নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মবিশ্বাস ও মানসিক দৃঢ়তার শঙ্কটে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম

১১ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের এবারের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচের পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটটি অবস্থায় সময় পার করছে এবং টিম স্পিরিট বা দলের তেজস্বীতায় কোন কারণে হ্রাস পড়েছে। যে আত্মবিশ্বাস ও ক্ষিপ্রতা প্রত্যেকটি খেলোয়াড় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে শেষ করে নিয়ে এসেছিলো তার অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে ফলশ্রুতিতে কোয়ালিটি ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তার পূর্ণ ব্যবহার মাঠে করতে পারছেনা।

তামিম ইকবাল নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কাণ্ডারি, এখনো তার দেবার আছে অনেক কিছু কিন্তু এই মুহূর্তে যে কোনো কারণে তার আত্মবিশ্বাসের বারুদ ভেজা, ফলে ব্যাট হাতে নিজেকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারছেনা। এই পরিস্থিতিতে তাকে বিশ্রাম দিয়ে লিটন দাসকে স্থলাভিষিক্ত করে সৌম্য সরকার ও লিটল দাসকে ওপেনিং করানো উচিত।

মাশরাফী বিন মর্তুজা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী।তিনি অর্জনের সর্বোচ্চটা দেবার জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন এবং সেই আকাঙ্ক্ষার তাড়নাও তার মধ্যে ছিল কিন্তু তার সেই শক্তি কেড়ে নেয়া হয়েছে। কোন মানুষের মধ্যে যখন প্রাপ্তির প্রশান্তি চলে আসে তখন তার সৃষ্টি বা অর্জনের ধার ভোতা হতে থাকে।আমাদের দলের অধিনায়কের অবস্থা এখন তেমনি।এতো দিন কোটি দর্শকের ভালোবাসা ছিল তার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা, যা যাবতীয় প্রতিকূলতা ঝেড়ে ফেলে তাকে জয়ের নেশায় ধাবিত করতো। তার আসল কাজটি শেষ করার পূর্বেই তাকে উপহার দেয়া হয়েছে জমিদারী শাসনের ক্ষমতার স্বাদ।শাসনের আনন্দের কাছে হার মেনেছে তার খেলার আনন্দ।এখন মাঠে তিনি যেটা করছে তা নিতান্তই অর্পিত দায়িত্ব বলে মনে হচ্ছে।মন্ত্রী, এমপি , ক্ষমতাসীন দলগুলোর মহাসচিব, সাধারণ সম্পাদক শত শত রয়েছে, কজনের নামইবা মানুষ মনে রাখে বা মনে রাখার কি কাজইবা তারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য করে, কিন্তু একজন ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, মাহেন্দ্র সিং ধোনী এক একটি জাতির আনন্দের ইতিহাস হয়ে জ্বলজ্বল করে। মাশরাফী’র জীবনেও সেই সুযোগের হাতছানি ছিল কিন্তু তিনি ফাঁদে আটকা পড়ে ভোগবাদীদের লাইনে শামিল হয়ে তার ক্রিকেটীয় বারুদ ভিজিয়ে ফেলেছেন। তার উচিত হবে একজন রাজনৈতিক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে খেলা থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখার লক্ষ্যে নিজেকে খেলা থেকে অবসর দেয়া।তাছাড়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ক্ষমতাশী প্রভাবশালী খেলোয়াড় একটি টিমের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ।

চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে আত্মপ্রত্যয়ী খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। যদি দলের অধিনায়কত্ব তার হাতে থাকতো আর মাশরাফীর পরিবর্তে তাসকিন কিংবা রুবেল হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো তাহলে হয়তো দলের পারফরমেন্স ও ফলাফল আরও ভালো পাওয়া যেতো ।
দলের প্রতিটি খেলোয়াড় সকল জড়তা ঝেড়ে ফেলে বাকী প্রতিটি ম্যাচে জ্বলন্ত বিস্ফোরক হয়ে ফেটে পড়ুক, সেই কামনা রইলো।
দলের সবার মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্য কামনা করছি …

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আশা করি সেমিফাইনালে আমরা যাবো।

২| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ইনশাআল্লাহ আমরা আজ জিতবো,টাইগারদের জন্য শুভকামনা।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর এনালাইসিস করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.