নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লঞ্চ ভ্রমণ বৃত্তান্ত

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬



ছবিসূত্র- Banglanews24.com

আমার বাড়ি নারায়নগঞ্জে হলেও জীবনের প্রায় ছয় বছরের মতো সময় অতিবাহিত হয়েছে বরিশালে। একা থাকতাম সেখানে,মাসে দুয়েকবার বাড়ি আসতাম।বরিশাল থেকে ঢাকায় যাতায়াতের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম লঞ্চ।আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হবার সুবাদে অন্য পরিবহনের চেয়ে লঞ্চে যাত্রী থাকে বেশি।প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাঁচ থেকে ছয়টি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।আবার ঢাকা থেকেও একই পরিমাণ লঞ্চ ছেড়ে আসে। নানা ধরণের,বর্ণের লোকের সমাগম হয় লঞ্চে।বরিশাল থেকে বাসে ঢাকায় যেতে সময় লাগে ছয় ঘন্টা।লঞ্চে লাগে আট ঘন্টা।এত সময় লাগলেও লঞ্চে বেশি যাত্রী হবার কারণ এর সাশ্রয়ী ভাড়া। লঞ্চের ডেকের ভাড়া একশো থেকে দুইশো টাকার মধ্যেই থাকে সবসময়। অন্যদিকে বাসভাড়া ৩৫০ (লোকাল) থেকে শুরু।এজন্য লঞ্চ কখনো খালি থাকে না।

আমি সবসময় লঞ্চে যাতায়াত করেছি।দিনের বেলায় কাজ সেরে সন্ধ্যায় লঞ্চে উঠতাম।ভোরবেলা পৌছে যেতাম বাড়িতে। আমি ডেকেই যাতায়াত করতাম বেশি।আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখতাম। তাদের কথাবার্তা,চালচলন সবকিছু দেখতাম।অনেক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমি।মজার ঘটনা যেমন ছিলো,তেমনি বিষাদপূর্ণ ঘটনাও ছিলো অনেক।

প্রথমদিকের ঘটনা। তখন রাত একটা কি দুটো বাজে।লঞ্চ পূর্ণ গতিতে চলছে।পূর্ণিমা রাত। চারিদিকে সবকিছু ফকফকা।হঠাৎ করে লঞ্চের গতি কমে গেল।অনেকেই লঞ্চের রেলিং এর কাছে দাঁড়িয়ে দেখতে গেল ঘটনা কী!! আমিও গেলাম। দেখলাম এক লোক নদীর পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে।তাকে তোলা হলো লঞ্চে। প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে সে। একটু পরে যখন সে ধাতস্থ হলো তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো সে নদীতে পড়লো কিভাবে!! সে বলল, " ভাইয়ো,বাতরুম খালি না পাইয়া লোঞ্ছের সাইডে বইছেলাম পোরছাপ হরতে। কাম শ্যাষ হইররা ওটতে যামু তহনই সিলিপ খাইয়া নদীতে পড়ছি।" কথা শুনে উপস্থিত সবাই প্রচণ্ড পরিমাণে হাসলো।সাথে ভুক্তভোগীও যোগ দিলো।তাকে দেখে বোঝার উপায় রইলো না যে সে একটু আগে নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছিলো। এরকম আরো একদিন দেখেছিলাম নদীর মাঝে লোক হাবুডুবু খাচ্ছে।সেদিন আর লঞ্চের গতি কমলো না,বরং গতি বাড়িয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।মনটা প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গিয়েছিলো লোকটার বিপদ আর লঞ্চওয়ালাদের এমন নিস্পৃহতা দেখে।সকাল বেলা কেরানিকে জিজ্ঞাসা করলাম এরকম করার কারণ। তিনি বললেন যে সে লোকটি আসলে ডাকাতদের লোক। ডাকাতেরা রাম দা,দেশীয় রাইফেল হাতে দূরেই ট্রলারে অবস্থান করছিলো।ভাগ্যক্রমে সারেং এর চোখে পড়েছিলো। লঞ্চ স্লো করলেই তাদের কবলে পড়তে হতো। কথা সত্যি না মিথ্যা সেটা জানি না।তবে ডাকাতের কথা শুনে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিলো।

শীতের সময় নদীর পানি অনেক কমে যায়।নাব্যতা সংকট দেখা দেয় অনেক জায়গায়। তখন লঞ্চ চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়।তাছাড়া নদীতে অনেক কুয়াশাঁ পড়ে।এক গজ দূরের জিনিসও দেখা যায় না অনেক সময়।সার্চ লাইটেও বেশি দূর দেখা যায় না।তখন লঞ্চ কখনো গতি কমিয়ে ,কখনো থামিয়ে,কখনো গতি বৃদ্ধি করে চালানো হয়।তারপরও অনেক সময় লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়। তখন লঞ্চকে অনেক কষ্ট করে আবার গভীর পানিতে নামাতে হয়। একবার মাঘ মাসের শীতে লঞ্চে যাতায়াত করছিলাম।হঠাৎ করে মাঝরাতে লঞ্চটি একটি ডুবোচরে আটকে গিয়ে সামান্য কাঁত হয়ে যায়। লঞ্চের পাশের একটু অংশ চরে আটকে গিয়েছিলো।লঞ্চে চিৎকার চেচাঁমেচি শুরু হলো।অনেকেই ভয় পেয়েছে।কিন্তু আমার চোখের সামনেই এক লোককে দেখলাম গায়ে কম্বল জড়িয়ে নদীতে লাফ দিলো। সবাই হতবাক হয়ে গেল। আমরা অনেকেই রেলিং এর পাশে গিয়ে দাড়ালাম। দেখি লোকটি বাচাঁও,বাচাঁও বলে চিৎকার করছে।সে লাফ দিয়ে ডুবোচরেই পড়েছিলো।পানি ছিলো তার বুক সমান। কিন্তু কম্বলের কারণে সে তার হাত নাড়াতে পারছিলো না।এজন্য ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করে।তার কাণ্ড দেখে লোকজনের হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হবার যোগাড়।তাকে যখন লোকেরা তুলতে যাচ্ছিলো তখন শুনতে পেলাম এক মহিলা লোকটিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে।পাশে চার-পাঁচ বছর বয়সী ছোট্ট একটা পুতুলের মতো মেয়ে চিৎকার করে কাঁদছে।লোকটিকে ওঠানোর পর মহিলাটি বললো " হালার পুরুষ জাতটাই খারাপ।" পরে জানতে পেরেছিলাম যে মহিলাটি লোকটির স্ত্রী এবং বাচ্চাটি লোকটির মেয়ে। লঞ্চকে কাঁত হতে দেখে ডুবে যাবে ভেবে জীবন বাঁচাতে স্ত্রী কন্যাকে রেখেই লাফ দিয়েছিলো সে। কিন্তু অনেক ভেবেও আমি বের করতে পারলাম না যে,এই পৌষ মাসের শীতে বরফঠাণ্ডা জলে লাফ দেয়ার সময় লোকটি গায়ে কম্বল কেন পেঁচিয়ে নিয়েছিলো??? আগে তো তার গায়ে কম্বল ছিলো না!!

বিষাদপূর্ণ ঘটনার মধ্যে আছে দুটো মৃত্যু।এক বৃদ্ধ লোককে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।পথিমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। মারা যাওয়ার একটু আগে বললেন, "সগীর মোর ধারে ১৭ টাহা পাইবে।দিয়া দিস।তোরা ভাল থাহিস।" এরপর বিড়বিড় করে কি যেন বলে মারা গেলেন। কেমন একটা ব্যাথা অনুভব করেছিলাম সেদিন। আরেকদিন দেখলাম এক মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করে নদীতে লাফ দিয়ে হারিয়ে গেল।সেদিন প্রচণ্ড রাগ হয়েছিলো।

একবার বৈশাখ মাসে লঞ্চে ভ্রমণ করছিলাম। মাঝরাতে চাঁদপুর আসার আগে আগে প্রচন্ড ঝড় উঠলো,সাথে বজ্রপাত আর প্রচণ্ড শব্দ।আমি লঞ্চের ছাদে ছিলাম।এরপর নিচে নেমে এলাম ডেকে। সেখানে মারাত্মক অবস্থা।কান্নাকাটি চলছে সমানে।বাতাসে লঞ্চ কাঁত হয়ে যাচ্ছিলো।সাথে মেঘনা নদীর প্রচণ্ড ঢেউ। কেউ ভয়ে লাফ দিচ্ছিলো না।দিলে ঢেউয়ে তলিয়ে যাবে এই ভয়ে।লঞ্চের লোকজন একটু পরে এসে লঞ্চের সাইডের ত্রিপলগুলো উঠিয়ে দিলো।তখন লঞ্চ কাঁত হওয়া কমে গেল। কিন্তু দুলুনি কমলো না। ঝড় এত তীব্র ছিলো যে,লঞ্চটি মাঝ নদীতে প্রায় ১৫ মিনিটের মতো নোঙ্গর করা ছিলো। সেবার মনে হচ্ছিলো মরেই যাব বোধহয়। আম্মা কে ফোন দিতে গেলাম। দেখলাম নেটওয়ার্ক নেই।খুব অসহায় লাগছিলো।

এবার একটা ভালোলাগার স্মৃতি বলছি। লঞ্চে ওঠার সময় খুব হুড়োহুড়ি হয়।যে আগে উঠবে সে জায়গা পাবে। আমি এভাবে উঠতে অভ্যস্ত নই বলে সবার শেষেই উঠতে হতো সবসময়।সেবার ভীড় এতো বেশি ছিলো যে, ডেকে যায়গা পেলাম না। শেষ পর্যন্ত লঞ্চের একেবারে ছাদে উঠে গেলাম।গিয়ে লাইফবোটে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু শুয়ে থাকতে পারলাম না।মায়াবি জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছিলো সবকিছু। মাথার পাশে বিশালাকার চাঁদ।পুরো নদী দেখা যাচ্ছিলো।এমনকি নদীতীরের গাছ বাড়িঘরও ভেসে যাচ্ছিলো রূপালি জ্যোৎস্নায়।সে কী রূপ!! চোখ ঝলসে যাচ্ছিলো!! নদীর পানিতে চাঁদের ছায়া,জ্যোৎস্নার ছায়া!! এই সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।অনেকক্ষণ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম এই রূপ।লঞ্চের ছাদে আমি ছাড়া আর কেউ ছিলো না। জ্যোৎস্নার তেজ কমার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অনেক গুলো ঘটনার মধ্যে অল্প কয়েকটিই বললাম মাত্র। অনেকগুলো ভুলে গেছি। এ কয়েকটি কখনো ভোলার মতো নয়।বিশেষ করে কম্বল কাণ্ড এবং রূপালি জ্যোৎস্না।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: লঞ্চ যাত্রার আনন্দ ও দুঃখময় কিছু স্মৃতির কথা জানতে পারলাম। আমিও মাত্র একবার বরিশাল গিয়েছিলাম, তবে, কেবিনে ঘুমিয়ে। ঘুম থেকে উঠে দেখি, বরিশাল পৌঁছে গেছি। আবার আসার বেলায়ও একই অবস্থা। তবে, সেদিন আকাশে চাঁদ ছিলো না। চাঁদ থাকলে হয়তো বা অন্যরকম ভ্রমণ হতো। তবে, আপনার লেখা পরে, মনস্থির করে ফেললাম, কোন এক চাঁদনী রাতে লঞ্চ ভ্রমণে বের হবো। ধন্যবাদ মোঃ মোস্তফিজুর রহমান তমাল।।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।লেখা পড়ে যে একজনের মনে ভ্রমণের ইচ্ছা জেগেছে সেটা অনেক কিছু। ভ্রমণ অবশ্যই করবেন।লঞ্চের বারান্দায় ঘন্টা দুয়েক বসে উপভোগ করবেন। জীবনেও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেন না।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শীতকালে পানি ঠান্ডা থাকে, লোকটা কম্বল গায়ে দিয়ে লাফ মারাতে বেঁচে গেছেন, না'হয় শীতে জমে যেতেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার চিন্তায় এটা ছিলো যে, কম্বল পুরো ভিজে গিয়েছিলো।তার শরীরও ভেজা ছিলো।এক্ষেত্রে কি ঠাণ্ডা আরো বেশি লাগার কথা না? এরকম পরিস্থিতিতে আমি কখনো পড়িনি।তাই আমার চিন্তা ভুলও হতে পারে।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মেয়া ভাই আম্মেগো বাড়ি বরিশালের কোন হানে ?
মোর ও এমন অনেক স্মৃতি আছে! একবার এক
চোর এক লোহের ব্রিফকেস নিয়া নদীর মইধ্যে
লাফাইয়া পড়লো। শুনলাম ব্রিফকেসে তার বিয়ে
জন্য কেনা গয়নাগাটি ছিলো। মনে আছে ?২০০৩ এ এমভি মিতালী-৩
লঞ্চটি প্রায় এক হাজার যাত্রী সহ একটি কার্গো লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়।
১৩০ জনের মৃত্যু ঘটে সে দুর্ঘটনায়। লঞ্চটি ঢাহা ধেইক্যা বরিশালের
পয়সার হাটে যাইতেছিলো

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আমার বাড়ি নারায়নগঞ্জে। আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে সেখানে থেকেছি। আপনার বাড়ি কোথায়?

আমি একবার দেখলাম এক লোক এক ভদ্রমহিলার গলা থেকে চেইন ছিড়ে নিয়ে নদীতে লাফ দিলো।মিতালীর ব্যাপারটা জানতাম। আমার বাড়ি ফতুল্লায়।প্রতিদিন অনেক লোক ফতুল্লা লঞ্চঘাট থেকে যাতায়াত করে।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোষ্ট।
সাজানো গোছানো লেখা।

আমার আব্বা লেখাপড়া শেষ করেই চাকরি করবেন না বলেই, একটা লঞ্চ কিনে ফেলেছিলেন। সেই লঞ্চ চলতো পদ্মা নদীতে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বাহ।তাহলে তো আপনার নিশ্চয়ই লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে!! আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঘন ঘন যাতায়াত করতেন বলে অনেক ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে। সারা রাত ঘুমানোর পর ভোর বেলা নদী আর দুই ধারের পরিবেশ দেখতে ভালো লাগে। লঞ্চ ভ্রমনের আরেকটা সুবিধা হোল যে যাত্রা শেষে কোনও ক্লান্তি থাকে না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একে তো ভারা কম,তার ওপর আরামদায়ক ভ্রমণ।এজন্য ঘনঘনই ভ্রমণ করতাম। লঞ্চে ঘুমানো যায় আরাম করে। এজন্য সকালে ক্লান্তি থাকে না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আমার বাড়ি নারায়নগঞ্জে।
আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে সেখানে থেকেছি।
আপনার বাড়ি কোথায়?

ভাইডি মোর জন্ম কুষ্ঠী আমার ব্লগের বামপাশে আমার পরিচয়
কলামে বিস্তারিত দেয়া আছে। আমি পানির দেশের মানু। আমনেরে ধন্যবাদ
মোগে কলেজে পড়া লেখা করার জন্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সাতলা খুব বিখ্যাত জায়গা।অনেক মানুষ যায় আপনাদের শাপলা বিলে।যদিও আমার যাওয়ার সুযোগ হয় নি কখনো।পরে যাবো সুযোগ হলে।তবে গৈলা গ্রামে গিয়েছি।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কূয়াকাটা যাবার পথেও নিশুথী রাতে আমি এমনই মায়াবী জ্যোস্না দেখেছিলাম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তাহলে আপনার ভাগ্য অনেক ভালো!!এটা জীবনে মনে রাখার মতো দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।আপনাকে স্বাগত আমার ব্লগে।

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার আজকের লেখায় সেই ঘটনাটারই বর্ণনা আছে কিছুটা। সেটা লিখে এসেই আপনার এই লেখা পড়ে আমি সেই দৃশ্য দিব্য চোখে দেখতে পেলাম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: দুজন আলাদা মানুষের একই রকম অভিজ্ঞতা একই দিনে ব্লগে প্রকাশিত হলো। কাকতালীয় হলেও ব্যাপারটা ভালো।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬

করুণাধারা বলেছেন: আমি জীবনে একবার মাত্র লঞ্চে চড়ে বরিশাল গিয়েছিলাম, খুব ভালো লেগেছিল। আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো, তবে বৃদ্ধের মৃত্যু আর মেয়েটার আত্মহত্যা বাদে। শেষে যে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তা মনে হয় প্রত্যক্ষ ভাবে অর্জন করতে পারলে ভালো হতো।

ভালো লিখেছেন, লাইক।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। প্রত্যক্ষভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করার সহজ উপায় আছে। আপনি চাঁদপুরের লঞ্চে এই অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। তিন ঘন্টার মতো লাগে ঢাকা থেকে চাঁদপুর যেতে। সারদিন লঞ্চ আছে এই রুটে।পূর্ণিমার সময় দেখে বিকেলে গিয়ে আবার রাতের লঞ্চে ফিরে আসতে পারবেন। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মারাত্বক ঘটনাবলী।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আসলে একসাথে অনেক মানুষ যাতায়াত করে।তাই বহু বিচিত্র ঘটনা ঘটে। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। আমার এক লং ডিসটেন্স প্রেমিকা ছিল। বরিশাল মেডিকেল পড়তো। বেশ কয়েকবার দাওয়াত দিয়েছিল। যাওয়া হয় নি।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: গেলেন না কেন?গেলেই ভালো হতো হয়তো।ডিস্টেন্সও কমে যেতে পারতো। তবে এখন প্রেমিকা না থাকলেও ঘুরে আসতে পারেন একদিন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ !
আমার এত লম্বা স্মৃতি যদিও নেই, তবে ছাত্রজীবনের কিছু স্মৃতি আছে লঞ্চের। প্রতি বৃহস্পতিবার আনন্দ বাসে ২ নাম্বারগেটে নেমে লঞ্চে মুনশিগঞ্জ যেতাম। আবার শনিবার ভোরে'র লঞ্চে ফিরতাম। অনেক ধরনের মানুষ নানান পর্যবেক্ষণ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আনন্দ বাস তো ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রুটে আমাদের এলাকা হয়ে যাতায়াত করে। আমার বাড়ি পঞ্চবটী। আমি ঘনঘন যাতায়াত করার ফলে এমন সব ঘটনা দেখেছি।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: লঞ্চের ছাদে লাইফবোটে শুয়ে পড়ে আকাশ দেখার লোভে হলেও বরিশাল যাবো। ধন্যবাদ তমাল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: অবশ্যই ঘুরে আসবেন।তবে শীতের সময় ছাদে উঠবেন না দয়া করে।ঠাণ্ডা বাতাসে আর কুয়াশাঁয় সমস্যা হবে।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ পঞ্চবটি !
পঞ্চবটি গেলেই মনে এই তো বাড়ি চলে গেছি।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার বাড়ি কি পঞ্চবটি বা নারায়নগঞ্জের আশেপাশে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.