নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝড়

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মেয়েটি যখন লঞ্চে উঠলো তখন কেউ তাকে বিশেষ একটা খেয়াল করে নি।খেয়াল করার মতোও কেউ ছিলো না সে।বেঁটে, মোটা এবং দেখতে কালো।অন্য সাধারণ লোকেদের মতোই লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে বসেছে যখন ,তখন সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত ছিলো।কেউ মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো,কেউবা তাস খেলছিলো।একজন লোক এমপিথ্রি পড়ছিলো।হয়তো সামনে তার কোনো চাকুরির পরীক্ষা আছে,হয়তো বেকারত্বের গ্লানি থেকে মুক্তি পাবার স্বপ্ন নিয়ে সে পাড়ি দিচ্ছে এই নদীপথ।অন্য কোনদিকে তার খেয়াল নেই।হয়তো এই রাতটাই বাকি আছে। মেয়েটি ঠায় বসে ছিলো লঞ্চে,অন্য সবার মতো।তখনো হকারের কোলাহল শেষ হয় নি।শেষ হয় নি সিট দখলের লড়াই।সবাই সবার কাজে ব্যস্ত।অন্য কারো দিকে দৃষ্টিপাতের সময় নেই কারো।

এমন ব্যস্ততার মাঝেই লঞ্চ ছেড়ে দিলো একসময়।সময় এগিয়ে চলেছে।নদীর বুক চিড়ে এগিয়ে চলেছে লঞ্চ।সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে।গতানুগতিক,নিস্তরঙ্গ। এই ব্যাপারটা হয়তো সহ্য হলো না মেয়েটির। ডেকের টিভিতে একটি হিন্দি গান চলছিলো।হঠাৎ মেয়েটি গানটির সাথে গলা মিলিয়ে গাইতে শুরু করলো এবং ঢুলে ঢুলে জায়গায় বসে নাচতে লাগলো। এই ব্যাপারটা একটা আজব ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হয়ে গেল লঞ্চের সবার কাছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। বেশির ভাগ লোকই মুখ টিপে হাসছে।এরকম বিনোদন সচরাচর দেখা যায় না।ডেকের এতগুলো লোকের সামনে সে গান গাইছে ,নাচছে।দেশ থেকে লজ্জা-শরম উঠে গেল।মহিলাগন অবাক চোখে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে,যেন কোনো বিশাল পাপ করে ফেলেছে,মেয়েটির ধ্বংস অনিবার্য।এমপিথ্রি পড়ুয়া লোকটি বিরক্ত হলো।তার চাকুরির পরীক্ষা সামনে।মেয়েটা গান তো গাইছে না,যেন চিৎকার করছে। সে একটা ধমক দিলো দূর থেকে মেয়েটিকে। "এখনই থামেন।নিজের বাড়ি পাইছেন এটা?" মেয়েটি কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে অবিরত থাকলো নিজের কাজে। তার কানে প্যানপ্যান করা বৃথা বলে মনে হলো লোকটির।ঝগড়া করার পর্যাপ্ত সময় এখন হাতে নেই তার।তাই আবার মনোযোগ দিলো তার এমপিথ্রি তে। মেয়েটির সাথে তার স্বামী এবং একটি ছোট বাচ্চা ছিলো।তারা মেয়েটির এই উচ্ছ্বলতা উপভোগ করছে বেশ।তাদের শুনিয়ে শুনিয়ে লোকে কথা বলছে।কিন্তু কেউ কানে নিচ্ছে না।মেয়েটি হঠাৎ গান থামিয়ে ছোট বাচ্চাটিকে পিঠে নিয়ে ঘোড়া হবার ভান করতে লাগলো।মেয়েটি এবং বাচ্চাটির যুগপৎ অট্টহাসি ছড়িয়ে গেল পুরো লঞ্চে।মেয়েটি কখনো ঘোড়া হচ্ছে,আবার কখনো গোরু হয়ে গুঁতো দিচ্ছে বাচ্চাটিকে। এমপিথ্রি লোকটি আবারো ধমক দিতে যাচ্ছিলো আবার,তার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।কিন্তু পাশ থেকে একজন বলে বসলো,

"ভাই,তারা নিজেগো মতো কইরা আনন্দ করে,করতে দেন না ভাই।সবাই তো আমাগো লাহান রোবট না,আর মাইনষে কী ভাবব হেইডা লইয়া বইয়া থাহে না।"

লোকটি ঠিক কথাই বলেছে। তারপরও এটা পাবলিক প্লেস,নিজেদের আনন্দের জন্য অন্যকে বিরক্ত করা অন্যায়। এবার সে কঠিন কিছু বলার প্রস্তুতি নিলো।এবার আর দূর থেকে ধমক দেবে না। জায়গা থেকে উঠতে যাবে তখনই তাকে অবাক করে দিয়ে মেয়েটি থেমে গেল।মেয়েটির পরিবারের সাথে কয়েকটি বস্তা ছিলো। একটা বস্তার মধ্যে থেকে সে একটা হারমোনিয়াম ও করতাল বের করলো,অপর একটি বস্তা থেকে একটি ছোট আকারের ঢোল। মেয়েটির স্বামী হারমোনিয়াম নিয়ে কসরত করলো একটু।অপূর্ব সুর।সবার দৃষ্টি সেদিকে।মেয়েটি ঢোলটি কোলে নিয়ে বসে ছিলো।হঠাৎ করেই ঢোলটিকে মৃদুলয়ে বাজাতে শুরু করলো মেয়েটি। মৃদু লয়ে বাজাতে বাজাতেই হঠাৎ মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে দ্রুতলয়ে বাজাতে শুরু করলো।চারিদিকে পিনপতন নীরবতা। ঢোলের শব্দ আছড়ে পড়তে লাগলো লঞ্চের ভেতরে।যেন নিশ্চুপ,নির্জন প্রকৃতিতে হঠাৎ করে কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয়েছে। আকাশ ফেঁটে যাচ্ছে।করতাল থেকে বজ্রপাতের মতো কড়াৎ কড়াৎ শব্দ হচ্ছে।মেয়েটি ঢোল বাজাতে বাজাতে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করলো।নাচের প্রতিক্রিয়ায় তার খোলা চুল আকাশে উড়ছে। কালো মেঘে আকাশটা ছেয়ে গেছে যেন। সাথে প্রবল ঝড় ও বজ্রপাত।মেয়েটি উন্মাদের মতো নাচছে, যেন প্রাণহীন এই বিশ্বকে ধ্বংস করে দেবে সে আজ। পরক্ষণেই তার গলা থেকে বের হয়ে এলো,

"কে বানাইলো এমন রঙমহল খানা
হাওয়া দমে দেখ তারে আসল বেনা।।"
বিনা তেলে জ্বলে বাতি
দেখতে যেমন মুক্তা মতি
জলময় তার চতুর্ভিতি মধ্যে খানা।।"

হাওয়ার দমেই তো মানুষ চলছে।জলময় এই দেহ দেখতে কী সুন্দর!!

"তিল পরিমাণ জায়গা সে যে
হদ্দরূপ তাহার মাঝে
কালায় শোনে আঁধলায় দেখে নেংড়ার নাচনা।।"

এইটুকু দেহে মানুষের কত চেহারা!! একই অঙ্গে মানুষের কত রূপ!! কখনো সভ্য,কখনো অসভ্য, কখনো জ্ঞানী,আবার কখনো কুয়োর ব্যাঙ!!

"যে গঠিল এ রঙমহল
না জানি তার রূপটি কেমন।
সিরাজ সাঁই কয় নাইরে লালন তার তুলনা।।"

এই মানবদেহ এবং মানুষ যিনি গঠন করলেন,তার কোনো তুলনা হয় না।

গানটি গেয়ে লঞ্চের সকল মানুষকে উপর্যুক্ত বার্তাগুলোই কি দিতে চাচ্ছে মেয়েটি? তার গানে হয়তো কেউ সামান্য সময়ের জন্য চিন্তা করেছে,হয়তো কেউই তার বার্তা নেয় নি। ডেকের সকল যাত্রী হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে ছিলো তার দিকে। গানটি শেষ হবার কিছুক্ষণ পরও কারো মুখে কথা নেই। সবাই একটা ঘোরের মধ্যে আছে। ঝড় থামার পর চারিদিকে বিরাজ করা শূন্যতা যেন আঁকড়ে ধরেছে সবাইকে।এমপিথ্রি পড়ুয়া লোকটি কিছু সময় আগেও বিরক্ত ছিলো মেয়েটির প্রতি। এখন আর তার বিরক্তি নেই।এক অদ্ভূত ভালোলাগা গ্রাস করেছে তাকে। সে আবার পড়তে বসলো। হঠাৎই তার মনে হলো, "পৃথিবীতে হাজার কিসিমের পাগল আছে। এই মেয়ে তাদের মধ্যে একটা।"

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামুতে আসার আগেও গল্প টল্প লেখেছিলেন, নাকি এখানেই শুরু?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এখানেই শুরু আসলে। এখানে আসার অল্প কিছুদিন আগে দুটো লিখেছিলাম।সেগুলো প্রকাশ করিনি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮

রামিসা রোজা বলেছেন:

প্রকৃতির ঝড়ের মাঝে নিজেকে খেলে সবাইকে মাতিয়ে রেখে
ঝড়- কে বিদায় করে দিলো , সেই পাগলি মেয়ে ।
মুহূর্তেই মৃত্যু ভয় হারিয়ে গেছে ।
গল্প ভালো লেগেছে ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: "প্রকৃতির ঝড়ের মাঝে নিজেকে খেলে সবাইকে মাতিয়ে রেখে
ঝড়- কে বিদায় করে দিলো , সেই পাগলি মেয়ে "
কথাটি ভালো লেগেছে।মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প টা যেন কেমন!!!

অন্যরকম। একেবারে অন্যরকম।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এই গল্পটা কয়েকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। আমাদের গতানুগতিক একঘেয়েমী থেকে বের হয়ে আসার সামান্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছি গল্পে।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোন এলাকার আঞ্চলিক ভাষা লিখেছেন

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।এটা আমাদের এলাকার ভাষা।নারায়নগঞ্জের।তবে মূল ভাষা থেকে এটা সামান্য ভিন্ন।আমাদের এলাকার পাশেই বুড়িগঙ্গা।তার ওপারে কেরাণিগঞ্জ।তাই দুই এলাকার ভাশষার সংমিশ্রন পাওয়া যায় আমাদের এলাকায়।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আশা করি ভাল আছেন। একটা অনুরোধ নিয়ে হাজির হলাম।

ব্লগীয় গল্প নভোনীল এর ১৫ তম পর্বটি আপনি লিখে পোস্টে দেলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

আগে নভোনীল পড়ুন সবকটি পর্ব। ব্লগীয় গল্পের ইতিহাসে আপনার নামটিও যোগ হোক-
https://www.somewhereinblog.net/blog/faisalrocky/30311460

সামুতে একটা রেকর্ড হোক এক গল্পর বহুলেখক..................।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমি ভালো আছি।এটা বেশ ভারী একটা অনুরোধ। আমি চেষ্টা করে দেখব।কতটুকু পারবো জানি না।এই সিরিজে কয়েকজন গুণী ও চমৎকার ব্লগার যুক্ত আছেন ।তারা একে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক পাগল আমাদের চারপাশে। সবাই আবার পাগল নয় কিন্তু পাগলের অভিনয় করে । গল্পের মূল বিষয় বেশ তাৎপর্যময়।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: "সবাই আবার পাগল নয় কিন্তু পাগলের অভিনয় করে।"
কথাটি ভালো লেগেছে। মানুষ প্রতিনিয়ত অভিনয় করতে করতে নিজের আসল সত্তাকেই ভুলে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নভোনীল পর্ব-১৪ (রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্পের ধারাবাহিকতায়)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আশা করছি ১৫ তম পর্বটি আপনি সামনে আনবেন এবং ২০ তম পর্বেই গল্প শেষ হেব। বাকি ৫ ভাগ্যবান কে হবেন সময় বলে দেবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি আপনার আশা পূর্ণ করার।ভালোবাসা নেবেন।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

ফটিকলাল বলেছেন: এরকম মেয়ে ছেলেরাই সমাজে পরিবর্তন আনে। এরাই তো প্রভাবক। গল্পটার একটা বিশেষ দিক হলো চারিদিকের আবহাওয়া বেশ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।

আর মেয়েটির গানের অংশটুকু পড়বার সময় মনে হচ্ছিলো আমার সামনে মেয়েটি সত্যিই চলে এসেছে। গল্পের এই অনবদ্য রূপ প্রশংসনীয়

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নিজের সত্তা বিসর্জন দিয়ে অন্যের সাথে মানিয়ে না চলে নিজের একটা পরিমণ্ডল সৃষ্টি করতে চেয়েছে মেয়েটি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯

ফটিকলাল বলেছেন: আমার কাছে এই সত্বা তৈরীর প্রক্রিয়াটা কৌতুহল সৃষ্টি করে। এরকম কোনো লেখা যদি পেতাম! হয়তো পেয়েছিও, কিন্তু ধরতে পারিনি। আরো পড়া দরকার। আপনার চিন্তার মননে এসব ভাবনা চলে এসেছে দেখে ভালো লাগছে। পছন্দের একটা ব্যাপার কাজ করে এখানে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বৃত্তের বাইরে চিন্তা করা শিখলেই সত্তা তৈরি হয়ে যায় রাতারাতি। আপনি বাদল সরকারের 'এবং ইন্দ্রজিৎ' নাটকটি পড়ে দেখতে পারেন।

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি কখনো নদীতে লঞ্চ/নৌকাতে ঝড়ের কবলে পরেছেন?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: জ্বি পড়েছি।তিনবার। তিনবারই ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চে যাতায়াতের সময়। নৌকায় পড়িনি।দুবার মেঘনায় ।আর একবার কীর্তনখোলায়। দ্বিতীয়বারেরটা সবচেয়ে ভয়ংকর ছিলো।লঞ্চ মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা ছিলো অনেকক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.