নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের চেয়ে জীবন গুরুত্বপূর্ণ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬


গতকাল রাতে এবং আজ সকালে দু দুটো মর্মান্তিক দূর্ঘটনা হতে হতে হয় নি।।ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনেই ঘটেছে এবং ঘটনার আকস্মিকতায় আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

প্রথম ঘটনাটি গতকাল রাতের। চাষাড়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সড়ক। ট্রেন আসবে বলে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি একটা ব্যারিকেডের পাশেই রিকশায় ছিলাম। তখন দেখলাম আমার রিকশার পাশ দিয়েই এক দম্পতি তাড়াহুড়ো করে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছিলো।কিন্তু তারা পার হবার আগেই ট্রেন এসে যায় তাদের কাছাকাছি। এই অবস্থায় দম্পতির পুরুষ সঙ্গী ছিলেন লাইনের ভেতরে এবং মহিলা তখন লাইনের ওপর এক পা দিয়েছেন।তখন মহিলার হঠাৎ মনে হয় তিনি পার হতে পারবেন না।তখনই পুরুষের শার্ট টেনে ধরেন তিনি।কিন্তু পুরুষটি প্রায় পার হয়ে গিয়েছিলেন।তাই তিনি মহিলাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে নিজেও বাইরের দিকে ঝাঁপ মারেন।ফলে দুইজনই বেঁচে যান। পাশেই এক মুরুব্বি ছিলেন।তিনি পুরুষটির দিকে এগিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসা করেন তিনি ঠিক আছেন কিনা।পুরুষটি ঠিক আছি বলার সাথে সাথেই মুরুব্বি পুরুষটির বামগালে কষে একটা চড় মারেন তার বোকামির জন্য।আর এক সেকেন্ড দেরি হলেই দুজনেই কাটা পড়তেন ট্রেনের নিচে।

আজ সকালে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ মহাসড়কে শিবুমার্কেট এলাকায় তাড়াহুড়ো করে রাস্তার মাঝখান থেকে বাসে ওঠার সময় দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে যান এক লোক।যদিও তিনি জীবিত ও অক্ষত। তবে পাজড়ে বেশ ভালো চাপ খেয়েছেন।হয়তো হাড় দুয়েকটা ভেঙেছে।তবে তিনি যেভাবে দুই বাসের মধ্যে আটকে গিয়েছিলেন তাতে যে তিনি বেঁচে ফিরেছেন সেটাই তার ভাগ্য।

আমরা যারা গণপরিবহনে বা ব্যস্ত রাস্তায় যাতায়াত করি আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভুল করলে সংশোধন করা যায়, কিন্তু মরে গেলে আর ফিরে আসা যায় না। দেরি হয়ে গেলে হয়তো আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।কিন্তু আমরা বেঁচে থাকবো। বেঁচে থাকাটাই বড় কথা।সময়ের চেয়ে জীবন গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক দুর্ঘটনার জন্য পথচারীরা দায়ী। কিন্তু আমরা বেশীরভাগ সময় ড্রাইভারদের দোষ দেই। তবে এটা ঠিক পাবলিক বাসের চালকদের অধিকাংশ নেশাগ্রস্ত। তাই চালক ও পথচারী উভয়কেই সজাগ থাকতে হবে ও সড়কের আইনগুলি মানতে হবে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: পুলিশ স্পটে না থাকলে কেউই মানতে চায় না কোনোকিছু।প্রথম ঘটনায় দোষ পথচারীর।আর দ্বিতীয় ঘটনায় দোষ পথচারী, ড্রাইভার দুজনেরই। আইন মানতে তো হবেই।সাথে আমাদের নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে চলাচলের সময়। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যি কথা কী, প্রথম ঘটনাটা পড়ার সময় আমি নিজেই ভয় পেয়ে গিয়েছি। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক অনেক অনেক বেশি। এ কথাটা লাস্ট প্যারার মাত্র আড়াই লাইনেই খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু আমরা খুব আহাম্মক, জীবনের কোনো মূল্যই যেন আমাদের কাছে নেই, তাই ১/২ মিনিট সময় বাঁচানোর জন্য জীবনটাকে ফেলে দিই ট্রেনের নীচে, কিংবা দুই বাসের মাঝখানে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রথম ঘটনার সময় আমি রিকশা থেকে "আরে আরে করে কী? "বলে চিৎকারও করেছিলাম।কিন্তু মাত্র এক-দেড় সেকেন্ডের মধ্যেই যা ঘটার ঘটে গেছে। তাদের কপাল ভালো ছিলো আসলে। দ্বিতীয়টা আরও ভয়ার্ত ছিলো। দুই বাসের একটাতে আমি জানালার পাশে বসা ছিলাম।আমার সামনের জানালাতেই এই ঘটনা।লোকটার অবস্থা দেখে আমার মনে হচ্ছিলো যেন আমি নিজেই বাসের চিপায় পড়ে গেছি। লোকটার ভয়ার্ত চোখ আর চিৎকার মনে গেঁথে আছে।কারো কিছুই করার ছিলো না।এই লোকও ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছে।

আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

মুক্তা নীল বলেছেন:
স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই সৌভাগ্যক্রমে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন।
প্রায়ই এ ধরণের রেললাইনে দুর্ঘটনা শোনা যায় তারপরও
মানুষ যে কেন সচেতন হয় না সেটাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভেবেছিলো ট্রেন আসার আগেই পার হয়ে যাবে।ট্রেনের গতি আন্দাজ করতে পারে নি।এসব সামান্য ভুলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলাম। হাশারা আর চাশাড়া। সন্ধ্যায় গেলাম দেওভোগ। আইভি আপা অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু বাস স্টেশন এলাকা খুবই নোংরা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একেবারে প্রধান বাসস্ট্যান্ড নোংরা ।সেখানে রাত দশটার পরই গণিকা আর মাদকের আড্ডা বসে।সবাই সব জানে।কিন্তু কেউ কিছু করে না।বাস চালক শ্রমিকদের সংগঠন খুবই শক্তিশালী।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট। ভালো লাগলো।

মানুষ দুই মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে সারা জীবনের জন্য স্থবির হয়ে পড়ে। আপনার প্রথম গল্পে মুরুব্বি লোকটিকে চড় মেরে ঠিক কাজ করেছেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আসলে আমরা যত উন্নতি,উৎকর্ষ আর ক্যারিয়ারের কথা বলি না কেন নিজের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছুই নেই।ব্যস্ত জীবনের ছোটাছুটিতে আমরা এই কথাটি ভুলে যাই।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৯

স্থিতধী বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাস চালক শ্রমিকদের সংগঠন খুবই শক্তিশালী।

এই মালিক- চালক সংগঠনটি যতদিন এমন শক্তিশালী থাকবে আর অনৈতিকভাবে যা খুশী তা করে আইন কে অবজ্ঞা করে যেতে পারবে ততদিন এদেশের নিরাপদ সড়কের কোন নিশ্চয়তা থাকবেনা। আর এদেশে অনিরাপদে চলাচল করা পথচারীরও আইনের আওতায় কিছু শাস্তি- জরিমানা হওয়া অতি প্রয়োজন। প্রচুর পথচারী আছে যারা এক কথায় খামখেয়ালী ও অবিবেচক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সংগঠনের নেতারা আছেন সংসদে। তাদের আর পায় কে? সাধারণ পরিবহনের চেয়ে ট্রাক চালক সমিতি আরো বেশি শক্তিশালী। খামখেয়ালী লোকজনদের জন্য শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা না করলে হবে না। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.