নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.।

মোস্তাকিম হায়দার শাকিল

এক আশ্চর্য জীবন চেরাগে বন্দি কবি ।

মোস্তাকিম হায়দার শাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় শোক এবং আমাদের প্রকাশ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৬

জাতীয় পর্যায়ের শোক প্রকাশের রীতি কি কি হতে পারে ??
এমন প্রশ্নে আমাদের বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে, কোনো চিন্তা না করে বলে দেওয়া উচিতঃ
প্রথমত - রাতভর মাইকিং এর ব্যবস্থা করে, নিরলস ভাবে গান বাজানো { অবশ্যই শোকবহ সঙ্গীত তবে তার বিরতিতে হিন্দী সাম্প্রতিক গানের ব্যঞ্জনা থাকাটা আবশ্যিক}।

দ্বিতীয়ত - নির্ধারিত দিনের কয়েকদিন পূর্বে মহল্লা / গ্রাম বা পাড়ার সকল স্তরের জনগণ থেকে চাঁদা আহরণ এবং সাংবিধানিক উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল কাঙ্গালি ভোজের জন্য বরাদ্দ করে বাকি উচ্ছিষ্ট নিয়ে চতুষ্পদী শ্বাপদের মতো কামড়াকামড়ি করে নিজের বাট্টা বুঝিয়া লওয়া ।

তৃতীয়ত - বিশাল শোকের প্রকাশ ঘটিয়ে চালা-চামুণ্ডাদের বহর নিয়ে মহল্লা জুড়ে শোকের মাতম তোলা এবং শোককে ক্ষুদ্র পুঁজি করে মহল্লার বহুলাংশ স্বীয় পোষ্টার-ব্যানারে ছাইয়ে ফেলে অর্পিত মহান কর্তব্য পালন করা ।

চতুর্থত - জনগণ হতে আহরিত মালামালের ক্ষুদ্র অংশ জায়েজের ব্যবস্থা অর্থাৎ নিজের জনগণের অবহেলিত অংশকে ''কাঙাল'' নামে অপমানিত করে ভূরিভোজ নামক পক্ষীআহারের মহাযজ্ঞ সম্পন্ন করা।

পঞ্চমত - শোকের বহিপ্রকাশ উপলক্ষে জনৈক/ অজনৈক নেতাকে ফুলেল সংবর্ধনা/বিশেষ পদকে ভূষিত করে, দলের একজন জান-প্রান কর্মী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা ।

এবং সর্বশেষে আপ্রাণ নেতাকর্মীদের জন্য উপাদেয় কিছু আহার্যের ব্যবস্থা ( তা ব্যকরনিক ভুরিভোজ / ককটেল পার্টি কিংবা সস্তা আমোদের আয়োজন করেও হতে পারে )
-----------------
আদিখ্যেতার চূড়ান্ত রূপ কি হতে পারে তা আজ আমাদের সবার দৃষ্টিগোচর। শোকের আদিখ্যেতা আজ উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে । ছোট ভাইয়ের কাছে শুনলাম কাল রাতে নাকি মাইকে উচ্চ ভলিউমে বেজেছে -
'' এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই ... সবকটা জানালা খুলে দাও না...
আমি গাইবো , গাইবো বিজয়ের গান । ''

অপ্রাসঙ্গিকতার চর্চা কি এবং তার কি কি রূপ হতে পারে তা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকে চোখ ফেরালেই প্রতীয়মান হয়। জাতির নেতাও আজ এখানে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের শিকার, বৃহৎ বৃহৎ পোষ্টারে তার অনুবিক্ষনিক উপস্থিতি, রাজনৈতিক প্রদর্শকরা/ সুশীল নাগরিকেরা পক্ষঘাতে আহিত আর আমরা ...... রাজনীতির বিশাল মঞ্চে দিনরাত রঙ্গ নাটক দেখে যাচ্ছি । দিন দিন নতুন শিক্ষিত প্রজন্ম সুস্থ রাজনীতিক রেওয়াজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে ,সবাই ব্যস্ত নিজেদের সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ; কে ক্ষমতায় আসলো গেলো তাতে আমার কি !

গরুর যদি খুঁড়া রোগ ধরে, ছাগলকেই চষা জমিতে ছেড়ে দেওয়া লাগবে । আর তারা আপন মনে পেটপুজো করবে, গৃহস্থের শত লাথি গুঁতোয় তার কোনো বিকার নেই ; পেটের ধর্মই তো তার জীবন সার ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.