নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোরশেদুজ্জামান

আমি সত্যের অনুসন্ধানী। মিথ্যের কারাধনী।

মোরশেদুজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা মুসলিম না হানাফী?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২১

#বাংলা_অনুবাদ
বর্তমানে ফেতনার কবল থেকে রক্ষা পেতে হলে মাযহাব বাদ দিয়ে কুরআন ও হাদিসে ফিরে আসতে হবে। তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এমনটি দাবী করেছেন নামধারী আহলে হাদিসরা।
তাদের দাবী, আমরা মুহাম্মাদী। হানাফী বা ব্যক্তির অনুসরণে যাবো কেন? আমরা দলে দলে বিভক্ত হতে চাই না। আমরা মুসলিম। ভাই আপনি মুসলিম নাকি হানাফী?

#বেচারা_শব্দের_ব্যবহারও_জানে_না।

আলহামদুলিল্লাহ। এতদিন সব ঠিক
ছিল। কিন্তু বর্তমানে কিছু
আহলে হাদীস (!!!) ভাই
মুজতাহিদ হয়ে গেছেন। তাই
সমস্যার সৃষ্টি...............
আপনি বলেছেন,
আমরা দলে দলে বিভক্ত
হতে চাই না। আমরা মুসলিম। ভাই আপনি কি ? মুসলিম ? নাকি হানাফি?
কিছু বাদ গেছে জনাব... নাকি আহলে হাদীস? নাকি সালাফী?
নাকি মুহাম্মদী? নাকি ওয়াহাবী?
সাহাবায়ে কিরামের মাঝে এ
ব্যাপারে ঐক্যমত্ব ছিল যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. সবচে’
উত্তম ছিলেন। এজন্য কাউকে আবু বকরী বলা হয়না। তারপর হযরত ওমর
রা. এর ব্যাপারেও কোন মতভেদ
ছিলনা। এজন্য কাউকে ওমরী বলা হয়না। হযরত উসমান রা. এবং হযরত আলী রা.এর ব...ব্যাপারে কিছু ইখতিলাফ ছিল।
জমহুর সাহাবীরা হযরত উসমান রা. কে হযরত আলী রা. থেকে উত্তম বলতেন।
স্বাতন্ত্রতার জন্য হযরত। উসমানকে উত্তম বলাকারীদের উসমানী বলা হয়। আর আলী রা. কে উত্তম বলাকারীদের
আলিয়ী বলা হয়। কিছু তাবেয়ীকে উসমানী এবং আলিয়ী বলার
বর্ণনা বুখারী শরীফের ১ নং খন্ডের ৪৩৩ নং পৃষ্টায় আছে। কুরআনে পাকের ক্বিরাতের মাঝে যখন ইখতিলাফ হয় তখন স্বাতন্ত্রতার জন্য ক্বারী আসেম
রহ. এর ক্বিরাত এবং ইমাম
হামযাহ রাহ. এর ক্বিরাত রাখা হল। এটাকে কেউতো এই উদ্দেশ্য নেয়নি যে, এটা আল্লাহর কুরআন নয়, বরং ক্বারী আসেমের বানানো! হাদিসের মাঝে মতভেদ হলে বলা হয়
এটা আবু দাউদের হাদিস আর এটা বুখারীর হাদিস। এই কথার
উপরও কেউ কুফরীর নিসবত
করেনাতো! ঠিক এমনি হাল ফিক্বহী বিষয়ে মতভেদের সময়‘হানাফী” আর “শাফেয়ী” বলাটা। আমরা ঈসায়ীদের বিপরীতে নিজেকে মুসলমান বলি। আহলে বিদআতি খারেজী মুতাজিলীদের বিপরীতে নিজেদের আহলে সুন্নাত বলি। আর শাফেয়ীদের বিপরীতে নিজেদের হানাফী বলি। যেমন আমরা ভারতীদের বিপরীতে নিজেদের
পাকিস্তানী বলি।
(আমরা বলি বাংলাদেশী-অনুবাদক) জাতিভেদের বিপরীতে বলি আমরা পাঞ্জাবী, লাহোরীদের বিপরীতে এসে বলি ওকারওয়ী। ওকারওয়ী পাঞ্জাবী, পাকিস্তানিকে মেনে বলা হয়, ছেড়ে নয়। বেচারা প্রফেসর সাহেবের এই অবস্থা হল যে, “নাকি” শব্দের ব্যবহারও সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানেননা। এই শব্দটি একই প্রকারের ক্ষেত্রে আসে।
যেমন আজ শনিবার নাকি রবিবার? আজ নভেম্বর নাকি ডিসেম্বর? সুতরাং প্রশ্ন হবে-“তুমি মুহাম্মদী না ঈসায়ী? তুমি হানাফী না শাফেয়ী? ” কিন্তু একথা বলা ভুল এবং হাস্যকর যে, “তুমি পাকিস্তানী না পাঞ্জাবী?
আজ নভেম্বর না শনিবার?
তুমি হানাফী না মুহাম্মদী?”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৮

খেলাঘর বলেছেন:


আমরা বাংগালী

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

মোরশেদুজ্জামান বলেছেন: বাঙ্গালী & বাংলাদেশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.