নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ এবং জাতীয় ও সংগীত

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৫৫

সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও হীনমন্যতা নিয়ে কখনো মানুষের অনুভূতির সুগভীরে প্রবেশ করা যায়না।রবীন্দ্রনাথ হচ্ছে এমন এক বিরল প্রতিভা যিনি সাহিত্যের মধ্যদিয়ে মানুষের অনুভূতির সব জায়গায় গভীর ভাবে স্পর্শ করেছেন এবং সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেতে নিবিড় ভাবে বিচরণ করে বাংলা সাহিত্যেকে এক অনন্য মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছেন ।কাঁটাতার দিয়ে রাজনৈতিক সীমারেখা নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু সাহিত্যের কোন সীমা রেখা হয়না ।বাংলা সাহিত্যের আকাশে রবীন্দ্রনাথ হচ্ছে একটি জ্বলন্ত নক্ষত্র, কেরোসিনের প্রদীপ নয়, যে ফু দিয়ে নিভিয়ে দেয়া যাবে। আমাদের দেশে মানুষ খুন করলে ,ঘুষ খেলে,ধর্ষণ করলে,দুর্নীতি করলে, ভেজাল মেশালে দেশ ও ধর্মের মান ক্ষুণ্ণ হয়না কিন্তু হিন্দু কবির লেখা জাতীয় সংগীত গাইলে আমাদের দেশাত্মবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে। কি অদ্ভুত দেশাত্মবোধ ও ধর্মের প্রতি ভালোবাসা আমাদের! আমি কতটা উন্নত জাতির মানুষ তা জাতীয় সংগীতের কথা সুর লেখকের নাম ও তার ধর্মীয় পরিচয়ের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে সামগ্রিক জাতী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের উপর। আয়নার সামনে আমাদের জাতিটাকে দাঁড় করিয়ে দেখে নিন আমরা কোন অবস্থায় আছি।

রবীন্দ্রনাথের জন্ম এবং মৃত্যু ব্রিটিশ পরাধীনতার মধ্যে। স্বাধীন বাংলা বা বাংলাদেশের শ্বাস প্রশ্বাস তার ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু তার গানে বাংলা ও বাংলাদেশ বন্দনা প্রমাণ করে, তিনি বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের চিন্তা করতেন এবং ভাবতেন সেই দেশে মানুষ স্বাধীন শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করবেন।

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
তোমার মুক্তকেশের পুঞ্জ মেঘে লুকায় অশনি,
তোমার আঁচল ঝলে আকাশতলে রৌদ্রবসনী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
যখন অনাদরে চাই নি মুখে ভেবেছিলেম দুঃখিনী মা
আছে ভাঙা ঘরে একলা পড়ে, দুখের বুঝি নাইকো সীমা।
কোথা সে তোর দরিদ্র বেশ, কোথা সে তোর মলিন হাসি—
আকাশে আজ ছড়িয়ে গেল ঐ চরণের দীপ্তিরাশি!
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
আজি দুখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী—
তোমার অভয় বাজে হৃদয়মাঝে হৃদয়হরণী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১'এর পাকী আগাছাগুলোর শিকড় থেকে নতুন আগাছা বাড়ছে?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪১

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করা জ্ঞানীজনের সমালোচনার মধ্যেও শৈল্পিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।ধন্যবাদ ভাই ট্রাক্টর আপনার গবেষণাধর্মী মন্তব্যের জন্য

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জাতীয় সংগীত নিয়ে বেশ কিছু কাল ধরেই একটি মহল বিশেষের কিছু উস্মা প্রদর্শন পরিলক্ষিত হচ্ছিল বিবিধভাবে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তারা বেশ সোচ্চার ছিল , এদের সামাজিক কোন পরিচয়ও ছিল না । এখন তারা এক ধাপ এগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুটা পরিচিত ব্যক্তিত্ব দিয়ে তাদের সুদুর প্রসারী একটি লক্ষ্য হাছিলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । এদেরকে এখনই শক্ত ভাবে প্রতিহত করা না হলে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভাবতেই গা শিহরিয়া উঠে । বিবিধ কোণ থেকেই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়ানোর যে প্রচেষ্টা চলছে তাতে এই জাতীয় সংগীত প্রসঙ্গ দিয়ে আরো বাতাস দেয়ার প্রচেষ্টা বৈ কিছু নয় বলেই মনে হচ্ছে ।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন।
বাংলাদেশে ও ভারতের মতো শ্রীলংকায়ও রবীন্দ্রনাথের সুরেই গানটি গাওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.