নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরণে ক্ষতি নাই,কিন্তু সে মরণ না হোক অবহেলার।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৪

মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময় যেন একটি স্নেহকরস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে -যেন একটি করুর্ণাদ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারো একফোঁটা জল দেখিয়া সে মরিতে পারে।কথাগুলো বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের।

আজ হঠাৎ করেই কথাগুলো মনে পড়ে গেলো দেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনার খবর জেনে। মৃত্যুর ঘটনাগুলো অনেক হৃদয়বান মানুষের অন্তরে গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছে।যাদের মৃত্যু পূর্ব মুহূর্তগুলো ছিল খুবই মর্মান্তিক।মানুষগুলো বিভিন্ন কারণে হঠাৎ করেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।কিন্তু করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাদের কাছে এগিয়ে আসেনি কোন প্রতিবেশী,সাড়া মেলেনি সরকারের জরুরী নম্বরের ওই প্রান্তে বসে থাকা ব্যক্তির,ছুটে আসেনি স্থানীয় হসপিটালের এম্বুলেন্স, কোন চিকিৎসক।নির্বিকার চেয়ে থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষ্ঠুর সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে।
আমরা অবশ্যই এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকবো,তার মানে এই নয়, ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করবো।বরং আক্রান্ত ব্যক্তির শুশ্রূষার জন্য সোচ্চার হয়ে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করবো।কে এই ভাইরাস বহন করে এনেছে,কার কারণে ছড়িয়েছে এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা বোকামি। যে অবহেলায় অন্যের মৃত্যু হয়েছে, তেমন মৃত্যু যে আপনার দিকে ধেয়ে আসছেনা, তা আপনি কিভাবে নিশ্চিত ?

আপনি সরকারকে ভ্যাট দেন, ট্যাক্স দেন, রেমিটেন্স দেন কেন?আপনি চৈত্রের খররৌদ্রে ফসল ফলান,মিল কারখানায় ঘাম ঝরিয়ে পণ্য উৎপাদন করেন,নগর শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন,মাঝ দরিয়া থেকে মৎস্য আহরণ করেন কেন? কারণ, আপনার বিপদে রাষ্ট্রের সেবার হাত বাড়িয়ে দেবার আশায়, অবহেলায় মৃত্যু বরণের জন্য নয়।মনে রাখতে হবে,রাষ্ট্র সংঘের কাছে যে কোন প্রকার স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া আপনার মৌলিক অধিকার। করুণা বা দয়া নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

নতুন বলেছেন: মানুষের মাঝে সচেতনেতার অভাব।

মানুষ ফেসবুকে করোনা সম্পকে শেখে, ইউটিউবে ভিডিও দেখে করোনা সম্পকে জানে।

মানুষের বেশ কিছু কাজেই বোঝা যায় যে আমাদের দেশে করোনা সম্পকে সঠিক ধারনা খুব বেশি মানুষের নেই।

রোগিকে হাসপাতালে কেউ চিকিতসা দিতে চাইছেনা। হাসপাতাল বানাতে দিতে চাইছে না। মানুষ রাস্তায় পড়ে আছে কেউই সাহাজ্যে এগিয়ে আসছেনা।

হাতে গ্লাভস এবং একটা মাস্ক থাকলেই যে কোন মানুষকে সাহাজ্য করা যায়। এমনকি করোনা আক্রান্ত যারা আইসিইউতে নাই তাদের জন্য নাস`/ডাক্তাররা পিপিই পড়ছেন না। সাধারন মাস্ক এবং গ্লাভস পরে তাদের কাছে যাচ্ছেন এবং তাতে তাদের আক্রান্ত হবার ঝুকি নেই।

আমাদের দেশের মানুষের এই অজ্ঞতার কারনেই অনেক মানুষ চিকিতসা না পেয়ে মারা যাবে। :(

সবাইকে এই বিষয়ে আরো সচেতন করা দরকার নতুবা এই রকমের অবহেলার মৃত্যু কমানো সম্পভ হবেনা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: যৌক্তিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.