![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমকামিতাঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
বহু আগে থেকেই আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত যে, প্রকৃতি বিরুদ্ধ যেকোনো মনবকর্মই - বিকৃত মানব মনের প্রতিফলন। এখনো পৃথিবীর বেশির ভাগ লোকই সমকামিতাকে বিকৃত যৌনচর্চা হিসেবে গণ্য করেন এবং বেশির ভাগ দেশেই প্রকৃতি বিরুদ্ধ এই চর্চা নিষিদ্ধ। সম্প্রতি মার্কিন সরকারের সম লিঙ্গের বিবাহের স্বীকৃতি পুরো পৃথিবীতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে । সামাজিক মাধ্যমেই আলোড়ন সবচেয়ে বেশি । কেউ এর পক্ষে সহমত প্রকাশ করছেন কিন্তু বেশিরভাগই এই স্বীকৃতির সমালোচনা করছেন। সমকামিতার চর্চার ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের প্রারম্ভিক পর্যায়েই পাওয়া যায় । প্রাচীন গ্রীক সমাজ , ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, চৈনিক সভ্যতা, ভারত উপমহাদেশ, পার্সিয়ান সমাজ সর্বত্রই সম লিঙ্গের জৈবিকচর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক প্লেটোকে একজন সমকামী হিসেবেই অবহিত করা হয় এবং তিনি তার প্রাথমিক লেখা সমূহে এর প্রশংসা করলেও পরবর্তীসময়ের লিখনিতে সমকামীটাকে নিষিদ্ধ উল্লেখ করেছেন । তাছাড়া প্রাচীন পার্সিয়ান সমাজের স্বীকৃত পতিতালয়ে নারীদের পাশাপাশি কম বয়সী বালক- যুবকের কদরও ছিল এবং প্রাচীন পার্সিয়ান সাহিত্যে কবিরা সুশ্রী যুবকদের বিভিন্ন সরাইখানায় ওয়াইন পরিবেশন ঘটনা তাদের গীতিকাব্যে বর্ণনা করেছেন, ঠিক যেমনটি এই মহাদেশেও জমিদারদের মধ্যে ঘেটুপুত্র প্রথার প্রচলন ছিল। মধ্য যুগেও এই চর্চার অনেক নিদর্শন পাওয়া যায় এবং অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন- লিওনার্দো ডা ভিঞ্চি, রাজা এডওয়ার্ড, উইলিয়াম রুফুস সমকামী ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কোনো সমাজেই এর বৈধতার ব্যাপারে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না বরঞ্চ বেশিরভাগ সমাজেই এই প্রথাকে নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো ,শুধু তাই নয় প্রাচীন কিছু সমাজে যৌনক্রিয়া কালে পুরুষের উপর নারীর অবস্থাকেও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছিল। বেশির ভাগ গবেষকই এই চর্চাকে সেক্সচুয়াল ফ্যান্টাসি বা যৌনতার অপচর্চা হিসেবে অবহিত করেছেন, বিংশ শতাব্দীর পূর্বে সমকামিতা প্রথা নিয়ে খুব কম আলোচনা না গবেষণা হয়েছে কারণ ১৯ শতকের শেষে মেডিসিন এবং মনরোগ বিজ্ঞান অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রভুত উন্নতি সাধন করেছে এবং ধর্মীয় বা তত্ত্বীয় দিক থেকে গবেষণালব্ধ ফলই বর্তমান সমাজে অধিকতর গ্রহণযোগ্য। ১৯০৫ সালে Sigmund Freud তার এক চিঠিতে এক মাকে লিখেন -
"Homosexuality is assuredly no advantage, but it is nothing to be ashamed of, no vice, no degradation, it cannot be classified as an illness; we consider it to be a variation of the sexual function produced by a certain arrest of sexual development ''
কিন্তু মনরোগবিদ Sandor Rado , Sigmund Freud এর তত্ত্বীয় যুক্তি- সমকামিতা সহজাত বা জন্মগত খণ্ডন করেন বলেন- '' Homosexuality is a "reparative" attempt to achieve sexual pleasure when normal heterosexual outlet proves too threatening.''
১৯৬২ সালে Bieber etal উল্লেখ করেন -'' Homosexuality resulted from pathological family relationships during the oedipal period (around 4-5 years of age) and claimed that they observed these patterns in their homosexual patient''. ১৯৪৮ সালে প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী Alfred Kinsey তার যুগান্তকারী গবেষণায় প্রকাশ করেন যে , সমকামিতার উপর বাহ্যিক এবং পারিবারিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এবং বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে বিভিন্ন মানসিক অন্তঃদ্বন্দ্ব এবং অপরিণত কার্যকলাপই এর নেপথ্যে কাজ করে।
আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট , আমেরিকার প্রেক্ষাপট হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন । ধর্মীয় প্রশাসনের রক্ষণশীল এই ব্যবস্থায় সমকামিতা বিষফোড়া সরূপ, এই সমাজ ব্যবস্থায় সমকামিতার পক্ষে গলা চড়াবার কোন সুযোগ নেই । যতই যা কিছু বলা হোক না কেনো, কোন সমাজে সমকামিতার বৈধতা প্রাপ্তি বহু বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আমাদের মতো রক্ষণশীল সমাজে এই প্রতিক্রিয়ার ফল কল্পনাতীত , যেখানে বয়ঃসন্ধি থাকা ১২-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের বিপরীত বা সম লিঙ্গের ব্যাপারে স্বীয় জৈবিক চাহিদার অবস্থান দাড় করানোটা ব্যপক দ্বিধাদন্দের সৃষ্টি করবে । যেমন ধরুন এখন যে বালকটি বা বালিকাটি সদ্য তার জৈবিক চাহিদার ব্যাপারটি উপলব্ধি করা শুরু করেছে যার কাছে আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির শত উপকরণ সহজলভ্য। নীলছবির এ অবাধ যুগে তার সামনে দু ধরনের জৈবিক ইন্টারকোর্সই উন্মোচিত হয় যা তার বয়ঃসন্ধিকালকে আরও বিভ্রান্তিকর করে তোলে এবং আমাদের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় সম লিঙ্গের সামাজিক মেলামেশাটা এখন পর্যন্ত সাধারণ সামাজিক সম্পর্ক হিসেবেই গণ্য অর্থাৎ সম বয়েসি বিপরীত লিঙ্গের তুলনায় সম লিঙ্গের সান্নিধ্য সহজলভ্য । এমতাবস্থায় বিভ্রান্তিকর মনবাসনাগ্রস্থ এক কিশোর বা কিশোরীর পক্ষে প্রকৃতিসিদ্ধ পথের বিপরীতে হাটাটায় অনুমেয়, যখন সে জানবে তার পথটি সামাজিক বৈধতা প্রাপ্ত । তাই এই রক্ষণশীল সমাজে সমকামিতার ধারণাকে প্রত্যক্ষ সমর্থন করা, বিভ্রান্তিকর কিছু উর্বর মস্তিষ্ক প্রসূত জৈবক্ষুদাগ্রস্থদের উস্কে দেয়া মাত্র । পারতপক্ষে এর ফলাফল উপলব্ধি করা না গেলেও, পরোক্ষভাবে সমকামিতার বৈধতা প্রাপ্তি বা পাশ্চাত্য দেশ সমূহে এর সহজলভ্যতা নিকট ভবিষ্যতেই আমাদের মতো রক্ষণশীল দেশসমুহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। পাশ্চাত্য দেশের কিশোর-কিশোরীদের মানব-মানবীর জৈবনিকক্রিয়া নিয়ে একাডেমিক জ্ঞান প্রদান করা হয় যা , আমাদের দেশে প্রথা বহির্ভূত বা স্পর্শকাতর । এখানেই আমাদের সমস্যা এবং উদ্ভূত এসব নানা ফ্যান্টাসি তাদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তির উদ্রেক করে। এইসব ব্যাপার নিয়ে অত্তাধিক উদ্দীপনা বা আলোচনা আমাদের ঘরের ছোট ভাইবোন বা সন্তানের মধ্যেই অহেতুক কৌতূহল ; উপরন্তু জৈবিক ব্যপারে অত্যধিক স্পর্শকাতরতা তাদের মাঝে মানসিক বিহ্বলতার সৃষ্টি করছে।
জৈবনিক ক্রিয়াকলাপ মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, সামাজিক জীবনে এর ভূমিকাকে অগ্রাহ্য করার কোন উপায় নেই এবং এই জৈবনিক ক্রিয়া অবশ্যই প্রসুনের দাবীদার কেননা মানব সভ্যতার বিস্তৃতি- উন্মেষেই নারীপুরুষের জৈবনিক ক্রিয়ার ফল। নিষ্ফলা সামাজিক বন্ধন তাই আপাতপক্ষে সামাজিক জীবনে কোন মূল্য বহন করেনা।
আগামী প্রজন্ম সুস্থ এবং উর্বর যৌনজীবন উপভোগ করুক ।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০১
মোস্তাকিম হায়দার শাকিল বলেছেন: ভাই হাবিবুল্লাহ , আপনার ধারনাটি ঠিক নয় । ১৯৯৯ সালের এক জরিপে দেখা যায় যে, উচ্চ বর্গ ভুক্ত স্তন্যপায়ী থেকে অন্ত্রীও কীটের প্রায় ৫০০ প্রজাতিতে সমকামিতার প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায় । ২০০৬ সালে যে সংখ্যাটি ১৫০০ বলে বিজ্ঞানীরা জানান ।
ব্যাপার হলো, এ সকল প্রজাতিই তাদের প্রয়োজনের তাগিদেই সমকামী এবং এটি একটি ন্যাচারাল প্রসেস । নিচু স্তরের প্রাণীদের সাথে মানুষের তুলনাটা অমূলক।
রেফ : Click This Link
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫
পাগলাগরু বলেছেন: Gays and Lesbians (if caught doing such act not just an accusation) should be beheaded in public. After what Allah swt revealed to Prophet Lut (PBUH) homosexuality has zero tolerance in the society.
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সমকামীতা সম্পূর্ণই অর্থহীন যৌনকর্ম!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
এস. এম. হাবিবুল্লাহ বলেছেন: সমকামিতা নামক এমন একটি নিকৃষ্ট বর্বর কর্ম যা মুখে আনতে রুচিবোধে বাধে। মানুষ মানের কিছু নিকৃষ্ট অপদার্থ ছাড়া (জীব বলছি না, কারণ অন্য জীবরা এ কাম করে না) পৃথিবীর অন্যকোন প্রাণীর মধ্যে এ কাজটি নেই। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তো মহা এক অপরাধ কাজ।