![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহলে- হাদীস ও মাযহাব
আহলে হাদীসের
বাস্তবতা ও মাযহাবের প্রযোজনিয়তা রাসূল সা. এর তেইশ বছর নববী জীবনের প্রতিটি বাণী এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি আচরণ- উচ্চারণ ও উঠা- বসাকে বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষণ
করা এবং হাদীসে নববীকে মিথ্যাচারীদের
বানানো অনুপ্রবেশ
ও অগ্রহণীয়
অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের ভুল- ভ্রান্তি থেকে মুক্ত
করে উম্মতের নিকট পৌঁছে দেয়ার
মহান ও গুরু
দায়িত্ব
যে উলামায়ে উম্মত
আঞ্জাম
দিয়েছেন
তাদের
“আহলে হাদীস
” বা আসহাবুল
হাদীস
বলা হয়।
ইসলামের
বিগত চৌদ্দশত
বছরের
ইতিহাসে বর্তমান
আহলে হাদীস
সম্প্রদায়ের
কোন অস্তিত্ব
পৃথিবীর বুকে
ছিল না ।
উপমহাদেশে বৃটিশ
শাসনামলে মুসলমানদের
মাঝে বিভ্রান্তি ও
মতপার্থক্য
সৃষ্টি করে তাদের
ধর্মীয় ও
জিহাদী চেতনাকে বিলুপ্ত
করার কুটিল
ষড়যন্ত্র
বাস্তবায়নের
জন্য বৃটিশ
সরকারের
প্রত্যক্ষ
সহযোগিতায়
তথাকথিত
আহলে হাদীস
সম্প্রদায়ের
জন্ম হয়।
সবচেয়ে মজার
ব্যাপার হলো,
এই
সম্প্রদায়টি ইংরেজদের
নিকট দরখাস্ত
প্রদান করে এই
আহলে হাদীস
খেতাবটি অর্জন
করে। স্বভাবতই
এ
দ্বারা প্রমাণিত
হয় যে, এদের
আহলে হাদীস
হওয়ার
পিছনে হাদীসের
কোন সম্পর্ক
নেই।
এখানে আহলে হাদীসের
সূচনা ও এই
উপাধি গ্রহণ
সম্পর্কে জনাব
মুহাম্মদ হুসাইন
বটালবীর
ঐতিহাসিক
দরখাস্তটি উল্লেখ
করছি যা ইংরেজ
সরকার
বাহাদুর বরাবর
তিনি পাঠিয়েছিলেন।
এ থেকেই স্পষ্ট
হয়ে যায় যে,
ইতিহাসের
কোন অংশ
থেকে তাদের
অস্তিত্বের
সূচনা হয়।
“আমি (মুহাম্মদ
হুসাইন
বটালবী) এ
বিষয়ে একটি কপি লিখিত
আবেদনের
মাধ্যমে পাঞ্জাব
গভর্নমেন্টের
বরাবর পেশ
করছি এবং দরখাস্ত
করছি যে,
গভর্নমেন্ট
যেন এ
প্রতিবেদনের
প্রতি লক্ষ্য
করেন
এবং ইন্ডিয়ান
গভর্নমেন্টকে এর
প্রতি লক্ষ
করতে উৎসাহিত
করেন। এ
দলটির
ব্যাপারে ওহাবী শব্দটি সরকারী চিঠিপত্রে ব্যবহার
করা বন্ধ
করে তাদেরকে আহলে হাদীস
নামেই যেন
সম্বোধন
করা হয়। তাই
পাঞ্জাবের
(সাবেক)
লেফটেনেন্ট
গভর্ণর
আনারবেল
স্যার চার্লস
এচিনের
সাহেব যেন
গভর্নমেন্টের
দৃষ্টি এ
দরখাস্তের
প্রতি আকৃষ্ট
কারে হিন্দুস্তান
গভর্নমেন্টের
অনুমতি ক্রমে দরখাস্তটি মুঞ্জুর
করেন
এবং তিনি যেন
ওহাবী শব্দটির
বিরোধিতা এবং আহলে হাদীস
নাম চালুকরার
হুকুম
পাঞ্জাবে জারী করেন।”
আপনাদের
একান্ত
বাধ্যগত
খাদেম
আবু সাঈদ
মুহাম্ম দ হুসাইন
সম্পাদক
ইশায়াতুস
সুন্নাহ
বৃটিশ সরকার এ
আহলে হাদীস
নামধারী সম্প্রদায়ের
বিভিন্ন
সহযোগিতা এবং বিশেষ
বিশেষ
ক্ষেত্রে তাদের
সৌহার্দ মূলক
আচরণের
বিনিময়ে মুহাম্মদ
হুসাইন
সাহেবের
দেয়া দরখাস্তটি বিনা বাক্যব্যয়ে গ্রহণ
করে নেয়।
পাঞ্জাব
সরকার সর্বপ্রথম
৩/১২/১৮৮৬
ইং তারিখে দরখাস্তটি মুঞ্জুুর
করেন।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য
প্রাদেশিক
সরকারও এই
স্বীকৃতি প্রদান
করেন।
মুক্তিপ্রাপ্ত
দলের নতুন
সংজ্ঞা
রাসূল সা.
ইরশাদ করেন
পূর্ববর্তী বনী ইসরাঈল
বাহাত্তুর
দলে বিভক্ত
হয়েছে আর
আমার উম্মত
তেহাত্তুর
দলে বিভক্ত
হবে। একটি দল
ব্যতীত
তাদের
সকলেই
জাহান্নামী।
সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন,
ইয়া রাসূলাল্লাহ!
সেই দল
কোনটি?
তিনি বললেন,
আমি ও আমার
সাহাবারা যে পথের
উপর
প্রতিষ্ঠিত
(তার
অনুসরণকারী দল)
অন্য
হাদীসে এরশাদ
করেন, আমার
পরে যারা আসবে তারা বহু
ইখতিলাফের
সম্মুখীন হবে।
তখন
তোমাদের
করণীয় হল,
আমার ও
হেদায়াত
প্রাপ্ত
খুলাফায়ে রাশেদীনের
সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা।
তোমরা দীনের
মধ্যে নব
উদ্ভাবিত
বিষয়
থেকে বেঁচে থাকবে।
কারণ সকল নতুন
জিনিস
বিদ‘আত। আর
বিদ‘আত হল
গোমরাহী।
( আবু দাউদ,
মুসনাদে আহমদ)।
এ উভয়
হাদীসের
ভিত্তিতে মুক্তি প্রাপ্ত
দলকে সাহাবাদের
যুগ
থেকে “আহলুস্সুন্নাহ
ওয়াল
জামাত” নাম
দেওয়া হয়েছে।
কারণ
মুক্তিপ্রাপ্ত
দলের
লোকেরা ইখতিলাফের
সময়
সুন্নতে রাসূলকে আঁকড়ে ধরে জামাতে সাহাবা এবং সর্বযুগে তাদের
অনুসারী হক
পন্থী জামাতের
সাথে থাকবে।
হযরত
ইবনে আব্বাস
(রাঃ) ও
ইবনে সীরীন
(রহঃ)থেকেও
এই বক্তব্যের
সমর্থন
পাওয়া যায়।
তাহলে বুঝা গেল
হাদীসে রাসূলের
আলোকে সাহাবা,
তাবেয়ীন
এবং সর্বযুগে মুক্তিপ্রাপ্ত
দলের
মহামণীষীরা এ
দলকে আহলুস্সুন্নাহ
ওয়াল জামাত
হিসাবেই
চিনেছিলেন।
কিন্তু লামাযহাবী সম্প্রদায়টি মুক্তিপ্রাপ্ত দলের
ব্যাপারে সর্বযুগে ঐক্যমত্যে গৃহীত
নাম বাদ দিয়ে এই
দলের নাম দিয়েছে “ আহলে হাদীস” এবং দাবী করেছে যে, তারাই একমাত্র মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
হাদীসে রাসূল সা. অস্বীকারের
একটি লোমহর্ষক চিত্র
উল্লেখিত হাদীসে রাসূল সা.
কঠোরভাবে উম্মাতকে সতর্ক
করেছেন যে,
তোমরা খুলাফায়ে রাশেদীনের
মত ও পথকে আঁকড়ে ধরবে।
কারণ এ মত ও পথ ব্যতীত সব
বিদ‘আত ও গোমরাহী।
বলাবাহুল্য
রাসূলের সুন্নত ও
খুলাফায়ে রাশেদীনের
সুন্নতের বাইরেই হল
বিদ‘আতের
অবস্থান এবং উভয়টির
সম্পর্ক একদম বিরীতমুখী।
কিন্তু আবিস্কৃত এ
দলটি খুলাফায়ে রাশেদীনের
সুন্নাতকে অস্বীকার
করে সেগুলোকে বিদ‘আত
বলে প্রচার করেছে। বহু
হাদীস ও সাহাবাদের
আমলের
মাধ্যমে তারাবীহর নামাজ বিশ
রাকাত প্রমানিত
হওয়ার পরও তারা বলে তারাবীহ
বিশ রাকাত পড়া ওমরের
বিদ‘আত। তাদের এ উক্তির
জবাবে আমরা শুধু শাইখুল ইসলাম
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার
বক্তব্য উদ্ধৃত
করছি “তারাবীহরনামাজ
বিদ‘আত নয়,বরং রাসূল সা. এর কথা ও
কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণিত সুন্নত । কারণ তিনি ইরশাদ করেন“ আল্লাহ তোমাদের
উপর রমযানের রোযা ফরয করেছেন আর
আমি রমযানের রাতে তারাবীহ
পড়া সুন্নত
করেছি” অনুরুপভাবে জামাতের সাথে তারাবীহ পড়াও বিদ‘আত নয়, বরং সুন্নত ।
কারণ রাসূল সা. রমযানের প্রথমভাগে দুই দিন
অথবা তিনদিন জামাতের
সাথে তারাবীহ পড়েছেন।
(হযরত ওমর (রাঃ) এর উক্তি এ তো উত্তম
বিদ‘আত) এর
ব্যাখ্যা হল, এখানে তিনি তারাবীহর নামাজ
জামাতের সাথে পড়ার সৌন্দর্য
প্রকাশ করতে গিয়ে শাব্দিক
অর্থের বর্ণনা দিতে বিদ‘আত
বলেছেন ।
শরীয়তের
পারিভাষিক
বিদ‘আত নয়।
কারণ
আভিধানিক
অর্থে বিদ‘আত
বলতে প্রত্যেক
নব উদ্ভাবিত
বিষয়কে বুঝায়।
(ইকতিযাউস
সিরাতিল
মুনস্তাকিম ২
৫৮৮-৫৮৯)
তেমনিভাবে তারা বলে,
এক
বৈঠকে তিন
তালাক পতিত
হওয়া ওমরের
বিদ‘আত ,
জুমার প্রথম
আযান
উসমানের
বিদ‘আত ড়ইত্যাদি (নাউযুবিল্লাহ)
তাদের
কাছে আমাদের
প্রশ্ন, হযরত ওমর (রা.) হযরত উসমান (রা.) কি খুলাফায়ে রাশেদা ছিলেন
না?
তাদের মত ও পথকে রাসূল সা. সুন্নাত কলেছেন তাকে আপনারা বিদ‘আত আখ্যা দেয়ার অধিকার কোথায় পেলেন?
সাড়ে তেরশ বছর পর যে মত ও পথ আপনারা আবিস্কার করেছেন সেগুলোকে প্রচার করছেন হাদীস বলে। আর এই
সূত্রে নিজেরা বনে গেলেন আহলে হাদীস।
এ কি হাদীসে রাসূলের সাথে প্রকাশ্য বেয়াদবী নয়
কি? যদি একে হাদীস অস্বীকার না । বলা হয়
তাহলে হাদীসঅস্বীকার করতে কী করতে হয় আমাদের একটু বলেদিবেন কি?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২১
মোরশেদুজ্জামান বলেছেন: মাযহাব মানা আবশ্যক