নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুকুর

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯



প্রসন্ন গোয়ালিনীর গরুচুরির মামলাখানি চরম মাত্রায় প্রভাব বিস্তার করিয়াছে কমলাকান্তের মনে বিশেষ করিয়া তস্করের অভিশাপখানি। তখন সেই কথাখানি সে হাসিয়া উড়াইয়া দিয়াছিলো।কিন্তু এখন যখন আফিঙের নেশায় তাহার অন্তর্চক্ষু উন্মিলিত হইতেছে তখন তস্করের অভিশাপখানি তাহার চিত্তের অনেকখানি জায়গা অধিকার করিয়া বসিয়াছে। কী কঠিন একখানি কথা বলিয়াছে তস্কর !! বুদ্ধি চুরি করিয়া ফেইসবুকে প্রকাশ করিবে !! বুদ্ধি চুরিই বা কীরূপে করিবে? আর ফেইসবুকেই বা কীরূপে প্রকাশ করিবে? ফেইসবুক কী? ইহা কী কোনো পত্রিকা? পত্রিকা হইলে ইহার নাম কেন শুনিলাম না।ভাবিতে থাকে কমলাকান্ত। বঙ্গদর্শন, সম্বাদ কৌমুদী সম্পর্কে শুনিয়াছি। ফেইসবুকই বা কেমন পত্রিকা? ইহার সম্পাদক কে? নসীবাবুর কাছে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলো কমলাকান্ত ফেইসবুকের ব্যাপারে। নসীবাবু ডিকশানারি ঘাটিয়া বলিলেন,"ফেইসের অর্থ হইতেছে অবয়ব,আকৃতি,চেহারা,গড়ন ইত্যাদি ইত্যাদি।আর বুকের মানে পুস্তক। এর মানে দাড়াইতেছে ইহা অবয়বের পুস্তক।" ব্যাখ্যাখানি কমলাকান্তের মনঃপুত হইলো। মনে মনে ভাবিলো, বড় ভালো হইয়াছে। এই পত্রিকায় সকলের চেহারা বা আসল রূপ জানা যাইবে। সকলের চিন্তা-ভাবনা,মন-মানসিকতা,নীচতা-উদারতা সকলকিছু সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যাইবে। সকলের চেহারাকে অবমুক্ত করিয়া দিবে উহা। সাধু! সাধু! আহা এই পত্রিকাখানি নেপোলিয়নের সময় থাকিলে তাহাকে ওয়াটার লু যুদ্ধে হারিয়া গিয়া সেন্ট হেলেনায় নির্বাসনে যাইতে হইতো না। ফেইসবুক আগেই ডিউক অব ওয়েলিংটনের সকল বুদ্ধি প্রকাশ করিয়া দিতো। জিতিয়া যাইতো নেপোলিয়ন। আবার এমনও হইতে পারিত যে ডিউক অব ওয়েলিংটনের মতলব জানিতে পারিয়া নেপোলিয়ন এই পত্রিকায় তাহাকে গালাগালি করিয়া, খিস্তি করিয়া হারাইয়া দিত।ফলে যুদ্ধ করিয়া প্রাণ হারাইতে হইতো না কাওকে। কমলাকান্ত দিব্য দৃষ্টিতে দেখিতে পাইতেছে তাহার সামনে বসিয়া আছে ডিউক অব ওয়েলিংটন।তাহার দুধের বাটি হইতে সমস্ত দুধ চুকচুক করিয়া খাইতেছে জিহ্বা দিয়া। মানুষ হইয়া এইরূপে চুকচুক করিয়া জিহ্বা ডুবাইয়া কেন খাইতেছে সে? ঢকঢক করিয়া কেন গিলিতেছে না?

কমলাকান্ত তাহাকে সম্বোধন করিলো "ইয়োর ম্যাজেস্টি!!!!" কিন্তু অপর দিক হইতে উত্তর আসিলো-ঘেউউউউউউ।

আপন কর্ণদ্বয় কে বিশ্বাস করিতে পারিলো না কমলাকান্ত।সে আবার ডাকিলো " লাট সাহেব!!" কিন্তু আবারো সেই একই জবাব। ঘেউউউউউ!!

এইবার সে ডিউক অব ওয়েলিংটনের দিকে উত্তমরূপে তাহার দৃষ্টি প্রসারিত করিলো। দেখিলো সেখানে ডিউক অব ওয়েলিংটন নহে,বসিয়া আছে একখানি দেশি নেড়ি কুকুর। ইহা দেখিয়া তাহার পার্শ্বস্থ লাঠিখানি দক্ষিণহস্তে ধারণ পূর্বক সারমেয় মহাশয়কে মারিতে উদ্যত হইলো। কিন্তু তৎখনাৎ এক অভাবনীয় ব্যাপার ঘটিয়া গেল। সে পরিষ্কার কর্ণে শ্রবণ করিলো কুকুরখানি তাহাকে বলিতেছে "মারিও না,মারিও না!! তিষ্ঠ বৎস! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! আমার বাক্যগুলি শ্রবণ করো,যেমন বিড়ালেরটা করিয়াছিলে বহুকাল আগে!!""

কমলাকান্ত ভাবিলো, "এ তো বিষম বিপদে পড়া গেল হে!! প্রাণীর কথা শুনিতে পাই কেন? আর এই প্রাণীরাই ইহা কীরূপে জানিলো? বহুকাল আগে বিড়াল আসিয়াছিলো, আজি কুকুর আসিয়াছে,আগামীকল্য গাঁধা আসিবে তাহার দুঃখের কথা বলিতে। বিড়াল দ্বারা সে আচ্ছারূপে জব্দ হইয়াছিলো,এইবার কুকুর কী করিবে ভাবিয়া শংকিত হয় কমলাকান্ত!! এইবার ভাবিলো সে কুকুরকে কথা বলিতে সুযোগ প্রদান করিবে না।

" চুরি করিয়া কেন দুধ খাইতেছ তাহা বুঝিতে পারিয়াছি।বিড়াল সব বলিয়াছে।ক্ষুধার জ্বলায় চুরি করিতেছ। সোশিওলজি,বুর্জোয়া,প্রলেতারিয়েত সবকিছুর সমাধা হইয়া গিয়াছে বিড়ালের সহিত। তড়িঘড়ি দুধ খাইয়া কাটিয়া পড়ো।" বিরক্তির সহিত বাক্যবাণ নিক্ষেপ করিলো কুকুরের প্রতি কমলাকান্ত। ইহাতে কুকুরের কোনো ভাবান্তর হইলো বলিয়া প্রতীয়মান হইলো না। সে পরিষ্কার ভাষায় বলিলো, "বিড়ালের বক্তব্য বিড়াল বলিয়াছে।আমার বক্তব্য আমি প্রদান করিবো।"

কমলা-ঘুরিয়া ফিরিয়া তো সেই একই কথা বলিবে।শ্রবণ করিয়া লাভ কী?

কুকুর- আগে শুনিয়াই দেখ না একটি বার!! চলিয়া যাইবো। আমারো কাজ রইয়াছে বহু!!

কাজের কথা শুনিয়া কমলাকান্তের মন বিক্ষিপ্ত হইলো পুনরায়। আহা! কুকুরেরও কাজ রইয়াছে।অথচ আমি আফিঙ খাইয়া ফেইসবুক লইয়া ভাবিতেছি! কুকুরেরও অধম আমি!!

কুকুর- এই যে! এই কারণেই আমি আসিয়াছি তোমার নিকট। নিশ্চয়ই আপনাকে কুকুরের চাহিয়াও নিকৃষ্ট ভাবিয়াছ??

কমলাকান্ত আশ্চার্যান্বিত হইয়া ভাবিলো, "এ আমার মনের কথা জানিলো কী করিয়া? তৎক্ষনাৎ কুকুর বলিলো - "এশুধু তোমার মনের কথা নয় হে কমলা ইহা মনুষ্যজাতির মনের কথা।"

কমলা-আমাদিগের মন।আমরা যাহা খুশি তাহা ভাবিয়া লইবো।তাহাতে তোমার কী???

কুকুর- তোমাদিগের ভাবনা তোমাদিগের নিজস্ব সম্পত্তি। উহাতে আমার নাক গলাইবার কোনো ইচ্ছা নাই। কিন্তু উহা তো যুক্তিযুক্ত হইবার দাবি রাখে।

কমলা - অযৌক্তিক চিন্তা কোথায় করিলাম?

কুকুর- এই যে আপনাকে কুকুরের চাইতে নিকৃষ্ট ভাবিলে।উহা কেন করিলে? কুকুর জাতিকে এত নিচুতে স্থাপিত করিয়াছ কেন তোমরা? তোমরা মনুষ্যজাতি মন্দ কিছু করিলে আমাদিগকে গালি দাও কীসের নিমিত্তে?

কমলা- তোমাদিগকে কখন গালি দেই মোরা? আমরা তো মনুষ্যকেই গালি দিই।তাহাকেই ভর্ৎসনা করি।

কুকুর- মোটেও না।তোমরা আমাদিগকেই গালি দাও।তোমাদিগের অপরাধ আমাদিগের ঘাড়েই চাপাইয়া দাও। পান হইতে চুন খসিলেই "কুত্তার বাচ্চা" "কুত্তার জাত" বলিয়া গালি দাও। "মনুষ্যের বাচ্চা" কদাপি বলো না। আমাদিগের ওপরে তোমাদিগের এত আক্রোশের হেতু কী?

কমলা- কুকুর অতি নোংরা প্রজাতির প্রাণি। ইহারা ময়লার ভাগার হইতে খাদ্য খুঁজিয়া খায়। পরিবেশ নোংরা করিয়া রাখে। যেখানে সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ করিয়া পরিবেশ দূষিত করিয়া রাখে।

কুকুর-ইহা তো পক্ষান্তরে তোমাদিগেরই বৈশিষ্ট্য হইলো।আমরা আর কতখানিই বা ময়লা করি পরিবেশ! তোমাদিগের ময়লাতেই তো প্রাণিকুল তটস্থ।তাহাদের জীবন প্রায় বিপন্ন। কুকুর কি আর সাধ করিয়া ময়লা হইতে খাদ্য খুঁজিয়া খায়? আমরা খাদ্য না পাইয়া ক্ষুধার জ্বালায় ময়লার ভাগারে যাই,যাহাতে তোমাদের ফেলিয়া দেওয়া কিছু উচ্ছিষ্ট খাইয়া তখনকার ক্ষুধা মিটাইতে পারি। কিন্তু এখনকার সময়ে উহাও কঠিন হইয়া যাইতেছে। তোমাদিগের সীমাহীন অন্যায় ও লোভের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া তোমাদিগের জ্ঞাতি কিছু মনুষ্য আমাদিগের খাদ্যে ভাগ বসাইয়াছে।তাহারা এখন আমাদিগের সহিত যুদ্ধ করিয়া ময়লার ভাগার হইতে আমাদিগের খাদ্য কাড়িয়া খায়। তোমরা তোমাদিগের জ্ঞাতিকেও ছাড়িতেছ না।অথচ গালি দেওয়ার বেলায় শুধু কুকুরকেই চোখে পড়ে।

এইবার খানিকটা নড়িয়া-চড়িয়া বসিলো কমলাকান্ত।আগেরবার বিড়ালের সহিত কথোপকথনে জব্দ হইয়াছে।কুকুরের নিকট হারিলে চলিবে না।যেইভাবেই হোক তাহাকে দমাইতে হইবে।কুকুরকে জব্দ করিবার এক মোক্ষম যুক্তি তাহার মনে আসিলো।এক নিঃশ্বাসে সে উহা বলিয়া গেল কুকুরকে।

কমলা- কুকুর মনুষ্যপ্রজাতির সবচেয়ে বড় শত্রু।তাহাদের ডাকে আমাদিগের রাত্রিকালীন নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটে। ঘেউ ঘেউ শব্দ করিয়া তেড়ে আসে মনুষ্যের দিকে।তাহাদের দংশন করিয়া যাতনা প্রদান করে। কুকুরের দংশনে জলাতঙ্ক হয়।তাছাড়া কুকুরের অভ্যন্তরে সভ্যতার লেশমাত্র অনুপস্থিত। যেখানে সেখানে রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হয় তারা। কার্তিক মাসে তো তোমাদের জ্বালায় মনুষ্যপ্রজাতির চোখ বন্ধ করিয়া চলিতে হয়।

কুকুর- কুকুরের মতোন প্রভুভক্ত প্রাণী দিত্বীয়খানি নাই। উহারা মনুষ্যের ন্যায় বিশ্বাসঘাতকতা করে না।কুকুরেরা তোমাদিগের কুমতলব আঁচ করিতে পারে।যাহার ফলে সে ঘেউ ঘেউ করিয়া তোমাদিগকে সতর্ক করিবার প্রয়াস চালায়।আমরা রাত্রি জাগিয়া তোমাদিগের ঘরদোর পাহারা দিই,যাহাতে তোমরা শান্তিতে নিদ্রা যাইতে পারো। জলাতঙ্কের কথা বলিতেছ? তোমরা যেরূপে নদ-নদী,খাল-বিল জলাশয় নোংরা করিয়া রাখিয়াছ উহার দিকে দৃষ্টিপাত করিলে তোমাদিগের এমনিতেই জলাতঙ্ক হইবে। আবার কুকুরকে অসভ্য বলিতেছ? তোমরা কি খুব সভ্য? কখনো শুনিয়াছ যে কোনো কুকুর অন্য কুকুরকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিয়া মারিয়া রাখিয়াছে? তোমরা এইকাজ প্রত্যহ করিয়া থাকো দেশের আনাচে কানাচে। তাহার পরও এইভাবে বসিয়া আফিঙ খাও কী করিয়া? এখন লজ্জা করে না?? লজ্জা শুধু কুকুরের রতিক্রিয়ায়?

এইবার কমলাকান্ত বড়ো ব্যাথিত হইলো।কুকুর সত্যি কথাই বলিয়াছে। আসলেই মনুষ্যসমাজের মতো অসভ্য দিত্বীয়টি নাই। কিন্তু কুকুরের নিকট পরাজিত হওয়া চলিবে না। ইহা মনুষ্যজাতির জন্য অপমানজনক। এইবার সে তাহার মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করিতে মনস্থির করিলো। সে চেষ্টা করিবে উপদেশ প্রদান করিয়া ধম্মের কথা শোনাইয়া তাহাকে পথে আনিতে হইবে। সে বলিল-

কমলা- দেখ তোমাদিগের কর্মকাণ্ডে উত্তম জিনিস নিহিত থাকিলেও তাহা বিরক্তির উদ্রেক করে। মনুষ্যজাতি শান্তিপ্রিয় জাতি। তাহারা শান্তিতে বসবাস করিতে ভালোবাসে। তোমাদিগের কারণে তাহাদের শান্তি নষ্ট হইয়া থাকে। ইহা ছাড়াও ধম্মশাস্ত্রে কুকুরজাতিকে নিকৃষ্ট বলিয়া রায় দেওয়া হইয়াছে। এটা তোমাকে মানিতেই হইবে। নইলে অধম্ম হইবে।

কুকুর- কুকুরকে ধম্ম শিখাইতে আসিও না বৎস। আমাদিগের ন্যায় সৎ ও বিশ্বস্ত প্রাণী দ্বিতীয়টি পাইবে না। তোমাদিগের অভ্যন্তরে ইহার অভাব প্রকট। তোমরা টাকা খাইয়া দুনম্বরি করিয়া থাকো। আমরা কদাপি অন্যের খাদ্য খাইয়া প্রভুর সহিত দুনম্বরি করি না। আমাদিগের সততা আমাদিগের আজীবনের সঙ্গী। আর শান্তির কথা বলিতেছ? পৃথিবীব্যাপীয়া এত হানাহানি,যুদ্ধ, মারামারি কি কুকুরেরা করিতেছে? তোমরাই সারা জগৎ অশান্ত করিয়া রাখিয়াছ। পরিবেশ নোংরা করিতেছ।অনিরাপদ করিয়াছ বসুন্ধরাকে সকলের জন্য। ইহার দায় সর্বদাই আমাদিগের ওপর চাপাইয়া দিয়া বসিয়া থাকো তোমরা। গালি দেবার বেলায় আমরা।তুচ্ছ কারণে মারিয়া ফেলিবার বেলায় আমরা। ধম্মশাস্ত্রে তো তোমাদিগকে সকল প্রাণীর উর্ধ্বে তুলিয়া ধরা হইয়াছে।তোমরা কী তাহার মান রাখিতে পারিয়াছ? হেন কোনো অপকর্ম নাই যাহা তোমরা না করিয়া থাকো।

কমলা - আমি তোমার চাইতে বয়োজ্যেষ্ঠ। প্রবীণ লোকের সহিত তর্ক করা অনুচিত। তিনমাস মাত্র পৃথিবীতে থাকিয়া প্রবীণ লোকের সহিত তর্ক করা তোমাদিগকে মানায় না।তাছাড়া তোমরা ক্ষমতাহীন। এত বড়ো বড়ো কথা তোমাদিগকে মানায় না।

কুকুর- তোমাদিগের স্বভাবই হইতেছে এই যে,তোমরা অসহায়কে শুষিয়া আনন্দ লাভ করিয়া থাকো।তাহাকে অনর্থক শাস্তি প্রদান করিতে তোমাদের ব্যস্ততার অন্ত নাই। তোমাকে শুধু এই কথাখানি জানাইয়া গেলাম যে,কথায় কথায় কুত্তার বাচ্চা,কুকুরের চেয়ে নিকৃষ্ট,কুকুরের ন্যায় গুলি করিয়া মারিবো এসব কথা বলিবে না। এসব কথা তোমাদের মনুষ্যজাতির সহিত খাপ খায়। আমাদিগের সহিত নয়। এইসব কথা পরবর্তীকালে আবার শুনিলে কামড়াইতে আসিবো।কারণ অনর্থক গালি খাইয়া, গুলি খাইয়া মরিতে কেউ পৃথিবীতে আসে নাই।আমাদিগের পৃথিবীতে সম্মানের সহিত বাঁচিয়া থাকিবার অধিকার রইয়াছে।

নাহ! এইবার আর সহ্য করা যায় না!! বড় বাড় বাড়িয়াছে কুকুর! যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা! ইহাকে মারিতে হইবে।মনুষ্যসমাজে ছিঃ ছিঃ পড়িয়া যাইবে।কমলাকান্ত বিড়াল, কুকুর সবার সহিত তর্কে হারিয়াছে। কুকুরকে মারিবার নিমিত্তে লাঠি হস্তে উঠিয়া দাড়াইলো কমলাকান্ত। কিন্তু দাড়াইয়া দেখিলো কুকুর মহাশয় প্রস্থান করিয়াছে। মনুষ্যসমাজের ন্যায় নষ্ট করিবার নিমিত্তে অতিরিক্ত সময় তাহার কাছে নাই।
সমাপ্ত

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

অধীতি বলেছেন: বিড়াল অবলম্বনে লেখা নাকি?

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: জ্বি। বঙ্কিমচন্দ্রের বিড়াল অবলম্বনে লিখেছি এটা। বিড়ালের সাথে সাক্ষাতের পরে কুকুরের সাথে সাক্ষাতের কাল্পনিক ঘটনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবযুগে একই সাহিত্যধারা চলমান থাকে না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।যুগে যুগে সাহিত্যধারা পরিবর্তিত হয়। বিড়াল রচনাটিকে এজন্য অবলম্বণ করেছি যে এর মধ্যে দিয়ে যেকোনো সময়ের যেকোনো কথা বলা যায়। এই রচনাটি কালজয়ী।তবে রচনার রীতি প্রাচীণ।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপটের প্রকাশ

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কুকুরের মুকখে মানুষের অরাজকতার কথা বলা হয়েছে।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: কুকুর বিড়াল হইতে সাবধান।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: জ্বি।সাবধান থাকতেই হবে।এরা সত্যি কথা বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.