![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
###----মাযহাবের পরিচয়....###
সকল মুসলমান একথা বিশ্বাস করে যে, দীনের
একমাত্র দাওয়াত ও আহবান হল শুধু আল্লাহর আনুগত্য করা। এমনকি রাসূল সা. এর অনুসরণএই জন্যই ফরয যে তিনি তার
সকল কাজ- কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিটি হুকুমের বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। তাই হালাল, হারাম, যায়েয, নাযায়েয,শরীয়তের
সকল আহকামের ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তার
রাসূলের অনুসরণ করতে হবে।
আর কেউ যদি অন্য কোন সত্বাকে এ
পর্যায়ের অনুসরণ যোগ্য মনে করে, তাহলে সে অবশ্যই ইসলামের গন্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে।
কোরআন ও সুন্নার অনুসরণের ক্ষেত্রে এ
একটি ব্যাপার খুবই স্পষ্ট যে,
কোরআন সুন্নাহের কিছু আহকাম এমন আছে যা সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তিও বুঝে নিতে পারে। এর মধ্যে কোন অস্পষ্টতা বা বৈপরিত্য পরিলক্ষিত হয় না। এবং এর অর্থ বুঝে নিতে কোন ধরণের ব্যাক্ষা বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু এরই বিপরীতে কোরআন হাদীসের বহু আহকাম এমন আছে যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে অন্য
একটি আয়াত বা হাদীসের বিপরীত মনে হয়। এ ক্ষেত্রে এর সঠিক সমাধানে পৌঁছা দুস্কর হয়ে উঠে। এ সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন যারা একই সাথে কোরআন, হাদীস, ইজমা,কিয়া তথা উলুমে শরীতের উপর পারদর্শী যা কোরআন হাদীস থেকে মাসআলা বের করার জন্য অত্যাবশ্যক। এসব গুণের অধিকারী ছিলেন
আইম্মায়ে মুজতাহিদীন।
যে কথাটি এখানে বিবেচনা করার পয়োজন তা হলো, বর্তমান অধঃপতিত এ যুগে সত্যিকার অর্থে উক্ত গুণাবলীর অধিকারী পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এর বিপরিতে আইম্মায়ে মুজতাহিদীন
এক্ষেত্রে পূর্ণ যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন। তাই আয়াত ও হাদীস থেকে মাসআলা বের
করা তাদের জন্য সহজ ছিল। উপরন্ত মেধা, স্বরণ শক্তি ও আমানত দারীতায় তারা ছিলেন
অনন্য। তাই পরবর্তী উম্মত সকল
যুগে নিজেদের মেধা ও জ্ঞানের উপর ভরাস
না করে,পূর্ববর্তী ইমামদের থেকে যে কোন একজনকে মুকতাদা তথা পথ পদর্শক হিসাবে গ্রহণ করেছেন। যে ইমামগণ আহকামে শরইয়্যার প্রতিটি সুক্ষ থেকে সুক্ষ বিষয়ের উপর গবেষনা করে কোরআন হাদীস, ইজমা ও কিয়াসে শরয়ীর
আলোকে তার হুকুম বাতলে দিয়ে গেছেন। আইম্মায়ে কেরামের রেখে যাওয়া কোরআন হাদীসের সে বাস্তব রুপ রেখাকেই পরিভাষায় (ফিকহী) মাযহাব
বলা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
মোরশেদুজ্জামান বলেছেন: অনাবিজ্ঞের জন্য মাযহাব মানা ফরজ।