নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্বাক তানভীর

তা্নভীর মোরশেদ

তা্নভীর মোরশেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অফার মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭

জীবন যাপনের মান এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বেসামাল একজন চাকুরীজীবী’র ভাবনাজুড়ে থাকে পদোন্নতি । ইস্ আমি যদি বস্ হতাম !



সে কখনও এই দুশ্চিন্তার বেড়াজাল ছিন্ন করতে পারে না । কেননা দব্যমূল্যের বল্গা হরিন কখনও পেছনে ফিরে তাকায় না । আবার গরীবের ঘরে ছেলেপুলে হওয়ার মতো নিত্য নতুন খরচের খাত কিভবে তৈরী হয় টের পাওয়া যায় না । তদুপরি; দুঃখের বিষয়, বসের উপরও বস্ থকে ।



নির্দলীয় নিরপেক্ষ হয়ে যদি একটা প্রশ্নের সম্মুখীন করা হয় – আপনার জন্য দুটো অপশন, আপনাকে এই কোম্পানীর মালিক করা হবে অথবা একই কোম্পানীতে চাকুরী দেয়া হবে –আপনি কোনটা বেছে নিবেন ?



ভাই, আরেকবার ভেবে দেখুন –নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হয়ে কুল ব্রেনে ! আপনার উপরে কেউ খবরদারী করবে ? নাকি, আপনি পুরো প্রতিষ্ঠানের বস্ হবেন ?



আরেকটু সরল করে দেই । ক্ষনিকের জন্য ধরে নিন, বিশাল গ্রুপ অব কোম্পানীজ –এর মালিক আপনার বাবা । বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে আপনি হাজির । বাবা আপনাকে একই প্রশ্ন করলেন – কিছু ভেবেছ ?



বিষয়টি অলীক । তবে কি হতো আপনার সিদ্ধান্ত ? আমাদের পরিস্থিতি ওরকম নয় সত্যি । আফসোস্ আমরা মনে করি, চাকরী ছাড়া উপায় নাই (গোলাম হোসেন !) । অর্থাৎ, আমাদের এখন তারচে’ খারাপ পরিস্থিতি ।



স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় ? পরিস্থিতির বিরূপতা হোক আর অভ্যাসের (মানসিক প্রতিবন্ধী) দোষ হোক – অধিকাংশই দ্বিতীয়ীটি বেছে নেবে !



তবে ভাই, আমি প্রথম অফারটি সম্মানজনক মনে করি এবং অবশ্যই পছন্দ করব । আপনার কেমন মনে হয় জানি না । চাকুরী শব্দটা শুনলেই আমার মাথার মধ্যে চলে আসে মালিক-গোলাম অথবা মনিব-চাকর ! কল্পনায় ভেসে ওঠে গলায় দড়ি বাঁধা একটা গরু, দড়ি হতে কেউ একজন হুকুম জারি করছে । বিষয়টা বাস্তবিক অর্থেই ভয়ঙ্কর রকম অপমানজনক এবং অমানবিক ।



নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন । কেননা আমিও পরিস্থিতির শিকার । যদিও আমার পরিস্থিতি সম্পূর্ন উল্টো । মন মানে না । কি করব ? মনকে কিভাবে বাগে আনতে হয় সে বিদ্যা শেখা হয়নি । কোনভাবেই চাকুরীকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারিনা । যারা এ বিদ্যায় পারদর্শী তদেরকে সালাম ।



সুতরাং ব্যবসা করব সিদ্ধান্ত নিলাম । ব্যবসায়িক পরিবেশ এখন নৈতিকভাবে কলুষিত । অপর পক্ষকে না ঠকিয়ে নাকি ব্যবসা করা যায়না । মূলত প্রতিপক্ষকে অনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে এবং স্টেকহোল্ডারদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে যুৎসইভাবে ঠকিয়ে তবেই না মুনাফা । অধিকাংশ ব্যবসা এখন এই নীতি এবং আদর্শে বলীয়ান হয়ে নির্লজ্জের মত মাথা উচিঁয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ।



আমি শুরু করলাম জগৎ শ্রেষ্ঠ এক ব্যবসা । সততা যেখানে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা নয় –বরং একমাত্র পন্থা । অপরকে সহযোগীতা করে উপরে টেনে তোলাই যেখানে নিজের সফলতার ভিত্তি । পৃথিবীজুড়ে যার এখন জয় জয়কার –ডিরেক্ট সেলিং ।



এটা একা পরিচালনা করার মত ব্যবসা নয় । অনেককে সাথে নিয়ে একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারীত্তের ভিত্তিতে এই ব্যবসা উন্নতির দিকে ধাবিত হয় । প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেছে নিলাম শ্রেষ্ঠ ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড –কে ।

আমার প্রানের প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির বিরুদ্ধে একটা উদ্দেশ্য মহল বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত (সুনির্দিষ্ট নয় এমন),ষড়যন্ত্রমূলক, অতি কাল্পনিক,বানোয়াট অভিযোগ তোলার দুঃসাহস করেছে !



উদ্ভূত ঘোলাটে পরিস্থিতিতে অনেকে দাড়ি ছেঁটে,পাজামা-টুপি হারিয়ে ফেলেছে ! আমার অনেক শুভাকাঙ্খী আমাকে ওদের দলে এডমিশান নেয়ার নিয়তঃ পরামর্শ দিয়ে যচ্ছেন । আমিও গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখছি !



যাযাবরদের নির্দিষ্ট কোন বাসস্থান থাকে না – একেক সময় তারা একেক জায়গায় আস্তানা গাড়ে । তাদের চেয়ে একটু ভাল যাদের বাসা থাকে –তবে এত ঘন ঘন পাল্টায় যে ট্রেস করা মুশকিল । আজ মিরপুর তো কাল আজিমপুর । এরা আসলে আধুনিক যাযাবর । একজনের পাঁচ-ছয়টা সেল নাম্বার থাকার চেয়ে বিরক্তিকর আর কি হতে পারে ?

আজ এক কোম্পানী তো কাল আরেকটা । আজ যার গুনকীর্তন করছি তো কাল ছি! ছি! সামনে যাকে ইয়েস্ স্যার,পিছনে….! সবসময় একটা ভাল কোম্পাণী,একটা ভাল চাকুরী খোঁজার অন্তহীন প্রবনতা প্রমান করে – বর্তমান প্রতিষ্ঠান, বর্তমান বস্,বর্তমান পজিশান আসলে ভাল নয় ।



বাস্তবতা হচ্ছে – ইহ জিন্দেগীতে ভালোটা খুঁজে পাওয়া যাবে না । আরে ভাই – আর যাই হোক চাকরী তো ! বস্, মনিব, মালিক –ওনারা তো সর্বময় বিরাজমান ।



আমি ভাই অতিমাত্রায় অলস প্রকৃতির । এত ছোটাছুটি আমার সাধ্যে নেই । তাই যথাসাধ্য জেনে-বুঝে, ঠান্ডা মাথায় বিচার-বিশ্লেষন, যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।

আপনার নিশ্চই সেই স্লোগানটা মনে আছে –

“পদ্মা-মেঘনা-যমুনা,

তোমার আমার ঠিকানা ।”

আমারও ঠিকানা নির্দিষ্ট । মুসলমানের এক জবান আর কি ।



আমি – ডিরেক্ট সেলিং –ডেসটিনি আর মোঃ রফিকুল আমিন এখন আর আলাদা কোন চরিত্র নয় । আমরা একই আদর্শে, একই নীতিতে অগ্রসরমান । উদ্ভূত কৃত্রিমভাবে পরিবর্তিত প্রতিকুল পরিস্থিতিতে ডেসটিনি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না । বরং কৃত্রিমতা যদি চূড়ান্ত রূপ নেয় – প্রতিষ্ঠান যদি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় (আল্লাহ্ না করুন,আমিন )-একই আদর্শে আরেকটা ডেসটিনির জন্ম দেব ইন-শা-আল্লাহ্ ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১১

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: ভালো লাগলো!! আসলে মানুষ একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে কেন এইরকম তীব্রভাবে ভালোবাসে তার কারন হয়তো খুজে পাওয়া তেমন একটা মুশকিল নয়!!

অবশ্যই প্রতিষ্ঠান এমন কিছু করেছে, যার পরিবর্তে এটা প্রাপ্য.।

-অনেক শুভকামনা রইল

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭

তা্নভীর মোরশেদ বলেছেন: #:-S
আসলে মানুষ একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে কেন এইরকম তীব্রভাবে ভালোবাসে তার কারন হয়তো খুজে পাওয়া তেমন একটা মুশকিল নয়!!

যৌক্তিক কারন জানতে চাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.