![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তথাকথিতো আহলে হাদিস ওরফে নামধারী সালাফীরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে এমন প্রশ্ন করে থাকে,
""সাহাবায়ে কেরাম রা: কি মাযহাব মানতেন""???
লেখক মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম...
উত্তর,
জ্বী, সাহাবায়ে কিরাম রা: ও মাযহাব তথা তাকলীদ করতেন। মুজতাহিদ সাহাবায়ে কেরাম রা: ছাড়া বাকী সমস্ত সাহাবায়ে কেরামরা রা: মাযহাব মানতেন।
কারাণ সাহাবায়ে কিরাম যারা সরাসরি রাসূল সাঃ এর কাছে ছিলেন তাদের জন্য রাসূল
সাঃ এর ব্যাখ্যা অনুসরণ করা ছিল আবশ্যক।
অন্য কারো ব্যাখ্যা নয়। কিন্তু যেই সকল সাহাবারা ছিলেন নবীজী সাঃ থেকে দূরে থাকতেন তারা সেই স্থানের বিজ্ঞ সাহাবীর
মাযহাব তথা মত অনুসরণ করতেন। যেমন
ইয়ামেনে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এর মত তথা মাযহাবের অনুসরণ হত। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ কে অনুসরণ করতেন ইরাকের মানুষ।
রাসূল সাঃ যখন মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেন তখন মুয়াজ রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছে বিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমি কিভাবে ফায়সালা করবে?" তখন তিনি বললেন-"আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূল সাঃ বললেন-"যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও? "তিনি বললেন-"তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত
দ্বারা ফায়সালা করব"। রাসূল সাঃ বললেন-"যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?" তখন তিনি বললেন-"তাহলে আমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব"। তখন রাসূল সাঃ তাঁর বুকে চাপড় মেরে বললেন-"যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল
সন্তুষ্ট"। {সূনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৯৪, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২০৬১}
এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় হযরত মুয়াজ রাঃ বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলে নিজ থেকে ইজতিহাদ
করব, আল্লাহর নবী বললেন-"আল হামদুলিল্লাহ"। আর ইয়ামেনের লোকদের উপর হযরত মুয়াজের মত তথা মাযহাব অনুসরণ যে আবশ্যক এটাও কিন্তু হাদীস দ্বারা স্পষ্ট। এছাড়া সাহাবাদের যুগে যে সকল সাহাবাদের মাযহাব তথা মত অনুসরণীয় ছিল। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল- হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাঃ,
হযরত আলী বিন আবু তালিব রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ, হযরত আয়েশা রাঃ, হযরত জায়েদ বিন সাবেত রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ
বিন আব্বাস রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর
রাঃ প্রমূখ সাহাবাগণ। তাবেয়ীদের মাযহাবঃ তাবেয়ীরা যেই সকল এলাকায় থাকতেন, সেই সকল এলাকার বিজ্ঞ সাহাবীদের বা বিজ্ঞ
মুজতাহিদের মত তথা মাযহাবের অনুসরণ করতেন। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন-
হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব রহঃ, হযরত আবু সালমা বিন আব্দির রহমান রহঃ, হযরত ওরওয়া বিন জুবাইর রহঃ হযরত কাসেম বিন মুহাম্মদ রহঃ, হযরত সুলাইমান বিন ইয়াসার রহঃ,
হযরত খারেজা বিন জায়েদ রহঃ প্রমূখবৃন্দ।
তারপর মদীনায় যাদের মত তথা মাযহাবের অনুসরণ করা হত তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য
হল-হযরত ইমাম জুহরী রহঃ, হযরত
ইয়াহইয়া বিন সাঈদ রহঃ, হযরত রাবিয়া বিন
আব্দির রহমান রহঃ। আর মক্কা মুকার্রমায় ছিলেন
আতা বিন আবি রাবাহ রহঃ, আলী বিন আবি তালহা রহঃ, আব্দুল মালিক বিন জুরাইজ রহঃ প্রমূখ। আর কুফায় ছিলেন হযরত ইবরাহীম
নাখয়ী, আমের বিন শুরাহবীল, শা’বী, আলকামা, আল আসওয়াদ রহঃ। আর বসরায় ছিলেন-হাসান বসরী রহঃ। ইয়ামানে হযরত
তাওস বিন কায়সান রহঃ। শামে হযরত মাকহুল
রহঃ প্রমূখ।
যাদের ফাতওয়া বিধৃত হয়েছে- মুয়াত্তাগুলোতে।
মুসনাদগুলোতে, আর সুনানগুলোতে, যেমন
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, কিতাবুল আসার, শরহু মায়ানিল
আসার ইত্যাদী গ্রন্থে। {উসুলুল ইফতা লিত
তাক্বী উসমানী দাঃবাঃ} কুরআন ও হাদীস দেখে আমল করলে অসুবিধা কোথায়? কী কী অসুবিধা তা আশা করি "মাযহাব কেন"? তে বুঝতে পেরেছেন
মুহাদ্দিসগণের মাযহাব??? বাকী.........চলবে......
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
মোরশেদুজ্জামান বলেছেন: ভাইয়া! দয়া করে বাংলায় প্রশ্ন করুন। আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে, ইনশা আল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
হানিফঢাকা বলেছেন: I made some comments on your earlier post on same subject. Please comment and answer.
Now, the people you mentioned in your writing, have you ever read this book? what was their teaching?
First read then write.