নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাফের হইয়া যাইবা বাজান!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯


জুম্মার নামাজ শেষে মুসুল্লীগণ বের হয়ে যাচ্ছিলেন। মসজিদের প্রধান দরজার পাশেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিলো। দেখে মনে হলো, মেয়েটির বয়স চোদ্দ-পনেরো বছর হবে। মেয়েটির চেহারায় অসুস্থতার ছাপ। একটু পরপর "আল্লাহ" , "আল্লাহ" বলে সুর করে কাঁদছে। তার হাতে একটি রিপোর্টের কাগজ। কাগজটিকে সে মেলে ধরে আছে। সেখানে বড় করে লেখা 'Hematology Report' ।

মেয়েটির পাশেই এক হুজুর দাঁড়িয়ে ছিলেন। মসজিদ থেকে যারাই বের হচ্ছিলেন তিনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, "এই মাইয়ার দুইডা কিডনি ড্যামেজ। অনেক ট্যাকা লাগবো ডালোসিস করতে। যে যা পারেন,সাহায্য করেন।" বহু লোকই দেখলাম সাহায্য করছে। দশ টাকার কমে কাওকে দিতে দেখলাম না।

যথারীতি আমাকেও একই কথা বললেন হুজুর। আমি একটু রিপোর্টটা দেখতে চাইলাম।হুজুর অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেয়েটার হাত থেকে রিপোর্টটি নিয়ে আমার হাতে দিলেন। দেখলাম, আসলেই কিডনি ড্যামেজড। কিন্তু ঝামেলা অন্য জায়গায়।

মেয়েটাকে প্রশ্ন করলাম কিছু।

নাম কী?
"নুপুর আক্তার।" ( রিপোর্টে লেখা Aklima khatun. )

বয়স কত?
"ষোলো বছর।" (রিপোর্টে লেখা Age-35 years.)

কিডনি গেছে কতদিন হইছে?
"ছয় মাস।" (রিপোর্টে উল্লেখিত তারিখ, 16-09-2016 .)

ডায়ালাইসিস কতবার করা লাগবো?
"একবার করলেই ঠিক অইবো বাই।"

কত টাকা লাগবে?
"দশ লাক লাগবো বাইইইইইই। ট্যাকার অবাবে চিকিৎসা করতে পারতাছিনা বাইইইইই।মইরা যাইতাছিইইই।" (ক্রন্দন শুরু)।

"চাইর বছরে তো মরলা না।"

এবার অবাক হয় মেয়েটি। কান্না থামিয়ে বলে , "ছয় মাস দইরা নষ্ট কিডনি। চাইর বছর কন ক্যা?"

"রিপোর্টের তারিখ অনুযায়ী তো চাইর বছরই অয়। ২০১৬ সালে তোমার কিডনি গেছে।তোমার বয়স তহন আছিলো ৩৫।এহন অইছে ৩৯। বয়স কমাইলা কোন জাদুতে?" আমি বললাম।

"রিপোর্টে ইট্টু-আট্টু ভুল হইতেই পারে।" এবার এগিয়ে এলেন হুজুর সাহেব। বললাম," ইট্টু কই? সবই তো ভুল।"

এবার হুজুর সাহেব আস্তে করে বললেন, "বাজান গীবত করতে নাই। অন্যের দোষ প্রকাশ করতে নাই। আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন "তোমরা অন্যের দোষ গোপন করো।"

"আল্লাহ পাক এই কথা কুরআনের কোন সূরায় বলেছেন?" হুজুরকে প্রশ্ন করলাম।

জবাব এলো, "আল্লাহ পাকের কথায় সন্দেহ কইরো না। কাফের হইয়া যাইবা বাজান।"

মুসলমানের দেশে কাফেরের খাতায় নাম লেখানোর কোনো ইচ্ছা ছিলো না। তাই চার বছর ধরে নষ্ট কিডনি বয়ে চলা মেয়েটির দোষ গোপন করে বাড়ি ফিরে এলাম।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

স্থিতধী বলেছেন: ভালো করেছেন। ৯০-৯২% মুসলমানের দেশে কাফের হইতে গেলে দুইটা কিডনীর মতো কম করে দুইটা মাথা নিয়ে জন্মা নিতে হবে । দোষ মাটিচাপা দিলে পরে এখানে ঈমানী জোস বৃদ্ধি পায়।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: কাফের শব্দটা একটু জোরেই উচ্চারণ করেছিলেন হুজুর সাহেব। ব্যাপার হলো যে, মানুষের ধর্মভীরুতা এমন পর্যায়ে গেছে যে, ধর্মকে নিজের মতো মডিফাই করে যেকোনো কিছু করা যায় আমাদের দেশে। আপনার মন্তব্যের জন্য এবং বরাবরের মতো পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হুজুর কখনো মিথ্যা
বলেনা। তবে সব
মানুষ হুজুর নয়!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এখানে হুজুর বলতে পোশাকধারীদের কথা বলা হয়েছে।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই রকম বহু ঘটনা ঘটতেছে। হুজুর কি ওই মসজিদের আর সে কেন মেয়েটার সাথে মিলেছে

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: হুজুর সেই মসজিদের না।তাকে আগে কখনো দেখি নি। কেন মিলেছে সেটা জিজ্ঞাসা করা হয় নি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনাটা মজার, আবার একই সাথে দুঃখের। এরা যা করছে, তা হলো সোশ্যাল ক্রাইম। চিটিং। তবে কয়জনকে ধরবেন? আপনি তো তাও এদেরকে প্রশ্ন করতে পেরেছিলেন; সমাজে যারা চিটিংবাজি করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, তাদেরকে তো প্রশ্নও করা যায় না।

হুজুর বলেছেন, কাফের হইয়া যাইবা! আর বিগশট (?) দেরকে প্রশ্ন করতে গেলে তো ''নাই'' হইয়া যাইবেন!! :-B

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এদের তো তাও দেখা যায়।বিগশটদের চিটিং ধরা পড়ার পর দেখা যায়। বিগশটদের প্রশ্ন করা লাগে না।তাদের সন্দেহ হলেই খেলা শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন করার আগেই নাই হয়ে যায় মানুষ। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেয়েটা কি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বেক্সিমকোর সালমানের নাতনী?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সেটা জানি না। বয়স কমানোর ফর্মুলা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বললো না। :D :D :D আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

ওমেরা বলেছেন: অভাবে স্বভাব নষ্ট আর কি করা যাবে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: অভাবের তাড়ণায় এই কাজ করেছে মেয়েটি। কিন্তু হুজুর সাহেব যেভাবে সবকিছু ম্যানিপুলেট করলেন ব্যাপারটা একইসাথে অন্যায় ও বিপদজনক। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: অভাবের তাড়নায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টা প্যথেটিক।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মেয়েটার ব্যাপারটা অবশ্যই প্যাথেটিক এবং আমাদের দেশের গরীব মানুষের অবস্থার সামান্যতম খণ্ডচিত্র। তবে হুজুরের ব্যাপারটা আতঙ্কের উদ্রেক করে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হুজুরের সব কথাই সত্য।( হাদিস কোরান মতে)আর এই ভরসাতেই হুজুররা এতো আকাম কুকাম করে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একই জিনিস হুজুরেরয়া বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্নভাবে সুবিদধামতো ব্যবহার করে ।হুজুরেরা মুসলিমদের ভালো করে চেনে।যার ফলে কোথায় আঘাত করলে কাজ হবে সেটাও জানে। ধর্মভীরুতা, অজ্ঞতা , ধর্মব্যাবসা সবকিছুই সমান্তরালে চলছে। আপনাকে স্বাগত জানাই আমার ব্লগে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: এভাবেই আমরা কাফের, মুরতাত কিংবা গুম হওয়ার ভয়ে অনেকের দোষ রাষ্ট্র হলেও.......সবই ভবের লীলাখেলা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সবই লীলাখেলা। যার হাতে ক্ষমতা তার ইচ্ছাতেই সব চলবে। শুধু ট্যাগ লাগিয়ে পাবলিক সিম্প্যাথি নেয়া হয় এই যা। ক্ষমতাবানরা যত অন্যায়ই করুক না কেন তাদের সমর্থন করার জন্য কিছু লোক থাকেই।আর এই সমর্থন কেউ যোগাড় করে ধর্মকে ব্যবহার করে আর কেউবা আইন ব্যবহার করে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মহামান্য ফারাও।

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৫

করুণাধারা বলেছেন: অভাবে তাড়নায় প্রতারণা করছে, সেটাতে তেমন দোষ দেখিনা। কিন্তু প্রতারক যদি প্রতারণাকে জায়েজ করতে চায় হাদিসের দোহাই দিয়ে, তবে সেটা খুবই দোষের।

সমাজের কিছু মানুষের ছবি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন, ++++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: অভাবের তাড়ণায় মেয়েটি ভিক্ষা করছিলো। যদিও প্রতারণার আশ্রয় সে নিয়েছে। আর ধর্মের ব্যাপারটা খুব বেশি স্পর্শকাতর হওয়ায় সেটাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।এমনটা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। ধর্মকে আশ্রয় করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা হচ্ছে আজকাল।আর এখনকার দিনে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের ট্যাগ দিয়ে দেয়া একটা ছেলেখেলায় পরিণত হয়েছে। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দেরিতে উত্তর দানের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল,





এমন লোক ঠকানো কাজকাম চলছেই । মানছি, দেশের সবাইকে কাজ দেয়া সম্ভব নয় । তাই বলে এমন ব্যবসা ফুঁলে ফেঁপে ওঠারও কোনও কারন নেই । কেন উঠছে ? আপনিই তো বলেছেন - "মানুষের ধর্মভীরুতা এমন পর্যায়ে গেছে যে, ধর্মকে নিজের মতো মডিফাই করে যেকোনো কিছু করা যায় আমাদের দেশে।"
আপনার চিত্রের মতো মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সূড়সূড়ি দিয়ে এমন সব ব্যবসার ( ভিক্ষা ) বাম্পার ফলন ঘটানো হয়েছে। এমন মিথ্যে বেসাতিকে নিয়ে কিছু বললেই আপনাকে -"কাফের", "অমানুষ", "দয়ামায়াহীন", " হারামজাদা" ইত্যাদি বলা হবে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে প্রথমেই স্বাগত জানাই আমার ব্লগে।
"আপনার চিত্রের মতো মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সূড়সূড়ি দিয়ে এমন সব ব্যবসার ( ভিক্ষা ) বাম্পার ফলন ঘটানো হয়েছে। এমন মিথ্যে বেসাতিকে নিয়ে কিছু বললেই আপনাকে -"কাফের", "অমানুষ", "দয়ামায়াহীন", " হারামজাদা" ইত্যাদি বলা হবে।"
আপনার এই কথাটি সর্বাংশে সত্যি। মসজিদের সামনে বসে আমাকে কাফের ট্যাগ দিয়েই দিচ্ছিলো প্রায়। এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারতো।আমার ওপর আক্রমণও হতে পারতো। আমি আর কথা না বাড়ানোতে এর কিছুই হয় নি। ধর্মের অনুভূতির ব্যবসা খুব লাভজনক ব্যবসা।এতে অল্প পুজি তে অনেক উপার্জন করা যায়। এসব ব্যবসায় কেউ সহজে প্রশ্ন তোলে না। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।দেরিতে উত্তর দেয়ায় ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: পড়ে দারুণ মজা লাগলো।
এমন চিটিং ঘটনা প্রায় দেখি কিন্তু কিছু বলা হয় না।

আমি একজনের বুদ্ধি দেখে অবাক হয়েছিলাম।
মেয়েটি আমার কাছে এসে বললো, “ভাই ঘরের টিন কিনতে হবে কিন্তু ১০০ টাকা কম হচ্ছে, আমার কাছে ৩৯০০ টাকা আছে ৪০০০ টাকা হলে ১ বান্ডেল টিন কিনতে পারি”
আমি দেখলাম এই বৃষ্টি বাদলের দিনে আর কত ঘুরবে, ১০০ টাকা দিয়ে দিলাম। চা খেয়ে বাড়ীর দিকে যেতেই দেখি অন্য একজনকে একই কথা বলছে।
মেয়েটি যদি কারো কাছে সাহায্য/ভিক্ষা চাইতো তাহলে ৫/১০ টাকা করে পেত কিন্তু সে এমন একটা ছক তৈরী করেছে যেখানে ১০০ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
পরবর্তীতে মেয়েটি আমাকে ভুলে গেছে এবং ঐ মাসের মধ্যে একই গল্প করে ২ বার টাকা চেয়েছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে আরেকটা গল্প বলি ঢুকিচেপা ভাই। এক ভিক্ষুক আমার কাছে এসেছে ভিক্ষা চাইতে। এসে বলছে "ভাই আমি হিন্দু ছিলাম। নতুন মুসলমান হইছি।আমার বাপ মা আমাকে বের করে দিছে। আমার কাজ থেকেও আমাকে বের করে দিছে ব্লা ব্লা ব্লা! জিজ্ঞাসা করলাম বাবার নাম কী? বলে সুবল দাস! আর মায়ের নাম? পেয়ারা বানু। মাকে হিন্দু বানাতে ভুলে গেছে আর কী!! বললাম, মা তো মুসলিম। তখন সে বলে, তার মা সম্প্রতি মুসলমান হয়েছে। কিন্তু বাবা তাকে ভালোবাসে বলে বের করে দেয় নি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: জ্বি ভাই।ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক।একই সাথে আতঙ্কের। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩৩

প্যারাডাইম বলেছেন: হুম

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৩

এমেরিকা বলেছেন: আমি গীবত সম্পর্কে মোটামুটি ভালোই কুরআন হাদীসের জ্ঞান রাখি বিধায় আমাকে এইরকম উপদেশ দিলে বয়েস, হুজরামি এসব চিন্তা না করে বিরাশি সিক্কা ওজনের থাবড়া হুজুরের ঘাড়ে মারতাম।

আপনি 'গীবত' বা 'কাফের হওয়া' সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে হুজুর আপনার সাথে মজা নিয়ে আপনাকে ভেড়া বানালো। আপনি গণিত বিজ্ঞানে অনেক জ্ঞানী হতে পারেন, কিন্তু কুরআন হাদীসে জ্ঞানী না হবার কারণে নিজে বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং সেই সাথে ব্লগে এসে কম জানা সবাইকে বিভ্রান্ত করার মত প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আর বললাম না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমার উদ্দেশ্য কুরআন হাদিসের সমালোচনা নয়। আমার জ্ঞান এ ব্যাপারে সীমিত হলেও একেবারে ভেড়া বানিয়ে চলে যাবে এমন গাঁধাও নই আমি। তিনি কুরআনের বাণীকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে অপব্যাখ্যা করে ব্যবসা করছেন সেটা দেখানোই ছিলো মূল উদ্দেশ্য। ব্লগে আমার মতো সীমিত জ্ঞানের লোকসংখ্যা অনেক কম। আর তাই বিভ্রান্তির সুযোগও কম। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



এগুলো স্রেফ প্রতারক। কিসের হুজূর সে? আমাদের সমাজে এই একটা সমস্যা বড় প্রকট! পোষাক পরিচ্ছদ দিয়ে মানুষকে বিচার করার প্রবনতা।

এরকম লেবাসধারী প্রতারক মাঝেমাঝে আমাদের সামনেও হঠাৎ এসে পড়ে। এগুলোকে হালকা পাতলা উপদেশ না দেয়া অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়ার মতই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এখানে হুজুর বলতে লেবাসধারীকেই বুঝিয়েছি। আলেমদের কথা বলা হয় নি। উপদেশ দেয়ার পরিস্থিতি সেখানে ছিলো না। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: দেশের হাজারো প্রতারনার ভীড়ে সামান্য প্রতারনা মাত্র্ ওই হুজুর নামধারীরাতো এভাবেই কাফের ঘোষনা দিয়ে সাধারনদের বেচেঁ খায়। এ আর নতুন কি? কতজন প্রকৃত হুজুর আছে? বা প্রকৃত হুজুর বলতে কি বোঝায়?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: দেশে বেশির ভাগই লেবাসধারী।প্রকৃত আলেমের সংখ্যা কম। ধর্ম স্পর্শকাতর বিষয় বলে এ ব্যাপারে কেউ ঘাটতে যায় না। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: এই ভন্ড হুজুরের বেশধারীকে ধইরা দুই গালে দুইটা ঠাটা থাপ্পর দেয়া উচিত ছিল।
লেখায় এক হুজুর বলা ঠিক হয় নি। আপনি টার্ম টা জেনারালাইজড করে ফেলেছেন।
কেউ কারো বেশ ধরলেই সেটা হয় না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: হুজুর বলতে বেশধারীকেই বোঝানো হয়েছে।কারণ তার বেশবাস- কথাবার্তায় সে সেরকমই ভং ধরেছিলো।কোনো বুজুর্গ-আলেমকে বোঝানো হয় নি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: ভালো তদন্ত করেছেন। এখন থেকে মন শক্ত রাখার চেষ্টা করবো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এখানে হুজুর বলতে পোশাকধারীদের কথা বলা হয়েছে।
আপনার লেখায় কিন্তু তা প্রকাশ পায়নি
আপনি হুজুর আর ভণ্ডদের এক কাতার
সামিল করে ফেলছেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তিনি হুজুরের বেশ ধরেই ভণ্ডামি করেছেন। যাতে তার কথায় মানুষের মন গলে আর বিশ্বাসযোগ্যতা আসে। সব হুজুর যেমন ভণ্ড নয়,তেমনি সব হুজুর আলেম-ওলামা-বুযুর্গ নন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মানুষ এখন বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভাল তদন্ত করেছেন।

০৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মানুষের সহানুভূতি আদায় করে অল্প কষ্টে অধিক উপার্জন করার জন্যই এসব প্রতারণাগুলো করা হয়। লোকাল বাসে যাত্রার সময় দেখা যায় প্রিন্ট করা স্লিপ নিয়ে অসুস্থতার জন্য, মসজিদ মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলে, অথচ সেসবের আদৌ অস্তিত্ব আছে কিনা তার খোঁজ কেউ নেয় না।
তদন্ত করতাম না যদি মেয়েটি অভিনয়ে পারদর্শী হতো। আর ভাগ্যক্রমে মেয়েটি যখন রিপোর্ট মেলে ধরে টাকা চাচ্ছিলো তখন রিপোর্টে Age-35 years লেখাটা আগে চোখে পড়ে গিয়েছিলো। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.