত্তি ফলে এমন ব্যক্তি যখন দলের দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের জয়ী হয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কোন আসন অলংকৃত করে জনগণের প্রতিনিধিত্ব অর্জন করে তখন তার মধ্যে নির্বাচনে খরচ হওয়া পোস্টারের টাকা থেকে শুরু করে ব্যয় হওয়া প্রত্যেকটি টাকা তার দায়িত্বের চেয়ার থেকে দ্রুতি তুলে আনার তাড়নায় অস্থির হয়ে উঠেন।তার দায়িত্বের চেয়ার তার কাছে জনগণের আমানত মনে না হয়ে ব্যবসারই একটা অংশ মনে করেন। ফলে রাজনীতিতে ব্যয় হওয়া অর্থ তিনি দায়িত্বের চেয়ার থেকে অধিক মুনাফাসহ তুলে আনার জন্য সচেষ্ট থাকেন এবং প্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জনগণের স্বার্থে ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।ফলশ্রুতিতে সাধারণ মানুষ এমন নেতার দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকে।যা আমাদের দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান।

একজন মাশরাফি তার ক্রীড়া নৈপুণ্য ও অর্জিত অভিজ্ঞতা খেলার মাঠে প্রয়োগ করে জয়ের মাধ্যমে একটি জাতীকে হাসাতে পারেন, ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত রাজনৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক তার রাজনৈতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রয়োগের মাধ্যমে একটি জাতীর রূপরেখা পরিবর্তন করে দিতে পারেন।সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের সামনে পরিক্ষিত মাদক ব্যবসায়ী, ঋণ খেলাপি, দুর্নীতিবাজ, কালোবাজারি, সন্ত্রাসী, আবার ভোটের জন্য ধর্না দিচ্ছে।ওদের হাতে কালো টাকার বাণ্ডিল রয়েছে। সামান্য একটু সুবিধা পাওয়ার আশায় মাতৃভূমিকে এমন নিকৃষ্ট মানুষদের হাতে তুলে দিয়ে পরবর্তীতে আত্মগ্লানিতে ভোগার চেয়ে আগেই সচেতন হওয়া একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।প্রাণহীন কোন প্রতীককে আপনার নেতা বানাবেন না ,আপনার নির্বাচিত নেতা হোক মনুষ্য প্রাণের অধিকারী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫১

রাফা বলেছেন: অপশনটাই নাই এখন।কয়জন প্রকৃত রাজনীতিবিদ আছেন আমাদের দেশে? আপনর মূল ভাবনার সাথে সংহতি প্রকাশ করে বলছি।এর মাঝ থেকেই যতটুকু সম্ভব ভালো মানুষগুলো বেছে নিন।
এবং অবশ্যই যুদ্ধাপরাধী,দূরণিতিবাজ ,সন্ত্রাসী ও খুনী জঙ্গীদের বর্জন করুন।যারা এই দেশটাই চায়নি ,তাদের দিয়ে দেশের মঙ্গল কোনদিনই হবেনা।

ধন্যবাদ,মুঃ.গো.মুর্শেদ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৪

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি ...। ধন্যবাদ প্রিয় রাফা ভাই ...।।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অন্তরে ধারণ করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন,
আমি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দেখি জননেত্রী শেখ হাসিনার চোখে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৫

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: কিন্তু সচেতন নাগরিক হিসেবে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নের উল্লেখিত কর্ম সম্পাদনকারী শক্তিকে প্রতিহত করার বিষয়গুলো মাথায় রাখাও জরুরী ঃ
১ পেশী শক্তির মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার ও মুক্ত মত প্রকাশের অধিকার হরণ ।
২ বিরোধী ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের গুম, খুন, জেল, জরিমানা, প্রশাসনিক হয়রানী এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ।
২ ব্যাংকিং খাতের হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট।
৩ রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার শেয়ার বাজার লুটপাট।
৪ ধারাবাহিক ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে সার্টিফিকেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন।
৫ প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ।
৬ সরকারী চাকুরীর নিয়োগে বাণিজ্যিকরণ।
৭ উন্নয়নের নামে প্রকল্প বরাদ্দ করে রাষ্ট্রীয় অর্থ দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে বণ্টন ও দুর্নীতির আয়ের মাধ্যমে বিশ্বের ব্যক্তিগত ধনি হওয়ার সূচকে দেশকে শীর্ষ অবস্থনে পৌঁছে দেওয়া ।
৮ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মতামতকে উপেক্ষা করে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল চুক্তি।
৯ হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা।
১০ সরকারী প্রশাসনের সমর্থন লাভের জন্য সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর গড় আয় বিবেচনা না করে সরকারী চাকুরীজীবীদের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজে আয় বৈষম্য সৃষ্টি।
১১ ডিজিটাল নিরাপক্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ।
১২ ক্ষমতা রক্ষার্থে দেশের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ।
ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব নুর ...।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.