![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষক
একজন গুণী মানুষের পক্ষ থেকে সকল দল ও সকল মানুষের কল্যাণ কামনার অর্থ
(১ম পর্ব)
একজন গুণী মানুষ সকল মানুষেরই কল্যাণ চান, সকলের মুক্তি চান, সকলেরই উপকার করতে চান, সকলকেই অনিষ্টতা থেকে মুক্ত করতে বা মুক্ত রাখতে চান। এরূপ একজন ব্যক্তি যখন বলেন যে, প্রতিটি মানুষ ও প্রতিটি দলকেই আমি ভালোবাসি এবং প্রতিটি মানুষ ও প্রতিটি দলেরই কল্যাণ কামনায় আমি আন্তরিক। তখন কারো কারো মনে আসতে পারে যে, এটা আবার কেমন কথা! এটা কীভাবে সম্ভব? কেননা, সমাজে সব সব লোক ও সব দলতো আর ভালো নয়। সমাজে ভালো-মন্দ দু’ধরণের দল ও লোকইতো রয়েছে। ভালো মানুষ ও দলের কল্যাণ তো কামনা করা যায়, কিন্তু মন্দ মানুষ ও মন্দ দলের কল্যাণ কামনা করা যেতে পারে কীরূপে? এমন হলে তো মন্দ মানুষ বা মন্দ দলের পক্ষ অবলম্বন হয়ে যায়। আর এটা ন্যায়পরায়নতার পরিপন্থী। কাজেই বিষয়টি ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকে তৈরি করা হয়েছে গোটা মানব জাতির কল্যাণ সাধনের জন্যে। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত নম্বর ১১0) সকল ধর্মগুরুগণ ‘হে আমার জাতির লোকেরা’ অথবা ‘হে মানব সকল’ ইত্যাদি বলে সকল মত ও পথের লোকদেরকে সম্বোধন করে কথা বলেছেন। নবি মুহাম্মদ সঃ বিভিন্ন ধর্মের লোকদেরকে নিয়ে মদীনায় জোট সরকার গঠন করেছিলেন। তাইতো আধ্যাত্মিক জগতের মনীষীদের প্রতি সকল ধর্ম ও সকল মতের লোকদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। সারকথা প্রকৃত আধ্যাত্মিক সাধকগণ ও মানব দরদী নেতারা সকল দল ও মতের লোকদের নিয়ে ভাবেন, সকলের কল্যাণ কীভাবে করা যায়—তা নিয়ে চিন্তা করেন, সকলের কল্যাণকামী ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাইতো সকল দল ও মতের লোকেরা ছায়াদার গাছের নিচে যেভাবে ভিড় করে, তেমনি ঐ ধরণের মনীষীদের কাছে নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য আশ্রয় গ্রহণ করে এবং নিজেদের আপন হিসেবে গ্রহণ করে কল্যাণপ্রাপ্ত হবার চেষ্টা চালায়।
©somewhere in net ltd.